ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৭:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার ৫৩ বছর পূর্ণ হওয়ার ঐতিহাসিক দিনে গতকাল মঙ্গলবার স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যয় জানিয়েছে বাংলাদেশ। এক অন্য রকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিল বাঙালি। দেশের পথে-প্রান্তরে পত্ পত্ করে উড়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। আর এ পতাকা জানান দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশের জন্মদিনের কথা। যে দেশটি অর্জনে ৩০ লাখ মানুষকে আত্মবলি দিতে হয়েছে। জাতিরাষ্ট্রের জন্মের দিনটি বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপন করেছে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি থেকে উচ্চারিত হয়েছে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ।

গতকাল প্রত্যুষে রাজধানীতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।

এদিকে, নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, কারাগার ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ দিনভর নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা:

নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করে। সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার শহিদ হাসান চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহিদ হাসান চত্বর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরপরই শহিদ হাসান চত্বর শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শুরু হয়। প্রথম প্রহরে সকাল ৬টার কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শহিদ বেদি উন্মুক্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

এরপর চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে জেলা পুলিশ বিভাগ। সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যদের সঙ্গে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা অফিস, জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, ব্যাংক-বীমা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এদিন সকল সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ:

সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে (পুরাতন) সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত উচ্চারণের মধ্যদিয়ে দিনের ২য় পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানকে সাথে নিয়ে শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত ও রঙিন বেলুন অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এরপর প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই-এর চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত ও জেলার সকলের উদ্দেশ্যে দেশের মহান স্বাধীনতা, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহিদের রক্তে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল নিপীড়িত-নির্যাতিত জর্জরিত মানুষের এ দেশটি যেন স্নেহ-প্রেম প্রীতির আবহে পূর্ণ হয়ে সুস্থ মানবতার আবাসভূমি হয়ে উঠতে পারে এবং সেই পরিবেশে বেড়ে উঠে নতুন প্রজন্ম যেন পরিপূর্ণতার আশির্বাদ মাথায় নিয়ে বিশ্বময় বিশ্বমানবতার জয়গানে মুখর হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও ভাষণে বেশ কিছু ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন জেলা প্রশাসক। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান:

চুয়াডাঙ্গায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় গতকাল বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এমনি এমনি তো আর স্বাধীনতা আসে নাই। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার সেই এক ভাষণেই বাঙালি জাতি অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে ও লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন স্বাধীন-স্বার্বভৌম, ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ। আজ আমরা পেয়েছি একটি মানচিত্র ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে বলতে পারে বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। এ দেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্ন ছিল। পাকিস্তানি কুচক্রী দালালরা তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকলকে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল হয়ত বাংলাদেশ এখানেই থমকে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্নকে পূরণ করতে রাত-দিন পরিশ্রম করে চলেছেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু প্রমুখ। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সি আবু সাঈফের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) (পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিছুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহামন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শহিদুল আলম, সাদাত হোসেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলীসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সদর উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যবর্গ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা-কর্মচারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

জেলা বিচার বিভাগের আয়োজন:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা বিচার বিভাগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও খেলাধুলা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পুরো আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাতটায় দলীয় কার্যালেয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, শহিদ হাসান চত্বরে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে নাটুদহে আটকবরে আট শহিদের স্মরণে পুস্পমাল্য অর্পণ ও বিকেল চারটায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মো. শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম-আহ্বায়ক শামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, সাজিদুল ইসলাম লাভলু, হাফিজুর রহমান হাপু, আলমগীর আজম খোকা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তহিদুর রহমান চন্দন, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান গরিব রুহানী মাসুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদি মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার কাকলী, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া শাহাব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাহাবুল হোসেন, সাবেক ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, মোমিন, সোয়েব রিগান, রকি, রেজোয়ান, সোয়েব স্বাধীন, মুন্না আজম, রিমন, রানা, রিয়নসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কর্মসূচি:

শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল সকাল ৭টায় বড় বাজার শহিদ হাসান চত্বরের শহিদবেদীতে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, পৌর বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হ্যাপি, পৌর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আশাদুল হক জোয়ার্দ্দার আলো, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।

জেলা পুলিশের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা:

চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশ পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে এর আয়োজন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন স্কুলের কোমলমতি শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু ও অভিভাবকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি থেকে পুরস্কার তুলে দেন জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার, অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।

প্রবীণ হিতৈষী সংঘের কর্মসূচি:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে প্রবীণ হিতৈষী সংঘের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংঘের সভাপতি এ কে এম আলী আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও সহসভাপতি নজির আহমেদ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে ৩০ লাখ শহিদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে মর্যাদার সাথে সমন্বিত রাখার শপথ গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় পর্বে শহিদদের প্রতি দোয়া ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

বিজিবির ইফতার বিতরণ:

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার-সামগ্রী বিতরণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের পবিত্রতা বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। ৬ বিজিবি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এ বছর প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি আয়োজন না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যাদের ইফতার পার্টি করার আগ্রহ ও সাধ্য আছে, তারা যেন সেই ইফতার পার্টির টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিজিবি মহাপরিচালক সকল রিজিয়ন, সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এরই ধারবাহিকতায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) ১২০টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে।

সরোজগঞ্জ:

সরোজগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসটি উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, ছাদেমান নেছা বালিকা বিদ্যালয়, তেঁতুল শেখ কলেজ, আবুল হোসেন দাখিল মাদ্রাসা, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ বেবী নার্সিং স্কুল, সরোজগঞ্জ শিশু নিকেতন, সরোজগঞ্জ সোনামণি কিন্ডারগার্টেন, সরোজগঞ্জ আন-নূর ইসলামি একাডেমি স্কুল, নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহম্মদজমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।

আলমডাঙ্গা:

যথাযোগ্য মর্যাদায় আলমডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে। ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা করা হয়। সকাল ৮টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, বর্ণাঢ্য প্যারেড, কুচকাওয়াজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপজেলা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবধর্না অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শারমিন আক্তার, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, উপজেলা কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লালটু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হামিজুল ইসলাম আজম, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদার আলী। কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস প্রমুখ। অপর দিকে, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্বাধীনতা র‌্যালি, শহিদবেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ।

     অপর দিকে, স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ। সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণিল বেলুন ও শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু প্রমুখ।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা। পরে একে একে বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নাটুদাহ আটকবর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর দামুড়হুদা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন। বাদ যোহর ও বাদ আছর সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় উপজেলার সকল মসজিদ-মাদ্রাসা মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি টগর বলেন, মুক্তিযুদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সর্বস্তরের মানুষ মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে সবুজ জমিনে লাল সূর্যখচিত জাতীয় পতাকা এবং স্বাধীন বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীনসহ উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এছাড়াও উপস্থিথ ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রসিদ, আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী প্রমুখ।

দর্শনা:

দর্শনায় নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় দর্শনা ডাকবাংলো চত্তরে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ২৩টি প্রতিষ্ঠান এসব আয়োজনে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর এবং মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন, সৈয়দ মজনুর রহমান, বদরুল আলম ফিট্টু, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেন আব্দুল হান্নান ও আক্কাস আলী। এরপর উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান এমপি আলী আজগার টগর। শপথ বাক্য পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ২৩টি সংগঠনের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিরা একে একে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। পবিত্র রমজান মাস চলমান থাকায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এসব আয়োজনে অংশ নেয় দর্শনা সরকারি কলেজ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা, অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়, দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, স্থল শুল্ক স্টেশন, মেমনগন বিপ্রদাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা পৌরসভা, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগ, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ, পরাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উদ্দিপন পরিবার, দর্শনা পূর্ব-রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা কাস্টমস্ কলনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল-হেরা ইসলামী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের মানুষ।

এদিকে, দর্শনা কেরু চিনিকলের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দর্শনা কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন মহাব্যবস্থাপক প্রসাশন বিভাগের ইউসুফ আলী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আলমগীর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়শকরনী। দিবসটি উপলক্ষে দর্শনা কেরু চিনিকলের আয়োজনে কেরুজ হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস ছাত্তার ও ডিজিএম (সম্প্রসারণ) মাহাবুবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মফিজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত মিলন। উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ রাত ১১টায় দর্শনা ফুলতলায় মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। এরপর প্রজ্জলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে একটি র‌্যালি বের হয়ে দর্শনা কেরু আনন্দবাজার এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভে সারি সারি করে মোমবাতি প্রজ্জলন করে। রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মন্জু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সৈয়দ মজনুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গোলম ফারুক আরিফ।

জীবননগর:

জীবননগরে বিভিন্ন আয়োজনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। সকালে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভ সূচনা হয়। পরে সকাল ৮টায় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান প্রমুখ।

আন্দুলবাড়ীয়া:

আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের অধ্যক্ষ এসএম এনায়েতুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের অধ্যক্ষ এসএম এনায়েতুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আলমগীর কবির, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হাসানুজ্জামান খান পলাশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, যুক্তিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষকসহ সাইউল হক, আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের স্টাফ জাহিদুল ইসলাম মামুন, এসএম নাসিম উদ্দীনসহ আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের সকল প্রভাষক-প্রভাষিকা কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক আলমগীর কবির। এছাড়াও দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক আবুল খায়ির।

মেহেরপুর:

নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মেহেরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। পরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার এ এস এম নাজমুল হক। এরপর একে একে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সরকারি বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়াও দিনের অনান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো জেলা স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য চিত্র প্রদর্শণসহ নানা আয়োজন।

মুজিবনগর:

মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যাস্তের সাথে সাথে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সকাল ৬টায় এক মিনিটে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, দারিয়াপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান রবি, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাশরুবা আলম।

পরে পর্যায়ক্রমে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে বীর মুক্তিয়োদ্ধা হাজী আহসান আলী, মুজিবনগর আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আনসার ভিডিপির পক্ষে অফিসার মিরাজুল ইসলাম, কৃষকলীগের পক্ষে সভাপতি জাহিদ হাসান রাজিব, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান রহমান মানিক, ছাত্রলীগের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা স্বপন গাজী ও ইমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান, উপজেলা যুবমহিলা লীগের পক্ষে জেলা সম্পাদক অ্যাড. রুত সোভা মন্ডল, উপজেলা সভাপতি তকলিমা খাতুন, পল্লী বিদ্যৎ সমিতির পক্ষে এজিএম, মুজিবনগর সরকারী টেকনিক্যাল কলেজ স্কুল।

সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে কুচকাওয়াজ ও শরীর চার্চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। পরে সকাল ১০ টায় সেখানে উপজেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন,  মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খানসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন

আপলোড টাইম : ১০:২৭:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার ৫৩ বছর পূর্ণ হওয়ার ঐতিহাসিক দিনে গতকাল মঙ্গলবার স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যয় জানিয়েছে বাংলাদেশ। এক অন্য রকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিল বাঙালি। দেশের পথে-প্রান্তরে পত্ পত্ করে উড়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। আর এ পতাকা জানান দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশের জন্মদিনের কথা। যে দেশটি অর্জনে ৩০ লাখ মানুষকে আত্মবলি দিতে হয়েছে। জাতিরাষ্ট্রের জন্মের দিনটি বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপন করেছে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি থেকে উচ্চারিত হয়েছে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ।

গতকাল প্রত্যুষে রাজধানীতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।

এদিকে, নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, কারাগার ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ দিনভর নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা:

নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করে। সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার শহিদ হাসান চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহিদ হাসান চত্বর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরপরই শহিদ হাসান চত্বর শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শুরু হয়। প্রথম প্রহরে সকাল ৬টার কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শহিদ বেদি উন্মুক্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

এরপর চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে জেলা পুলিশ বিভাগ। সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যদের সঙ্গে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা অফিস, জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, ব্যাংক-বীমা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এদিন সকল সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ:

সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে (পুরাতন) সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত উচ্চারণের মধ্যদিয়ে দিনের ২য় পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানকে সাথে নিয়ে শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত ও রঙিন বেলুন অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এরপর প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই-এর চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত ও জেলার সকলের উদ্দেশ্যে দেশের মহান স্বাধীনতা, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহিদের রক্তে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল নিপীড়িত-নির্যাতিত জর্জরিত মানুষের এ দেশটি যেন স্নেহ-প্রেম প্রীতির আবহে পূর্ণ হয়ে সুস্থ মানবতার আবাসভূমি হয়ে উঠতে পারে এবং সেই পরিবেশে বেড়ে উঠে নতুন প্রজন্ম যেন পরিপূর্ণতার আশির্বাদ মাথায় নিয়ে বিশ্বময় বিশ্বমানবতার জয়গানে মুখর হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও ভাষণে বেশ কিছু ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন জেলা প্রশাসক। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান:

চুয়াডাঙ্গায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় গতকাল বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এমনি এমনি তো আর স্বাধীনতা আসে নাই। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার সেই এক ভাষণেই বাঙালি জাতি অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে ও লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন স্বাধীন-স্বার্বভৌম, ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ। আজ আমরা পেয়েছি একটি মানচিত্র ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে বলতে পারে বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। এ দেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্ন ছিল। পাকিস্তানি কুচক্রী দালালরা তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকলকে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল হয়ত বাংলাদেশ এখানেই থমকে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্নকে পূরণ করতে রাত-দিন পরিশ্রম করে চলেছেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু প্রমুখ। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সি আবু সাঈফের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) (পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিছুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহামন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শহিদুল আলম, সাদাত হোসেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলীসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সদর উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যবর্গ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা-কর্মচারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

জেলা বিচার বিভাগের আয়োজন:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা বিচার বিভাগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও খেলাধুলা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পুরো আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাতটায় দলীয় কার্যালেয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, শহিদ হাসান চত্বরে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে নাটুদহে আটকবরে আট শহিদের স্মরণে পুস্পমাল্য অর্পণ ও বিকেল চারটায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মো. শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম-আহ্বায়ক শামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, সাজিদুল ইসলাম লাভলু, হাফিজুর রহমান হাপু, আলমগীর আজম খোকা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তহিদুর রহমান চন্দন, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান গরিব রুহানী মাসুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদি মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার কাকলী, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া শাহাব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাহাবুল হোসেন, সাবেক ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, মোমিন, সোয়েব রিগান, রকি, রেজোয়ান, সোয়েব স্বাধীন, মুন্না আজম, রিমন, রানা, রিয়নসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কর্মসূচি:

শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল সকাল ৭টায় বড় বাজার শহিদ হাসান চত্বরের শহিদবেদীতে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, পৌর বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হ্যাপি, পৌর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আশাদুল হক জোয়ার্দ্দার আলো, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।

জেলা পুলিশের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা:

চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশ পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে এর আয়োজন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন স্কুলের কোমলমতি শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু ও অভিভাবকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি থেকে পুরস্কার তুলে দেন জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার, অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।

প্রবীণ হিতৈষী সংঘের কর্মসূচি:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে প্রবীণ হিতৈষী সংঘের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংঘের সভাপতি এ কে এম আলী আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও সহসভাপতি নজির আহমেদ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে ৩০ লাখ শহিদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে মর্যাদার সাথে সমন্বিত রাখার শপথ গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় পর্বে শহিদদের প্রতি দোয়া ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

বিজিবির ইফতার বিতরণ:

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার-সামগ্রী বিতরণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের পবিত্রতা বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। ৬ বিজিবি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এ বছর প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি আয়োজন না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যাদের ইফতার পার্টি করার আগ্রহ ও সাধ্য আছে, তারা যেন সেই ইফতার পার্টির টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিজিবি মহাপরিচালক সকল রিজিয়ন, সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এরই ধারবাহিকতায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) ১২০টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে।

সরোজগঞ্জ:

সরোজগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসটি উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, ছাদেমান নেছা বালিকা বিদ্যালয়, তেঁতুল শেখ কলেজ, আবুল হোসেন দাখিল মাদ্রাসা, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ বেবী নার্সিং স্কুল, সরোজগঞ্জ শিশু নিকেতন, সরোজগঞ্জ সোনামণি কিন্ডারগার্টেন, সরোজগঞ্জ আন-নূর ইসলামি একাডেমি স্কুল, নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহম্মদজমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।

আলমডাঙ্গা:

যথাযোগ্য মর্যাদায় আলমডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে। ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা করা হয়। সকাল ৮টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, বর্ণাঢ্য প্যারেড, কুচকাওয়াজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপজেলা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবধর্না অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শারমিন আক্তার, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, উপজেলা কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লালটু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হামিজুল ইসলাম আজম, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদার আলী। কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস প্রমুখ। অপর দিকে, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্বাধীনতা র‌্যালি, শহিদবেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ।

     অপর দিকে, স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ। সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণিল বেলুন ও শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু প্রমুখ।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা। পরে একে একে বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নাটুদাহ আটকবর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর দামুড়হুদা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন। বাদ যোহর ও বাদ আছর সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় উপজেলার সকল মসজিদ-মাদ্রাসা মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি টগর বলেন, মুক্তিযুদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সর্বস্তরের মানুষ মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে সবুজ জমিনে লাল সূর্যখচিত জাতীয় পতাকা এবং স্বাধীন বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীনসহ উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এছাড়াও উপস্থিথ ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রসিদ, আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী প্রমুখ।

দর্শনা:

দর্শনায় নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় দর্শনা ডাকবাংলো চত্তরে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ২৩টি প্রতিষ্ঠান এসব আয়োজনে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর এবং মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন, সৈয়দ মজনুর রহমান, বদরুল আলম ফিট্টু, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেন আব্দুল হান্নান ও আক্কাস আলী। এরপর উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান এমপি আলী আজগার টগর। শপথ বাক্য পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ২৩টি সংগঠনের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিরা একে একে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। পবিত্র রমজান মাস চলমান থাকায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এসব আয়োজনে অংশ নেয় দর্শনা সরকারি কলেজ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা, অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়, দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, স্থল শুল্ক স্টেশন, মেমনগন বিপ্রদাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা পৌরসভা, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগ, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ, পরাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উদ্দিপন পরিবার, দর্শনা পূর্ব-রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা কাস্টমস্ কলনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল-হেরা ইসলামী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের মানুষ।

এদিকে, দর্শনা কেরু চিনিকলের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দর্শনা কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন মহাব্যবস্থাপক প্রসাশন বিভাগের ইউসুফ আলী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আলমগীর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়শকরনী। দিবসটি উপলক্ষে দর্শনা কেরু চিনিকলের আয়োজনে কেরুজ হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস ছাত্তার ও ডিজিএম (সম্প্রসারণ) মাহাবুবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মফিজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত মিলন। উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ রাত ১১টায় দর্শনা ফুলতলায় মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। এরপর প্রজ্জলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে একটি র‌্যালি বের হয়ে দর্শনা কেরু আনন্দবাজার এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভে সারি সারি করে মোমবাতি প্রজ্জলন করে। রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মন্জু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সৈয়দ মজনুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গোলম ফারুক আরিফ।

জীবননগর:

জীবননগরে বিভিন্ন আয়োজনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। সকালে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভ সূচনা হয়। পরে সকাল ৮টায় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান প্রমুখ।

আন্দুলবাড়ীয়া:

আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের অধ্যক্ষ এসএম এনায়েতুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের অধ্যক্ষ এসএম এনায়েতুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আলমগীর কবির, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হাসানুজ্জামান খান পলাশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, যুক্তিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষকসহ সাইউল হক, আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের স্টাফ জাহিদুল ইসলাম মামুন, এসএম নাসিম উদ্দীনসহ আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের সকল প্রভাষক-প্রভাষিকা কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক আলমগীর কবির। এছাড়াও দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আন্দুলবাড়ীয়া কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক আবুল খায়ির।

মেহেরপুর:

নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মেহেরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। পরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার এ এস এম নাজমুল হক। এরপর একে একে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সরকারি বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়াও দিনের অনান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো জেলা স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য চিত্র প্রদর্শণসহ নানা আয়োজন।

মুজিবনগর:

মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যাস্তের সাথে সাথে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সকাল ৬টায় এক মিনিটে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, দারিয়াপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান রবি, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাশরুবা আলম।

পরে পর্যায়ক্রমে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে বীর মুক্তিয়োদ্ধা হাজী আহসান আলী, মুজিবনগর আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আনসার ভিডিপির পক্ষে অফিসার মিরাজুল ইসলাম, কৃষকলীগের পক্ষে সভাপতি জাহিদ হাসান রাজিব, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান রহমান মানিক, ছাত্রলীগের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা স্বপন গাজী ও ইমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান, উপজেলা যুবমহিলা লীগের পক্ষে জেলা সম্পাদক অ্যাড. রুত সোভা মন্ডল, উপজেলা সভাপতি তকলিমা খাতুন, পল্লী বিদ্যৎ সমিতির পক্ষে এজিএম, মুজিবনগর সরকারী টেকনিক্যাল কলেজ স্কুল।

সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে কুচকাওয়াজ ও শরীর চার্চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। পরে সকাল ১০ টায় সেখানে উপজেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন,  মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খানসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।