ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় অভিযানের খবরে দোকান বন্ধ করে পালালেন ব্যবসায়ীরা

অতিরিক্ত লাভে পণ্য বিক্রি, চার প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৭৮ বার পড়া হয়েছে

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা ও কবরী রোড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। তবে অভিযানের ফলে শহরের অধিকাংশ মার্কেটে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। ভোক্তার অভিযান দেখে প্রিন্স প্লাজার অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। সচেতন মহল বলছে, অসৎ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের অভিযান সূত্রে জানা যায়, শহরের সমবায় নিউ মার্কেটে অভিযানে মেসার্স হৃদয় ফ্যাশানে অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন কাপড় বিক্রয় ও পণ্যের ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক আকতার হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স আজিজ বস্ত্রালয়ের মালিক আজিজ মাকসুদকে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন জামা-কাপড় বিক্রয়ের অপরাধে ৪০ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে শহরের প্রিন্স প্লাজায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স স্টাইল ওয়ানে ৭৫০ টাকা মূল্যের একটি শার্ট ২ হাজার ৮৫০ টাকা প্রাইস ট্যাগ লাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা শার্টে ২১০০ টাকা লাভ রাখা হয়েছে। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার একেএম আলিমুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কবরী রোডে মেসার্স ভাই ভাই ফুসকা হাউসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের অপরাধে ৫১ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে, অভিযানটি প্রিন্স প্লাজায় প্রবেশ করলে সেখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দেন। পুলিশ ও ভোক্তার লোকজন জোর করেই কিছু দোকান খোলেন এবং অভিযান পরিচালনা করেন। তবে বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযানের কারণে ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ করা দেখে সচেতন মহলের মানুষ ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। তারা বলছেন, অসৎ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, অভিযানে সবাইকে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়। পরে বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের দোকান, মিষ্টির প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় অভিযানের খবরে দোকান বন্ধ করে পালালেন ব্যবসায়ীরা

অতিরিক্ত লাভে পণ্য বিক্রি, চার প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা ও কবরী রোড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। তবে অভিযানের ফলে শহরের অধিকাংশ মার্কেটে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। ভোক্তার অভিযান দেখে প্রিন্স প্লাজার অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। সচেতন মহল বলছে, অসৎ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের অভিযান সূত্রে জানা যায়, শহরের সমবায় নিউ মার্কেটে অভিযানে মেসার্স হৃদয় ফ্যাশানে অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন কাপড় বিক্রয় ও পণ্যের ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক আকতার হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স আজিজ বস্ত্রালয়ের মালিক আজিজ মাকসুদকে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন জামা-কাপড় বিক্রয়ের অপরাধে ৪০ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে শহরের প্রিন্স প্লাজায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স স্টাইল ওয়ানে ৭৫০ টাকা মূল্যের একটি শার্ট ২ হাজার ৮৫০ টাকা প্রাইস ট্যাগ লাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা শার্টে ২১০০ টাকা লাভ রাখা হয়েছে। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার একেএম আলিমুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কবরী রোডে মেসার্স ভাই ভাই ফুসকা হাউসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের অপরাধে ৫১ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে, অভিযানটি প্রিন্স প্লাজায় প্রবেশ করলে সেখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দেন। পুলিশ ও ভোক্তার লোকজন জোর করেই কিছু দোকান খোলেন এবং অভিযান পরিচালনা করেন। তবে বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযানের কারণে ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ করা দেখে সচেতন মহলের মানুষ ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। তারা বলছেন, অসৎ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, অভিযানে সবাইকে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়। পরে বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের দোকান, মিষ্টির প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।