ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ফুলের দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণীদের ভিড়

আজ বসন্তে ‘ভালোবাসি’ বলার দিন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাঘের শেষে ফাল্গুনের প্রথম দিন আজ। শীতের রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে রঙিন ফুলে ফুলে সেজে ওঠার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে প্রকৃতির। এ যেন স্রষ্টার তুলিতে আঁকা ভালোবাসার রঙ। বাতাসে যেন মিষ্টি আনন্দের আমেজ। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনেই ভালোবাসা দিবস বা বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে। বাঙালি মনের ভালোবাসাও আজ পবিত্র, ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে মুগ্ধ। ভালোবাসা দিবসে যুগলদের মনের উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। শুধু তরুণ-তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষই ভালোবাসার এই দিনে একসঙ্গে সময় কাটাবেন। দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও যেন পায় নতুন রূপ। আজকের এ ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান, এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার জয়গানে আপ্লুত হতে পারে সবাই।

ভালোবাসা দিবস পালনে চুয়াডাঙ্গা শহরের ফুলের দোকানগুলো এখন জমজমাট। প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে ফুলের দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যারাতে শহরের পোস্ট অফিসের সামনে ফুলের দোকানগুলোতে ঘুরে এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। ফুলের দোকানীরা জানান, ক্রেতা কম, ভালোবাসা দিবসের সারাদিন ভালো বিক্রি হবে। তবে ফুলের ক্রেতারা বলছেন, এ বছর ফুলের দাম গত দুই বছরে থেকে অনেক বেশি। দাম যতই বেশি হোক ফুল কেনা কি থেমে থাকে? এ দিন প্রিয়জনকে ফুল দিতে না পারলে তো দিনটিই বৃথা। কথা হয় ফুল কিনতে আসা সাহাত ও সাফাত নামের দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা। তারা জানান, ভালোবাসা দিবসে পরিবারের প্রিয়জনদের ফুল দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য তারা ফুল কিনতে এসেছেন। ভালোবাসা শুধু তরুণ-তরুণীদের মাঝে নয়, সব বয়সের সব সম্পর্কের মানুষের জন্যই ভালোবাসা দিবস। সাহাত ও সাফাত তাদের মাকে ফুল দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাবেন বলে জানান।


ঋতুরাজ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে রাঙাতে কতই না আয়োজন। যার মূল অনুষঙ্গ রঙ-বেরঙের ফুল। সব আবেদন, অনুরাগ, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের বড় মাধ্যম ফুল। তেমনই পোস্ট অফিসের সামনের একটি ফুলঘরে দাঁড়িয়ে গোলাপ পছন্দ করছিলেন লাবনী আক্তার নামের এক যুবতী। কী ফুল কিনবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফুলের দাম বেশি। ভালোবাসা দিবসে বাবা ও মায়ের জন্য কয়েকটি গোলাপ কিনতে এসেছি। কিন্তু ৫০ টাকার কমে কোনো দোকানেই ভালো গোলাপ নেই। আগের পুরোনো ও প্রায় শুকনা গোলাপগুলোই কেবল ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও বাবা- মায়ের জন্য ভালো গোলাপই কিনব। নিজের জন্য ফুলের একটি খোপা কিনেছি দাম নিয়েছে ১৫০ টাকা। কিছুদিন আগেও আগেও এমনই একটি খোপা কিনেছিলাম মাত্র ৫০ টাকায়।’
ফুল বিক্রেতা রাসেল শেখ জানান, ‘ভালোবাসার দিবস উপলক্ষে দুই-তিন দিন আগ থেকেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তাঁদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ ফুল মজুদ আছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা কম। তিনি আশা করেন, ভালোবাসা দিবসের সারাদিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) দোকানে ভিড় থাকবে।’ এদিন, বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে ঘোরাঘুরি করে কাটাবে ভালোবাসার মানুষগুলো। তাদের পরনে লাল-নীল, সাদা, বেগুনি, গোলাপি বিভিন্ন রঙের পোশাক আর সাজসজ্জায় ভালোবাসার দিনটি যেন বর্ণিল রঙে রঙিন হয়ে উঠবে।’

জাহিদ ফুলঘরের মালিক মিজান বলেন, ‘এবার বাগান ও ফুলের হাট সবখানেই ফুলের দাম বেশি। প্রতি পিস গোলাপ মানভেদে বাগান থেকে পাইকারি ২০ থেকে ২৫ টাকা করে পড়ছে। এই ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে আমার দোকানে সব মিলিয়ে এক লাখ টাকার অতিরিক্ত ফুল তুলেছি। আজ বিক্রি কম, তবে কাল (আজ বুধবার) সারাদিন ভালো বিক্রি হবে।’


অনেকের মতে, ফেব্রুয়ারির এ সময়ে পাখিরা তাদের জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে ওঠে। তীব্র সৌরভ ছড়িয়ে ফুল সৌন্দর্যবিভায় পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রেটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপ-ঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া হয়। নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দুছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।


ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। জানা যায়, এক খ্রিস্টান পাদ্রি ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সস্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেইন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তাঁর আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ‘ফ্রম ইউর ভ্যালেনটাইন’। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন। ভ্যালেনটাইনস ডে সর্বজনীন হয়ে ওঠে আরও পরে, প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় ফুলের দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণীদের ভিড়

আজ বসন্তে ‘ভালোবাসি’ বলার দিন

আপলোড টাইম : ১০:১৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাঘের শেষে ফাল্গুনের প্রথম দিন আজ। শীতের রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে রঙিন ফুলে ফুলে সেজে ওঠার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে প্রকৃতির। এ যেন স্রষ্টার তুলিতে আঁকা ভালোবাসার রঙ। বাতাসে যেন মিষ্টি আনন্দের আমেজ। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনেই ভালোবাসা দিবস বা বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে। বাঙালি মনের ভালোবাসাও আজ পবিত্র, ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে মুগ্ধ। ভালোবাসা দিবসে যুগলদের মনের উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। শুধু তরুণ-তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষই ভালোবাসার এই দিনে একসঙ্গে সময় কাটাবেন। দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও যেন পায় নতুন রূপ। আজকের এ ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান, এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার জয়গানে আপ্লুত হতে পারে সবাই।

ভালোবাসা দিবস পালনে চুয়াডাঙ্গা শহরের ফুলের দোকানগুলো এখন জমজমাট। প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে ফুলের দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যারাতে শহরের পোস্ট অফিসের সামনে ফুলের দোকানগুলোতে ঘুরে এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। ফুলের দোকানীরা জানান, ক্রেতা কম, ভালোবাসা দিবসের সারাদিন ভালো বিক্রি হবে। তবে ফুলের ক্রেতারা বলছেন, এ বছর ফুলের দাম গত দুই বছরে থেকে অনেক বেশি। দাম যতই বেশি হোক ফুল কেনা কি থেমে থাকে? এ দিন প্রিয়জনকে ফুল দিতে না পারলে তো দিনটিই বৃথা। কথা হয় ফুল কিনতে আসা সাহাত ও সাফাত নামের দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা। তারা জানান, ভালোবাসা দিবসে পরিবারের প্রিয়জনদের ফুল দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য তারা ফুল কিনতে এসেছেন। ভালোবাসা শুধু তরুণ-তরুণীদের মাঝে নয়, সব বয়সের সব সম্পর্কের মানুষের জন্যই ভালোবাসা দিবস। সাহাত ও সাফাত তাদের মাকে ফুল দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাবেন বলে জানান।


ঋতুরাজ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে রাঙাতে কতই না আয়োজন। যার মূল অনুষঙ্গ রঙ-বেরঙের ফুল। সব আবেদন, অনুরাগ, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের বড় মাধ্যম ফুল। তেমনই পোস্ট অফিসের সামনের একটি ফুলঘরে দাঁড়িয়ে গোলাপ পছন্দ করছিলেন লাবনী আক্তার নামের এক যুবতী। কী ফুল কিনবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফুলের দাম বেশি। ভালোবাসা দিবসে বাবা ও মায়ের জন্য কয়েকটি গোলাপ কিনতে এসেছি। কিন্তু ৫০ টাকার কমে কোনো দোকানেই ভালো গোলাপ নেই। আগের পুরোনো ও প্রায় শুকনা গোলাপগুলোই কেবল ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও বাবা- মায়ের জন্য ভালো গোলাপই কিনব। নিজের জন্য ফুলের একটি খোপা কিনেছি দাম নিয়েছে ১৫০ টাকা। কিছুদিন আগেও আগেও এমনই একটি খোপা কিনেছিলাম মাত্র ৫০ টাকায়।’
ফুল বিক্রেতা রাসেল শেখ জানান, ‘ভালোবাসার দিবস উপলক্ষে দুই-তিন দিন আগ থেকেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তাঁদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ ফুল মজুদ আছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা কম। তিনি আশা করেন, ভালোবাসা দিবসের সারাদিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) দোকানে ভিড় থাকবে।’ এদিন, বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে ঘোরাঘুরি করে কাটাবে ভালোবাসার মানুষগুলো। তাদের পরনে লাল-নীল, সাদা, বেগুনি, গোলাপি বিভিন্ন রঙের পোশাক আর সাজসজ্জায় ভালোবাসার দিনটি যেন বর্ণিল রঙে রঙিন হয়ে উঠবে।’

জাহিদ ফুলঘরের মালিক মিজান বলেন, ‘এবার বাগান ও ফুলের হাট সবখানেই ফুলের দাম বেশি। প্রতি পিস গোলাপ মানভেদে বাগান থেকে পাইকারি ২০ থেকে ২৫ টাকা করে পড়ছে। এই ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে আমার দোকানে সব মিলিয়ে এক লাখ টাকার অতিরিক্ত ফুল তুলেছি। আজ বিক্রি কম, তবে কাল (আজ বুধবার) সারাদিন ভালো বিক্রি হবে।’


অনেকের মতে, ফেব্রুয়ারির এ সময়ে পাখিরা তাদের জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে ওঠে। তীব্র সৌরভ ছড়িয়ে ফুল সৌন্দর্যবিভায় পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রেটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপ-ঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া হয়। নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দুছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।


ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। জানা যায়, এক খ্রিস্টান পাদ্রি ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সস্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেইন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তাঁর আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ‘ফ্রম ইউর ভ্যালেনটাইন’। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন। ভ্যালেনটাইনস ডে সর্বজনীন হয়ে ওঠে আরও পরে, প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে।