ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার আহ্বান

ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নানা রমের পিঠা নিয়ে চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পিঠা উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন বিভাগের স্টলগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে বাড়ি থেকে গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠা পুলি তৈরি করে নিয়ে আসে। সুজি, পাকান, পুলি, হাড়ি, চিতই, ডিম, মোয়া, ভাঁপাসহ নানা রকমের পিঠা বিক্রি হচ্ছিল স্টলগুলোতে। দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন পিঠার আকার ও স্বাদ বেশ ভালো।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নিজ হাতে রাত জেগে পিঠা-পুলি, পায়েস তৈরি করে নিয়ে এসেছি। নিজেরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে পিঠা তৈরি করেছি। সবাইকে পিঠা খাওয়াতে পেরে আমরা খুশি। উৎসব ও আয়োজনে কোনো কমতি নেই। শিক্ষকরাও সহযোগিতা করছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, দেশের হারানো গৌরব ও পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। ইতিহাস মানেই সংস্কৃতি, পুরাতন যেটা সেটাই ইতিহাস। এটাকে গণমুখী করার জন্য এ আয়োজন। আগামীতে বৈশাখি মেলার আয়োজন করে বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এ আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমরা পুরোনো ঐতিহ্যকে হারাতে বসেছি। পিঠা উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের দেশের স্বাদের পিঠাগুলিকে। কোন গুলো হারিয়ে যেতে বসেছে, সেগুলোও স্মরণ করিয়ে দেয়। বেত ও বাঁশের স্থানে প্লাস্টিক ভর করেছে। এই পিঠা উৎসব একটি ভালো উদ্যোগ। পুরোনোকে না জানলে, ইতিহাস থেকে জানা যায় না। হারাতে বসা জিনিসগুলোকে গণমুখী করার জন্য যারা কাজ করে আমরা তাদের সাধুবাদ জানায়। আমি শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা দেখেছি। সেখানে সব কিছুই হাতের তৈরি। পহেলা বৈশাখে বড় মেলার আয়োজন করার আপিল থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন জানান, প্রতি বছর পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়। এতে থাকে নানা রকমের পিঠা। তবে এবার বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিবারের সহযোগিতায় এ পিঠা তৈরি করে নিয়ে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আয়োজনে কোনো কমতি আমরা রাখিনি। বাঙালির ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার আহ্বান

ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আপলোড টাইম : ০৪:১৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নানা রমের পিঠা নিয়ে চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পিঠা উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন বিভাগের স্টলগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে বাড়ি থেকে গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠা পুলি তৈরি করে নিয়ে আসে। সুজি, পাকান, পুলি, হাড়ি, চিতই, ডিম, মোয়া, ভাঁপাসহ নানা রকমের পিঠা বিক্রি হচ্ছিল স্টলগুলোতে। দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন পিঠার আকার ও স্বাদ বেশ ভালো।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নিজ হাতে রাত জেগে পিঠা-পুলি, পায়েস তৈরি করে নিয়ে এসেছি। নিজেরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে পিঠা তৈরি করেছি। সবাইকে পিঠা খাওয়াতে পেরে আমরা খুশি। উৎসব ও আয়োজনে কোনো কমতি নেই। শিক্ষকরাও সহযোগিতা করছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, দেশের হারানো গৌরব ও পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। ইতিহাস মানেই সংস্কৃতি, পুরাতন যেটা সেটাই ইতিহাস। এটাকে গণমুখী করার জন্য এ আয়োজন। আগামীতে বৈশাখি মেলার আয়োজন করে বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এ আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমরা পুরোনো ঐতিহ্যকে হারাতে বসেছি। পিঠা উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের দেশের স্বাদের পিঠাগুলিকে। কোন গুলো হারিয়ে যেতে বসেছে, সেগুলোও স্মরণ করিয়ে দেয়। বেত ও বাঁশের স্থানে প্লাস্টিক ভর করেছে। এই পিঠা উৎসব একটি ভালো উদ্যোগ। পুরোনোকে না জানলে, ইতিহাস থেকে জানা যায় না। হারাতে বসা জিনিসগুলোকে গণমুখী করার জন্য যারা কাজ করে আমরা তাদের সাধুবাদ জানায়। আমি শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা দেখেছি। সেখানে সব কিছুই হাতের তৈরি। পহেলা বৈশাখে বড় মেলার আয়োজন করার আপিল থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন জানান, প্রতি বছর পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়। এতে থাকে নানা রকমের পিঠা। তবে এবার বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিবারের সহযোগিতায় এ পিঠা তৈরি করে নিয়ে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আয়োজনে কোনো কমতি আমরা রাখিনি। বাঙালির ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ।