ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবিক বিভাগে পরীক্ষা দিচ্ছেন বাণিজ্য শিক্ষার্থী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে চলতি বছর ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে স্কুলের শিক্ষকদের ভুলে এসএসসি পরীক্ষার্থী এশার শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যি বিভাগে পড়ে এখন তাকে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে মানবিক বিভাগে। এ বিষয়ে তার অভিভাবক বার বার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে সমাধানের জন্য গিয়েও কোনো সমাধান পায়নি বলে অভিযোগ করেছে এশার মা সাবানা আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের এনপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়ে পড়েছে ওই শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

শিক্ষার্থী এশা বলেন, এনপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে পড়াশুনা করে আসছি। নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি বাণিজ্য বিভাগে পরীক্ষা দিয়ে। টেস্ট পরীক্ষাও দিয়েছি বাণিজ্য বিভাগে। পরীক্ষার একদিন আগে বিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র নিতে যেয়ে দেখি আমার এডমিড কার্ড এসেছে মানবিক বিভাগে। বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি আমাকে অভিভাবক নিয়ে আসতে বলেন।

এশার মা সাবানা আক্তার বলেন, মেয়ের বিভাগ পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই জানালে তিনি আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্যও হুমকি দেন।

প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ফরম ফিলাপে ভুল হলে সেটা সংশোধন করতে যশোর বোর্ডে যেতে খরচ লাগে। সেই কারণে এশার কাছে কিছু টাকার কথা বলা হয়েছে। এ ভুলতো বিদ্যালয়ের না, ভুল শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম শাহা বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি। শিক্ষার্থীর জীবন যেন ঝরে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মানবিক বিভাগে পরীক্ষা দিচ্ছেন বাণিজ্য শিক্ষার্থী

আপলোড টাইম : ১১:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রতিবেদক, গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে চলতি বছর ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে স্কুলের শিক্ষকদের ভুলে এসএসসি পরীক্ষার্থী এশার শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যি বিভাগে পড়ে এখন তাকে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে মানবিক বিভাগে। এ বিষয়ে তার অভিভাবক বার বার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে সমাধানের জন্য গিয়েও কোনো সমাধান পায়নি বলে অভিযোগ করেছে এশার মা সাবানা আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের এনপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়ে পড়েছে ওই শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

শিক্ষার্থী এশা বলেন, এনপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে পড়াশুনা করে আসছি। নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি বাণিজ্য বিভাগে পরীক্ষা দিয়ে। টেস্ট পরীক্ষাও দিয়েছি বাণিজ্য বিভাগে। পরীক্ষার একদিন আগে বিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র নিতে যেয়ে দেখি আমার এডমিড কার্ড এসেছে মানবিক বিভাগে। বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি আমাকে অভিভাবক নিয়ে আসতে বলেন।

এশার মা সাবানা আক্তার বলেন, মেয়ের বিভাগ পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই জানালে তিনি আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্যও হুমকি দেন।

প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ফরম ফিলাপে ভুল হলে সেটা সংশোধন করতে যশোর বোর্ডে যেতে খরচ লাগে। সেই কারণে এশার কাছে কিছু টাকার কথা বলা হয়েছে। এ ভুলতো বিদ্যালয়ের না, ভুল শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম শাহা বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি। শিক্ষার্থীর জীবন যেন ঝরে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।