ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে শংকরচন্দ্র ও মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

মহিউল আলম ও বিশ্বজিত সাহা চেয়ারম্যান নির্বাচিত

জামানত হারাচ্ছেন শংকরচন্দ্রের পাঁচ ও মাখালডাঙ্গার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / ৮৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চশমা প্রতীক নিয়ে মহিউল আলম সুজন আর মাখালডাঙ্গায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিশ্বজিত সাহা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে দুই ইউপির ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার রাহুল রায়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, শংকরচন্দ্র ইউপিতে চশমা প্রতীক নিয়ে মহিউল আলম সুজন ৫ হাজার ৫০৬টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী নিলুয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১৯টি ভোট। আর মো. আব্দুর রহমান টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মো. বখতিয়ার পেয়েছেন ৯৩৫ ভোট, টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ৭৩৩ ভোট পেয়েছেন মো. জিসান মিয়া, আনারস প্রতীক নিয়ে মো. কাজী আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪৫২ ভোট পেয়েছেন সিকদার রাকিব হাসান এবং রজনীগন্ধ্যা প্রতীক নিয়ে ৪৪ ভোট পেয়েছেন মো. শরিফুল ইসলাম। শংকরচন্দ্র ইউপিতে মোট ভোটার ছিল ১৯ হাজার ৫৬৯ জন। এর মধ্যে বৈধ ভোট পড়েছে ১৪ হাজার ৬৫৬টি। বাতিল হয়েছে ৩৬৪টি ভোট। ভোট দিয়েছেন ৭৭ শতাংশ ভোটার।
মাখালডাঙ্গা ইউপিতে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিশ্বজিত সাহা ৫ হাজার ৭২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আরশাদ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৫ হাজার ১৩৫ ভোট। আর চশমা প্রতীক নিয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ২ হাজার ৩০২ ভোট, আনারস প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়েছেন মো. আশাদুল হক এবং অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী মোহা. ওসমান গনি পেয়েছেন ৪৮১ ভোট। নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোটার ছিল ১৯ হাজার ৭৮৩ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৫ হাজার ৭১১ জন। ভোট বৈধ হয়েছে ১৫ হাজার ২৮১টি। বাতিল হয়েছে ৪৩০ ভোট। ভোট পড়েছে ৭৯ শতাংশ।

এদিকে, আইন অনুযায়ী নির্বাচনে জামানত টিকাতে হলে মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। শংকরচন্দ্র ইউপিতে বৈধ ভোট পড়েছে ১৪ হাজার ৬৫৬টি। সেই হিসাবে জামানত টিকাতে হলে প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৮৩২ ভোট। হিসাব অনুযায়ী শংকরচন্দ্র ইউপি নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন মো. বখতিয়ার, মো. জিসান মিয়া, মো. কাজী আমিরুল ইসলাম, সিকদার রাকিব হাসান ও মো. শরিফুল ইসলাম। অপরদিকে, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে বৈধ পড়েছে ১৫ হাজার ২৮১টি। এখানে জামানত টিকাতে প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৯১০ ভোট। সেই হিসাবে মাখালডাঙ্গায় জামানত হারিয়েছেন মো. আশাদুল হক ও মোহা. ওসমান গনি।
চুয়াডাঙ্গার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সাধারণ সদস্য পদে লড়াইয়ে ছিলেন ৪২ জন। সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন ১৬ জন। এবং নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন। সদস্য পদে ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলেন যারা:
নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ভ্যান প্রতীক নিয়ে ৬৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনারুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইবাদত আলী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭৬ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে তালা প্রতীক নিয়ে ৩৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর আলম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫০ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আশরাফুল হক তালা প্রতীক নিয়ে ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবিদ হোসেন টিটুল ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১২ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে রাকিব আহম্মেদ সণ্টু ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৫ ভোট।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মিজানুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৫১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দুইজন তথা আব্দুল কাদের বিশ্বাস মোরগ প্রতীকে ও নাজিরুল ইসলাম সাগর ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫২ ভোট। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নুরুল ইসলাম বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিয়ার রহমান ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০১ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নাসির উদ্দীন মোরগ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ১০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বসির আহমেমদ ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪৩ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে বিল্লাল হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ৬৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম উদ্দীন ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪৮ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে খাদেমুল বাসার ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ৩৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামাল উদ্দীন ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২৮ ভোট।
নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আল্পনা খাতুন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ১৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলেয়া বেগম সূর্যমুখি ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৯১ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বিউটি খাতুন হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোমেলা খাতুন বক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬০০ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোছা. লাখি খাতুন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শারমিন নাহার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৮ ভোট।

এদিকে, শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে দুলু মিয়া ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুমন আলী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৬১ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে জাফর উল্লাহ শারাফাত বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহফুজুর রহমান মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০৫ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আবুল কালাম আজাদ ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে ৭০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৮ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মেহের উদ্দীন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৬১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহির উদ্দিন মন্ডল তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫৫ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মাসুদুর রহমান তালা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফীল উদ্দীন মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮১২ ভোট।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে টোকন উদ্দীন মোরগ প্রতীক নিয়ে ৫২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ার হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪০ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে সুজন মিয়া ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে ৭৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুরাদ আলী মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭০৯ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ইমরান হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ২৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাসেল আহম্মেদ তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬১ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ছানোয়ার হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ৭০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট।
শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সুবর্না শোভা সূর্যমুখি ফুল প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকসানা খাতুন বক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯০ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সুফিয়া খাতুন মাইক প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহানাজ খাতুন তালগাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৭ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোছা. হামিদা হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পারুলা খাতুন মাইক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৯৩ ভোট।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে শংকরচন্দ্র ও মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

মহিউল আলম ও বিশ্বজিত সাহা চেয়ারম্যান নির্বাচিত

জামানত হারাচ্ছেন শংকরচন্দ্রের পাঁচ ও মাখালডাঙ্গার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী

আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চশমা প্রতীক নিয়ে মহিউল আলম সুজন আর মাখালডাঙ্গায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিশ্বজিত সাহা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে দুই ইউপির ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার রাহুল রায়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, শংকরচন্দ্র ইউপিতে চশমা প্রতীক নিয়ে মহিউল আলম সুজন ৫ হাজার ৫০৬টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী নিলুয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১৯টি ভোট। আর মো. আব্দুর রহমান টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মো. বখতিয়ার পেয়েছেন ৯৩৫ ভোট, টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ৭৩৩ ভোট পেয়েছেন মো. জিসান মিয়া, আনারস প্রতীক নিয়ে মো. কাজী আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪৫২ ভোট পেয়েছেন সিকদার রাকিব হাসান এবং রজনীগন্ধ্যা প্রতীক নিয়ে ৪৪ ভোট পেয়েছেন মো. শরিফুল ইসলাম। শংকরচন্দ্র ইউপিতে মোট ভোটার ছিল ১৯ হাজার ৫৬৯ জন। এর মধ্যে বৈধ ভোট পড়েছে ১৪ হাজার ৬৫৬টি। বাতিল হয়েছে ৩৬৪টি ভোট। ভোট দিয়েছেন ৭৭ শতাংশ ভোটার।
মাখালডাঙ্গা ইউপিতে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিশ্বজিত সাহা ৫ হাজার ৭২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আরশাদ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৫ হাজার ১৩৫ ভোট। আর চশমা প্রতীক নিয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ২ হাজার ৩০২ ভোট, আনারস প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়েছেন মো. আশাদুল হক এবং অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী মোহা. ওসমান গনি পেয়েছেন ৪৮১ ভোট। নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোটার ছিল ১৯ হাজার ৭৮৩ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৫ হাজার ৭১১ জন। ভোট বৈধ হয়েছে ১৫ হাজার ২৮১টি। বাতিল হয়েছে ৪৩০ ভোট। ভোট পড়েছে ৭৯ শতাংশ।

এদিকে, আইন অনুযায়ী নির্বাচনে জামানত টিকাতে হলে মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। শংকরচন্দ্র ইউপিতে বৈধ ভোট পড়েছে ১৪ হাজার ৬৫৬টি। সেই হিসাবে জামানত টিকাতে হলে প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৮৩২ ভোট। হিসাব অনুযায়ী শংকরচন্দ্র ইউপি নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন মো. বখতিয়ার, মো. জিসান মিয়া, মো. কাজী আমিরুল ইসলাম, সিকদার রাকিব হাসান ও মো. শরিফুল ইসলাম। অপরদিকে, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে বৈধ পড়েছে ১৫ হাজার ২৮১টি। এখানে জামানত টিকাতে প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৯১০ ভোট। সেই হিসাবে মাখালডাঙ্গায় জামানত হারিয়েছেন মো. আশাদুল হক ও মোহা. ওসমান গনি।
চুয়াডাঙ্গার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সাধারণ সদস্য পদে লড়াইয়ে ছিলেন ৪২ জন। সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন ১৬ জন। এবং নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন। সদস্য পদে ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলেন যারা:
নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ভ্যান প্রতীক নিয়ে ৬৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনারুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইবাদত আলী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭৬ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে তালা প্রতীক নিয়ে ৩৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর আলম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫০ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আশরাফুল হক তালা প্রতীক নিয়ে ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবিদ হোসেন টিটুল ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১২ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে রাকিব আহম্মেদ সণ্টু ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৫ ভোট।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মিজানুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৫১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দুইজন তথা আব্দুল কাদের বিশ্বাস মোরগ প্রতীকে ও নাজিরুল ইসলাম সাগর ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫২ ভোট। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নুরুল ইসলাম বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিয়ার রহমান ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০১ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নাসির উদ্দীন মোরগ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ১০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বসির আহমেমদ ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪৩ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে বিল্লাল হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ৬৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম উদ্দীন ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪৮ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে খাদেমুল বাসার ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ৩৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামাল উদ্দীন ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২৮ ভোট।
নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আল্পনা খাতুন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ১৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলেয়া বেগম সূর্যমুখি ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৯১ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বিউটি খাতুন হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোমেলা খাতুন বক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬০০ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোছা. লাখি খাতুন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শারমিন নাহার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৮ ভোট।

এদিকে, শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে দুলু মিয়া ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুমন আলী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৬১ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে জাফর উল্লাহ শারাফাত বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহফুজুর রহমান মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০৫ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আবুল কালাম আজাদ ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে ৭০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৮ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মেহের উদ্দীন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৬১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহির উদ্দিন মন্ডল তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫৫ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মাসুদুর রহমান তালা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফীল উদ্দীন মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮১২ ভোট।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে টোকন উদ্দীন মোরগ প্রতীক নিয়ে ৫২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ার হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪০ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে সুজন মিয়া ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে ৭৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুরাদ আলী মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭০৯ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ইমরান হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ২৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাসেল আহম্মেদ তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬১ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ছানোয়ার হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ৭০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট।
শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সুবর্না শোভা সূর্যমুখি ফুল প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকসানা খাতুন বক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯০ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সুফিয়া খাতুন মাইক প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহানাজ খাতুন তালগাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৭ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোছা. হামিদা হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পারুলা খাতুন মাইক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৯৩ ভোট।