ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার দিগড়ীতে আগুন পোহানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘাড়ে কোপ

১৭ দিন পর চিকিৎসাধীন সেই নাহারুলের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দিগড়ীতে আগুন পোহানো নিয়ে বিরোধের জেরে হাসুয়ার কোপে জখম নাহারুল (৫০) মারা গেছেন। ১৭ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে তার মৃত্যু হয়। নাহারুল দিগড়ী গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় করা মামলায় রফিকুল ইসলাম (৫২) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ঘটনার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওহিদুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন ও রফিকুল ইসলামকে এজাহারনামীয় আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেন নাহারুলের ছেলে লিখন ইসলাম। এ মামলার ৩ নম্বর আসামি হলেন রফিকুল ইসলাম।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে অহিদুলের বাড়ির সামনে আগুন পোহাচ্ছিল নাহারুল। এসময় অহিদুল বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে বলেন, আমার বাড়ি থেকে কাঠ নিয়ে আগুন পোহাচ্ছিস কেনো। নাহারুল অহিদুলকে বলেন, তোমার বাড়ি থেকে কেউ কাঠ আনেনি। এর একপর্যায়ে অহিদুলসহ তার সাথে থাকা কয়েকজন বাড়ির ভিতর থেকে হাসুয়া-চাপতি এনে এলোপাতাড়ি কুপিয় জখম করে নাহারুলকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে নাহারুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে নাহারুলের মৃত্যু হয়। রাতেই লাশ তার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তার তাকে দাফন করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ দিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। ওই মামলায় ৩ জন আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার দিগড়ীতে আগুন পোহানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘাড়ে কোপ

১৭ দিন পর চিকিৎসাধীন সেই নাহারুলের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৪:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দিগড়ীতে আগুন পোহানো নিয়ে বিরোধের জেরে হাসুয়ার কোপে জখম নাহারুল (৫০) মারা গেছেন। ১৭ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে তার মৃত্যু হয়। নাহারুল দিগড়ী গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় করা মামলায় রফিকুল ইসলাম (৫২) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ঘটনার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওহিদুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন ও রফিকুল ইসলামকে এজাহারনামীয় আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেন নাহারুলের ছেলে লিখন ইসলাম। এ মামলার ৩ নম্বর আসামি হলেন রফিকুল ইসলাম।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে অহিদুলের বাড়ির সামনে আগুন পোহাচ্ছিল নাহারুল। এসময় অহিদুল বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে বলেন, আমার বাড়ি থেকে কাঠ নিয়ে আগুন পোহাচ্ছিস কেনো। নাহারুল অহিদুলকে বলেন, তোমার বাড়ি থেকে কেউ কাঠ আনেনি। এর একপর্যায়ে অহিদুলসহ তার সাথে থাকা কয়েকজন বাড়ির ভিতর থেকে হাসুয়া-চাপতি এনে এলোপাতাড়ি কুপিয় জখম করে নাহারুলকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে নাহারুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে নাহারুলের মৃত্যু হয়। রাতেই লাশ তার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তার তাকে দাফন করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ দিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। ওই মামলায় ৩ জন আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।