ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শেষ হলো শংকরচন্দ্র ও মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচন

ভোটকে ঘিরে উৎসবের আমেজ, নজিরবিহীন নিরাপত্তা

বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন ডিসি ড.কিসিঞ্জার চাকমা ও এসপি ফয়জুর রহমান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

নজিরবিহীন কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ও মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার নির্বাচনে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ শতাধিক সদস্য। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে তাদের মাঝে ছিল খুশির আমেজ। ভোট কেন্দ্রের বাইরেও ছিল সাধারণ ভোটার ও শিশু-কিশোরদের মিলনমেলা।
সরেজমিনে দুটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকতে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতির সংখ্যা। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল একজন পরিদর্শকের নেত্বতে পুলিশ ফোর্স ও আনসার সদস্যরা। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনায় সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইদঘাট ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ ও গাড়াবাড়িয়া ভোটকেন্দ্রে ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা। এছাড়া মাঠে ছিল স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। মোড়ে মোড়ে ছিল ট্রাফিক পুলিশের অবস্থান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ৪১০ জন সদস্য, র‌্যাব সদস্য ৩৪ জন, বিজিবির সদস্য ২৩ জন আর ৩৪০ জন আনসার সদস্য। এছাড়া মাঠে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘উৎসাহ-উদ্দীপনায় শংকরচন্দ্র ও নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দীর্ঘ সময় নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভোট কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্রে আসা যাওয়ার পথে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা দায়িত্বে ছিলেন। ছোট-খাটো দু-একটা বিচ্যুতি ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে দু-একটি অপ্রীতিকর ছোট ঘটনা ঘটেছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছি। সাধারণ ভোটাররা উৎসাহ নিয়ে ভোট প্রদানের পরেও ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রের বাইরে ছিল। তারা আমাদেরকে এই ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারা, আমরা তা নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
পুলিশ প্রশাসনের সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘কোনো শঙ্কা থেকে নয়, শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় এবার আমরা বেশি সতর্ক থেকেছি। সব কেন্দ্রে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা ছিল, নির্ধারিত ৯ মার্চ তারিখে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করার। শংকরচন্দ্র ও নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। আমরা সকাল থেকে ভোটের মাঠে দেখেছি কোথাও কোনো উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই দুটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ছোট খাটো যে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে, সংবাদ পাওয়ার পরপরই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভোট প্রদান শেষে ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার পর পর্যন্ত এ নির্বাচনে কোথাও যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।’

এদিকে, ভোট উপলক্ষে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের বাইরে নানা রকমের মুখরোচক খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। সেখানেও ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শিশু-কিশোরদের জন্য মনোহরি পণ্য ও খেলনা সামগ্রী বিক্রি করতেও দেখা গেছে। সবমিলিয়ে ভোট শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নয়, এ যেন সব বয়সী মানুষের জন্য উৎসবের আমেজ বয়ে নিয়ে আসে।

মায়ের সাথে ভোট কেন্দ্রে এসেছিল শিশু সুমাইয়া। ভোট কেন্দ্রের বাইরে খেলনার দোকান দেখে খেলনা কিনে দেওয়ার জন্য মায়ের কাছে বায়না ধরে সে। বাধ্য হয়ে মা খাদিজা খাতুন তার ছোট মেয়েকে একটি প্লাস্টিকের খেলনা কিনে দেন। তিনি বলেন, খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছি। কিন্তু এখন খেলনা কিনে দেওয়ার জন্য মেয়ে কান্না করছে। বাড়ি থেকে তেমন টাকাও নিয়ে আসা হয়নি। তাই পরিচিত একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খেলনা কিনে দিলাম।

আব্দুল হাকিম নামের এক যুবক বলেন, এমন ভোট আগে কখনো দেখিনি। ভোট দিতে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে, তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও যে উৎসব হতে পারে, এই ভোট তার প্রমাণ। তিনি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে খুশি। নুরুন্নাহার নামের এক নতুন ভোটার জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘বাড়ির লোকজনের সাথে ভোট দিতে এসেছি। ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবুও খুশি সুষ্ঠুভাবে জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শেষ হলো শংকরচন্দ্র ও মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচন

ভোটকে ঘিরে উৎসবের আমেজ, নজিরবিহীন নিরাপত্তা

বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন ডিসি ড.কিসিঞ্জার চাকমা ও এসপি ফয়জুর রহমান

আপলোড টাইম : ০৯:৫১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

নজিরবিহীন কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ও মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার নির্বাচনে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ শতাধিক সদস্য। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে তাদের মাঝে ছিল খুশির আমেজ। ভোট কেন্দ্রের বাইরেও ছিল সাধারণ ভোটার ও শিশু-কিশোরদের মিলনমেলা।
সরেজমিনে দুটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকতে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতির সংখ্যা। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল একজন পরিদর্শকের নেত্বতে পুলিশ ফোর্স ও আনসার সদস্যরা। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনায় সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইদঘাট ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ ও গাড়াবাড়িয়া ভোটকেন্দ্রে ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা। এছাড়া মাঠে ছিল স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। মোড়ে মোড়ে ছিল ট্রাফিক পুলিশের অবস্থান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ৪১০ জন সদস্য, র‌্যাব সদস্য ৩৪ জন, বিজিবির সদস্য ২৩ জন আর ৩৪০ জন আনসার সদস্য। এছাড়া মাঠে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘উৎসাহ-উদ্দীপনায় শংকরচন্দ্র ও নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দীর্ঘ সময় নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভোট কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্রে আসা যাওয়ার পথে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা দায়িত্বে ছিলেন। ছোট-খাটো দু-একটা বিচ্যুতি ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে দু-একটি অপ্রীতিকর ছোট ঘটনা ঘটেছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছি। সাধারণ ভোটাররা উৎসাহ নিয়ে ভোট প্রদানের পরেও ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রের বাইরে ছিল। তারা আমাদেরকে এই ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারা, আমরা তা নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
পুলিশ প্রশাসনের সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘কোনো শঙ্কা থেকে নয়, শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় এবার আমরা বেশি সতর্ক থেকেছি। সব কেন্দ্রে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা ছিল, নির্ধারিত ৯ মার্চ তারিখে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করার। শংকরচন্দ্র ও নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। আমরা সকাল থেকে ভোটের মাঠে দেখেছি কোথাও কোনো উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই দুটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ছোট খাটো যে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে, সংবাদ পাওয়ার পরপরই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভোট প্রদান শেষে ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার পর পর্যন্ত এ নির্বাচনে কোথাও যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।’

এদিকে, ভোট উপলক্ষে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের বাইরে নানা রকমের মুখরোচক খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। সেখানেও ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শিশু-কিশোরদের জন্য মনোহরি পণ্য ও খেলনা সামগ্রী বিক্রি করতেও দেখা গেছে। সবমিলিয়ে ভোট শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নয়, এ যেন সব বয়সী মানুষের জন্য উৎসবের আমেজ বয়ে নিয়ে আসে।

মায়ের সাথে ভোট কেন্দ্রে এসেছিল শিশু সুমাইয়া। ভোট কেন্দ্রের বাইরে খেলনার দোকান দেখে খেলনা কিনে দেওয়ার জন্য মায়ের কাছে বায়না ধরে সে। বাধ্য হয়ে মা খাদিজা খাতুন তার ছোট মেয়েকে একটি প্লাস্টিকের খেলনা কিনে দেন। তিনি বলেন, খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছি। কিন্তু এখন খেলনা কিনে দেওয়ার জন্য মেয়ে কান্না করছে। বাড়ি থেকে তেমন টাকাও নিয়ে আসা হয়নি। তাই পরিচিত একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খেলনা কিনে দিলাম।

আব্দুল হাকিম নামের এক যুবক বলেন, এমন ভোট আগে কখনো দেখিনি। ভোট দিতে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে, তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও যে উৎসব হতে পারে, এই ভোট তার প্রমাণ। তিনি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে খুশি। নুরুন্নাহার নামের এক নতুন ভোটার জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘বাড়ির লোকজনের সাথে ভোট দিতে এসেছি। ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবুও খুশি সুষ্ঠুভাবে জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে।’