ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চুয়াডাঙ্গায় বেলা বাড়ার সাথে বাড়ছে সূর্যের তেজ, মাঝারি দাবদাহ অব্যাহত

গরমে নাকাল শ্রমজীবী মানুষ, প্রাণীকূল ওষ্ঠাগত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

রমজানের শেষের দিকে দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। এক প্রকার বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বেলা ৩টায় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২০ শতাংশ। যা মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ। আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা সামান্য কমলেও দাবদাহে জনজীবনে ভোগান্তি কমেনি। গত সোমবার দুপুর ১২টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ ছুয়েছিল বেলা ৩টায়।

এদিকে, গত রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে এ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়। বৃষ্টিতে সকালের তাপমাত্রা সহনীয় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে সূর্যের তেজ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আপাতত বৃষ্টির কোনো খবর নেই। জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আরো কয়েকদিন জেলায় দাবদাহ অব্যহত থাকবে। এসময় তাপমাত্রা বেড়ে পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

গতকাল চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি দাবদাহে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে। শহরের কোর্টপাড়ায় নির্মাণকাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রাজমিস্ত্রী সানোয়ার। তিনি বলেন, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। কাজ করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে চারপাশে আগুন জ্বলছে, তার তাপ শরীরে লাগছে। একটু বৃষ্টি হলে শান্তি পাওয়া যেত।

রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন পাখিভ্যান চালক রাজ্জাক মিয়া। তিনি বলেন, ‘যে গরম, যাত্রী হচ্ছে না। রোজা রেখেছি, তাই যাত্রী না পেলে খামোখা ঘুরতেও ভালো লাগছে না। কত দিন এমন গরম পড়বে কে জানে? বড় লোকদের কোনো সমস্যা নেই, তাদের এসি আছে। আমাদের কষ্টের শেষ নেই।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আরও কয়েকদিন এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় তাপমাত্রা আরো কিছুটা বাড়তে পারে। আপাতত বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখীর মৌসুম হওয়ায় যে কোনো দিন ঝড় হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় বেলা বাড়ার সাথে বাড়ছে সূর্যের তেজ, মাঝারি দাবদাহ অব্যাহত

গরমে নাকাল শ্রমজীবী মানুষ, প্রাণীকূল ওষ্ঠাগত

আপলোড টাইম : ১০:০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

রমজানের শেষের দিকে দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। এক প্রকার বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বেলা ৩টায় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২০ শতাংশ। যা মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ। আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা সামান্য কমলেও দাবদাহে জনজীবনে ভোগান্তি কমেনি। গত সোমবার দুপুর ১২টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ ছুয়েছিল বেলা ৩টায়।

এদিকে, গত রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে এ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়। বৃষ্টিতে সকালের তাপমাত্রা সহনীয় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে সূর্যের তেজ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আপাতত বৃষ্টির কোনো খবর নেই। জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আরো কয়েকদিন জেলায় দাবদাহ অব্যহত থাকবে। এসময় তাপমাত্রা বেড়ে পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

গতকাল চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি দাবদাহে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে। শহরের কোর্টপাড়ায় নির্মাণকাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রাজমিস্ত্রী সানোয়ার। তিনি বলেন, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। কাজ করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে চারপাশে আগুন জ্বলছে, তার তাপ শরীরে লাগছে। একটু বৃষ্টি হলে শান্তি পাওয়া যেত।

রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন পাখিভ্যান চালক রাজ্জাক মিয়া। তিনি বলেন, ‘যে গরম, যাত্রী হচ্ছে না। রোজা রেখেছি, তাই যাত্রী না পেলে খামোখা ঘুরতেও ভালো লাগছে না। কত দিন এমন গরম পড়বে কে জানে? বড় লোকদের কোনো সমস্যা নেই, তাদের এসি আছে। আমাদের কষ্টের শেষ নেই।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আরও কয়েকদিন এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় তাপমাত্রা আরো কিছুটা বাড়তে পারে। আপাতত বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখীর মৌসুম হওয়ায় যে কোনো দিন ঝড় হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে।