ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

অনৈতিকভাবে কেউ পণ্য মজুদ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের গত সভার সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আলমডাঙ্গায় অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও এ ধরনের অভিযান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করবো, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করবেন।

উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের নানা রকম উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলমান আছে। কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, আপনারা খেয়াল রাখবেন। কাজের মান সুন্দর ও ভালো হওয়ার জন্য বুঝে নিতে হবে। আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা এগুলোর প্রতি নজর রাখবেন। টিআরসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজও চলমান আছে। সঠিক শ্রমিক ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ভবন নির্মাণে নিয়ম নীতি মানার বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সরকার বিল্ডিং কন্সট্রাকশন কমিটি করেছে। ২০২২ সাল থেকে এই কমিটি ভবন নির্মাণে মনিটরিং করছে।

টপসয়েলের বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, মাটির মূল উপাদানই থাকে টপসয়েলে। টপসয়েল যাতে কাটা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিগত কয়েকদিনে জীবননগরে টপসয়েল কাটার কারণে অভিযানও হয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এ সময় তিনি সভার সকলকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো প্রকার পাবলিক পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করা যাবে না। অসৎ উপায় অবলম্বনকরাীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা সিন্ডিকেট বন্ধ করতে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা বাজারের মজুদ সিন্ডিকেট প্রতিরোধ করতে হবে। অনৈতিকভাবে কেউ পণ্য মজুদ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জেলায় চলমান বিভিন্ন নিয়োগ কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরকারের নির্দেশনা সুস্পষ্ট। জিরো টলারেন্স। অনৈতিক কিছু করতে দেওয়া হবে না।

স্থানীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। কোনো প্রকার ধর্মীয় উসকানিমূলক কথা বা জাতি ধর্ম নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ প্রক্রিয়া সৃষ্টি করা যাবে না। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। এ ধরনের কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষকদের পাট জাগ দেওয়ার সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকরা একটু সমস্যায় পড়েছিল। আমি সচিব স্যারের সাথেও কথা বলেছি। স্যার পরামর্শ দিয়েছেন বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারের। কৃষকদের সচেতন করতে হবে।

এসময় জীবননগর পৌরসভার এক কাউন্সিলর পাটের বীজে সমস্যার কথা উল্লেখ করলে জেলা প্রশাসক কৃষি বিভাগকে বিষয়টি দেখার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, কৃষকদের সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি বড় বাজার ও নতুন বাজারের দুর্গন্ধের বিষয়টি তুলে ধরলে জেলা প্রশাসক প্রেসক্লাবের সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। বড় বাজারের বর্জ্য শোধন করতে হবে। তিনি পৌর মেয়রকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত সমাধানের অনুরোধ করেন।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারবিধি নিয়ে সচেতন হওয়ার বিষয়টি সভায় উন্থাপন করলে জেলা প্রশাসক বলেন, অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা প্রয়োজন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

সভায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, সবাই মিলে আন্তরিক হলে চুয়াডাঙ্গাকে আন্তরিক করা যাবে। চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে হলেও আন্তরিকতা প্রয়োজন। তিনি কীটনাশক ব্যবহারের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি কৃষি বিভাগকে নজরদারি করতে হবে। চুয়াডাঙ্গার অর্থনীতি কৃষির উপরই টিকে আছে। রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা প্রমুখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসীন, জেলা মৎস্য অফিসার দীপক কুমার পাল, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মশিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা আনসার ও ভিডিবির জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ঘোষ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলওয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান, জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তার প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

অনৈতিকভাবে কেউ পণ্য মজুদ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে

আপলোড টাইম : ১০:৩৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের গত সভার সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আলমডাঙ্গায় অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও এ ধরনের অভিযান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করবো, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করবেন।

উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের নানা রকম উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলমান আছে। কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, আপনারা খেয়াল রাখবেন। কাজের মান সুন্দর ও ভালো হওয়ার জন্য বুঝে নিতে হবে। আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা এগুলোর প্রতি নজর রাখবেন। টিআরসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজও চলমান আছে। সঠিক শ্রমিক ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ভবন নির্মাণে নিয়ম নীতি মানার বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সরকার বিল্ডিং কন্সট্রাকশন কমিটি করেছে। ২০২২ সাল থেকে এই কমিটি ভবন নির্মাণে মনিটরিং করছে।

টপসয়েলের বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, মাটির মূল উপাদানই থাকে টপসয়েলে। টপসয়েল যাতে কাটা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিগত কয়েকদিনে জীবননগরে টপসয়েল কাটার কারণে অভিযানও হয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এ সময় তিনি সভার সকলকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো প্রকার পাবলিক পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করা যাবে না। অসৎ উপায় অবলম্বনকরাীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা সিন্ডিকেট বন্ধ করতে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা বাজারের মজুদ সিন্ডিকেট প্রতিরোধ করতে হবে। অনৈতিকভাবে কেউ পণ্য মজুদ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জেলায় চলমান বিভিন্ন নিয়োগ কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরকারের নির্দেশনা সুস্পষ্ট। জিরো টলারেন্স। অনৈতিক কিছু করতে দেওয়া হবে না।

স্থানীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। কোনো প্রকার ধর্মীয় উসকানিমূলক কথা বা জাতি ধর্ম নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ প্রক্রিয়া সৃষ্টি করা যাবে না। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। এ ধরনের কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষকদের পাট জাগ দেওয়ার সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকরা একটু সমস্যায় পড়েছিল। আমি সচিব স্যারের সাথেও কথা বলেছি। স্যার পরামর্শ দিয়েছেন বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারের। কৃষকদের সচেতন করতে হবে।

এসময় জীবননগর পৌরসভার এক কাউন্সিলর পাটের বীজে সমস্যার কথা উল্লেখ করলে জেলা প্রশাসক কৃষি বিভাগকে বিষয়টি দেখার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, কৃষকদের সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি বড় বাজার ও নতুন বাজারের দুর্গন্ধের বিষয়টি তুলে ধরলে জেলা প্রশাসক প্রেসক্লাবের সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। বড় বাজারের বর্জ্য শোধন করতে হবে। তিনি পৌর মেয়রকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত সমাধানের অনুরোধ করেন।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারবিধি নিয়ে সচেতন হওয়ার বিষয়টি সভায় উন্থাপন করলে জেলা প্রশাসক বলেন, অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা প্রয়োজন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

সভায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, সবাই মিলে আন্তরিক হলে চুয়াডাঙ্গাকে আন্তরিক করা যাবে। চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে হলেও আন্তরিকতা প্রয়োজন। তিনি কীটনাশক ব্যবহারের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি কৃষি বিভাগকে নজরদারি করতে হবে। চুয়াডাঙ্গার অর্থনীতি কৃষির উপরই টিকে আছে। রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা প্রমুখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসীন, জেলা মৎস্য অফিসার দীপক কুমার পাল, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মশিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা আনসার ও ভিডিবির জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ঘোষ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলওয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান, জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তার প্রমুখ।