ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় পিতার লালসার স্বীকার হয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় পিতার লালসার স্বীকার হয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক কিশোরীর। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই কিশোরীর পিতা আলতাফ হোসেনকে (৪৫) গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে স্বামী আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, আলতাফ হোসেন (৪৫) সাতক্ষীরা জেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে। অনেক বছর আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনের মেয়ে তাসলিমার সাথে বিয়ে হয় আলতাফ হোসেনের। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়ি চিৎলা গ্রামে বসবাস করত। আলতাফ হোসেন ও তাসলিমা দম্পত্তির দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিনের পর দিন পিতার লালসার স্বীকার হলেও প্রাণের ভয়ে এই ভয়ংকর কথা কাউকে জানাতে পারেনি ওই কিশোরী। কিছুদিন আগে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নববধূর কিশোরীর শারীরিক গঠন শ্বশুরবাড়িতে সন্দেহের জন্ম দেয়। তখনই জঘন্য এ ঘটনার জানাজানি হয়।
ওই কিশোরীর মামা মো. সম্রাট বলেন, ‘আমার বোনের সাথে আলতাফের বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমাদের গ্রামেই তারা বসবাস করত। আমার বোন বাড়িতে না থাকলে আলতাফ হোসেন তার বড় মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করত। কয়েক মাস ধরে এ ধরনের কাজ করে আসছে তিনি। ভয়ে আমার ভাগ্নি কাউকে কিছু জানায়নি।
তিনি আওে বলেন, ২২ দিন আগে আমার ভাগ্নিকে পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামের সজিব হোসেনের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পরই তার শারীরিক গঠনে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা ভাগ্নিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে ভাগ্নি জানায়, তার জন্মদাতা পিতা প্রায় ৩/৪ মাস ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছেন। তার মা বাড়িতে না থাকলে সেই সুযোগ নিয়ে তার পিতা তাকে ধর্ষণ করত। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আমাদের এখানে নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে গাংনী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ওই কিশোরীর নিকট ঘটনা জানতে চাইলে সে জানিয়েছে, তার পিতা তাকে জোরপূর্বক এ কাজ করেছে। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি। বৃহস্পতিবার রাতেই আসমানখালী ক্যাম্প পুলিশের এসআই নওশাদ আহমেদ অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় পিতার লালসার স্বীকার হয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী

আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

আলমডাঙ্গায় পিতার লালসার স্বীকার হয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক কিশোরীর। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই কিশোরীর পিতা আলতাফ হোসেনকে (৪৫) গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে স্বামী আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, আলতাফ হোসেন (৪৫) সাতক্ষীরা জেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে। অনেক বছর আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনের মেয়ে তাসলিমার সাথে বিয়ে হয় আলতাফ হোসেনের। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়ি চিৎলা গ্রামে বসবাস করত। আলতাফ হোসেন ও তাসলিমা দম্পত্তির দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিনের পর দিন পিতার লালসার স্বীকার হলেও প্রাণের ভয়ে এই ভয়ংকর কথা কাউকে জানাতে পারেনি ওই কিশোরী। কিছুদিন আগে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নববধূর কিশোরীর শারীরিক গঠন শ্বশুরবাড়িতে সন্দেহের জন্ম দেয়। তখনই জঘন্য এ ঘটনার জানাজানি হয়।
ওই কিশোরীর মামা মো. সম্রাট বলেন, ‘আমার বোনের সাথে আলতাফের বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমাদের গ্রামেই তারা বসবাস করত। আমার বোন বাড়িতে না থাকলে আলতাফ হোসেন তার বড় মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করত। কয়েক মাস ধরে এ ধরনের কাজ করে আসছে তিনি। ভয়ে আমার ভাগ্নি কাউকে কিছু জানায়নি।
তিনি আওে বলেন, ২২ দিন আগে আমার ভাগ্নিকে পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামের সজিব হোসেনের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পরই তার শারীরিক গঠনে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা ভাগ্নিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে ভাগ্নি জানায়, তার জন্মদাতা পিতা প্রায় ৩/৪ মাস ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছেন। তার মা বাড়িতে না থাকলে সেই সুযোগ নিয়ে তার পিতা তাকে ধর্ষণ করত। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আমাদের এখানে নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে গাংনী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ওই কিশোরীর নিকট ঘটনা জানতে চাইলে সে জানিয়েছে, তার পিতা তাকে জোরপূর্বক এ কাজ করেছে। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি। বৃহস্পতিবার রাতেই আসমানখালী ক্যাম্প পুলিশের এসআই নওশাদ আহমেদ অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।