ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরের সন্তোষপুরের ফজলুর রহস্যজনক মৃত্যু, মাঠ থেকে মরদেহ উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, উথলী :

জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের ফজলু রহমান (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে ভৈরব নদের পাড়ে একটি পেঁপে বাগান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফজলু জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার কাশেমের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোল ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। পাশাপাশি পাখিভ্যানও চালাতেন।
ফজলুর মা মনজুরা বলেন, ‘আমার ছেলে মঙ্গলবার রাতে এশার আজানের পর বাড়ি থেকে পাখিভ্যান নিয়ে বের হয়ে যায়। সারারাত সে বাড়িতে না ফেরায় আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সকালে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পায় মনোহরপুর গ্রাম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে আমার ছেলের লাশ দেখতে পায়। তিনি আরও বলেন, যেখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেই মাঠে আমার ছেলের ১০ কাঠা মতো জমিতে ভুট্টার আবাদ রয়েছে। আমার ছেলের পাখিভ্যান ও কাছে থাকা মোবাইলটি এখনও পাওয়া যায়নি।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে হয়তো মেরে ফেলা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফজলুর এক ফুফাতো ভাই জব্বারও গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত বাড়িতে ফেরেনি। জব্বার (৩২) একই গ্রামের দলির উদ্দিনের ছেলে। তারা একই সাথে অন্যান্য দিন পোল ফ্যাক্টরিতে যেতো। তবে তিনি মোবাইল না নিয়ে যাওয়ায় তাঁর সাথে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছে না। জব্বার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাথে করে এনআইডি কার্ড নিয়ে গেছে এবং ট্রাকে হেল্পারের কাজ করবে বলে জানিয়ে গেছে। তবে তাঁরা প্রশাসনের কোনো বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতো কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবার নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারেনি। তবে এ বিষয়ে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরের সন্তোষপুরের ফজলুর রহস্যজনক মৃত্যু, মাঠ থেকে মরদেহ উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৪:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রতিবেদক, উথলী :

জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের ফজলু রহমান (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে ভৈরব নদের পাড়ে একটি পেঁপে বাগান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফজলু জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার কাশেমের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোল ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। পাশাপাশি পাখিভ্যানও চালাতেন।
ফজলুর মা মনজুরা বলেন, ‘আমার ছেলে মঙ্গলবার রাতে এশার আজানের পর বাড়ি থেকে পাখিভ্যান নিয়ে বের হয়ে যায়। সারারাত সে বাড়িতে না ফেরায় আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সকালে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পায় মনোহরপুর গ্রাম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে আমার ছেলের লাশ দেখতে পায়। তিনি আরও বলেন, যেখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেই মাঠে আমার ছেলের ১০ কাঠা মতো জমিতে ভুট্টার আবাদ রয়েছে। আমার ছেলের পাখিভ্যান ও কাছে থাকা মোবাইলটি এখনও পাওয়া যায়নি।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে হয়তো মেরে ফেলা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফজলুর এক ফুফাতো ভাই জব্বারও গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত বাড়িতে ফেরেনি। জব্বার (৩২) একই গ্রামের দলির উদ্দিনের ছেলে। তারা একই সাথে অন্যান্য দিন পোল ফ্যাক্টরিতে যেতো। তবে তিনি মোবাইল না নিয়ে যাওয়ায় তাঁর সাথে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছে না। জব্বার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাথে করে এনআইডি কার্ড নিয়ে গেছে এবং ট্রাকে হেল্পারের কাজ করবে বলে জানিয়ে গেছে। তবে তাঁরা প্রশাসনের কোনো বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতো কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবার নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারেনি। তবে এ বিষয়ে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।