ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনের আলোচনা সভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করছেন শেখ হাসিনা

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৬২ বার পড়া হয়েছে

সারা দেশের ন্যায় আলমডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা শহরের টকিজ সিনেমা হলে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লু সভাটি পরিচালনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী গৌরবোজ্জ্বল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলার জনগণ অর্জন করে স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধের সূতিকাগার বলা হয় এই চুয়াডাঙ্গাকে। প্রথমেই চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয় এবং ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাকিস্তানি সেনারা এ সিদ্ধান্ত জেনে ফেললে চুয়াডাঙ্গার ওপর পরিকল্পিতভাবে অত্যাচার বাড়ায়। পরে কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত কারণে চুয়াডাঙ্গা থেকে সরিয়ে মুজিবনগরে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা দিয়েছেন। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে দিচ্ছেন। তাই আমার নেত্রী, আমার অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনারা জানেন, আমি স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। তাই মানুষের কল্যাণে আমার এই স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা গড়ার কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, তাই আসুন আমরা শপথ করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা বিনির্মাণ করি।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭০’র অগ্নিসেনা সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মণ্টু, চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার আব্দুল বাতেন, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রেজাউল হক তবা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পরিমল কুমার কালু ঘোষ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহমেদ সোহেল, আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল হোসেন বাবু, নাগদাহ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিশর মেম্বার, হারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনের আলোচনা সভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করছেন শেখ হাসিনা

আপলোড টাইম : ১০:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

সারা দেশের ন্যায় আলমডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা শহরের টকিজ সিনেমা হলে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লু সভাটি পরিচালনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী গৌরবোজ্জ্বল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলার জনগণ অর্জন করে স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধের সূতিকাগার বলা হয় এই চুয়াডাঙ্গাকে। প্রথমেই চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয় এবং ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাকিস্তানি সেনারা এ সিদ্ধান্ত জেনে ফেললে চুয়াডাঙ্গার ওপর পরিকল্পিতভাবে অত্যাচার বাড়ায়। পরে কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত কারণে চুয়াডাঙ্গা থেকে সরিয়ে মুজিবনগরে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা দিয়েছেন। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে দিচ্ছেন। তাই আমার নেত্রী, আমার অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনারা জানেন, আমি স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। তাই মানুষের কল্যাণে আমার এই স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা গড়ার কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, তাই আসুন আমরা শপথ করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা বিনির্মাণ করি।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭০’র অগ্নিসেনা সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মণ্টু, চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার আব্দুল বাতেন, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রেজাউল হক তবা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পরিমল কুমার কালু ঘোষ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহমেদ সোহেল, আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল হোসেন বাবু, নাগদাহ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিশর মেম্বার, হারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার।