ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরের ফজলুর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

কিস্তির টাকা জোগাড় করতে মামাতো ভাইকে খুন করেন জব্বার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের ভ্যানচালক ফজলু (২৬) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এনজিওর ঋণের কিস্তির ৬ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে ভ্যান ও মোবাইল কেড়ে নিতে আপন মামাতো ভাইকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেন ভাই জব্বার মিয়া (২৯)। গ্রেপ্তারের পর গত রোববার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ফজলুকে হত্যার দায় স্বীকার করে এ কথা বলেন জব্বার। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফজলু জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার কাশেমের ছেলে। আর জব্বার একই এলাকার মো. দলিল উদ্দিনের ছেলে।

জবানবন্দিতে জব্বার বলেন, মজনু খাঁ ওরফে ফজলু (২৯) ও তিনি সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই। দুজনই বিদ্যুতের খুঁটি তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। জব্বার সমিতি থেকে তোলা কিস্তির টাকা শোধের জন্য ফজলুর ভ্যান ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ফজলুকে ডেকে কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন জব্বার। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে ভৈরব নদের ধারে একটি ফসলের খেতে ফেলে রেখে ভ্যান ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান জব্বার।

এ ঘটনায় ফজলুর বাবস কাশেম আলী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানাতে না পারায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। আর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার রাতে ফজলুর লাশ দাফন করা হয় নিজ গ্রামের কবরস্থানে।

এদিকে, হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জীবননগর থানার এসআই ফিরোজ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে জব্বারকে আটক করেন। তবে আটকের পর বিভিন্ন মিথ্যা ও কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলতে চেষ্টা করে জব্বার। তবে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা এলাকা হতে উদ্ধার করা হয় ফজলুর পাখি ভ্যান ও মোবাইল ফোন। এ ঘটনায় জব্বারের বিরুদ্ধে গত রোববার জীবননগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপার্দ করা হয়। এদিকে, ফজলুর মৃত্যুর কারণে তার বৃদ্ধ বাবা তার দুই সন্তান ও সংসার চালানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরের ফজলুর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

কিস্তির টাকা জোগাড় করতে মামাতো ভাইকে খুন করেন জব্বার

আপলোড টাইম : ০৪:০১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের ভ্যানচালক ফজলু (২৬) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এনজিওর ঋণের কিস্তির ৬ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে ভ্যান ও মোবাইল কেড়ে নিতে আপন মামাতো ভাইকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেন ভাই জব্বার মিয়া (২৯)। গ্রেপ্তারের পর গত রোববার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ফজলুকে হত্যার দায় স্বীকার করে এ কথা বলেন জব্বার। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফজলু জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার কাশেমের ছেলে। আর জব্বার একই এলাকার মো. দলিল উদ্দিনের ছেলে।

জবানবন্দিতে জব্বার বলেন, মজনু খাঁ ওরফে ফজলু (২৯) ও তিনি সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই। দুজনই বিদ্যুতের খুঁটি তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। জব্বার সমিতি থেকে তোলা কিস্তির টাকা শোধের জন্য ফজলুর ভ্যান ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ফজলুকে ডেকে কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন জব্বার। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে ভৈরব নদের ধারে একটি ফসলের খেতে ফেলে রেখে ভ্যান ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান জব্বার।

এ ঘটনায় ফজলুর বাবস কাশেম আলী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানাতে না পারায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। আর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার রাতে ফজলুর লাশ দাফন করা হয় নিজ গ্রামের কবরস্থানে।

এদিকে, হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জীবননগর থানার এসআই ফিরোজ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে জব্বারকে আটক করেন। তবে আটকের পর বিভিন্ন মিথ্যা ও কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলতে চেষ্টা করে জব্বার। তবে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা এলাকা হতে উদ্ধার করা হয় ফজলুর পাখি ভ্যান ও মোবাইল ফোন। এ ঘটনায় জব্বারের বিরুদ্ধে গত রোববার জীবননগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপার্দ করা হয়। এদিকে, ফজলুর মৃত্যুর কারণে তার বৃদ্ধ বাবা তার দুই সন্তান ও সংসার চালানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।