ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় ডিসি কিসিঞ্জার চাকমা

পরীক্ষা কেন্দ্রে অনাকাক্সিক্ষত কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করলেই ব্যবস্থা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা কেন্দ্রে লাল পতাকা ও লাল কাপড়ে সতর্কবার্তা থাকতে হবে। প্রতিটা পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকতে হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের যেন কোনো শিক্ষক দ্বারা কোনো রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটা পরীক্ষা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।’ গতকাল বুধবার বেলা তিনটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা এসব কথা বলেন।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার ১৭টি কেন্দ্রে মোট ১৩ হাজার ৮৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ১১ হাজার ১০১ জন, এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষায় ১ হাজার ১২৫ ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এক হাজার ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

জেলার সকল পরীক্ষার্থীর সাফল্য কামনা করে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এদের শিক্ষাগ্রহণে আন্তরিক করতে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া অনাকাক্সিক্ষত কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের নির্দিষ্ট সীমানা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র, কলম, পেন্সিল নিয়ে পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ কেন্দ্রে প্রবেশ করবে। কোনো প্রকার মোবাইল বা এ ধরণের ডিভাইস সাথে রাখা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর একদিন আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটি বেঞ্চ, আলো এবং বৈদ্যুতিক পাখা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে, তাও সংশ্লিষ্ট বিভাগ আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাবেন।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার চিফ রিপোর্টার আহসান আলম প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) নাঈমা জাহান সুমাইয়া, সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম সাইফসহ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় ডিসি কিসিঞ্জার চাকমা

পরীক্ষা কেন্দ্রে অনাকাক্সিক্ষত কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করলেই ব্যবস্থা

আপলোড টাইম : ১০:১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা কেন্দ্রে লাল পতাকা ও লাল কাপড়ে সতর্কবার্তা থাকতে হবে। প্রতিটা পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকতে হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের যেন কোনো শিক্ষক দ্বারা কোনো রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটা পরীক্ষা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।’ গতকাল বুধবার বেলা তিনটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা এসব কথা বলেন।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার ১৭টি কেন্দ্রে মোট ১৩ হাজার ৮৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ১১ হাজার ১০১ জন, এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষায় ১ হাজার ১২৫ ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এক হাজার ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

জেলার সকল পরীক্ষার্থীর সাফল্য কামনা করে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এদের শিক্ষাগ্রহণে আন্তরিক করতে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া অনাকাক্সিক্ষত কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের নির্দিষ্ট সীমানা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র, কলম, পেন্সিল নিয়ে পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ কেন্দ্রে প্রবেশ করবে। কোনো প্রকার মোবাইল বা এ ধরণের ডিভাইস সাথে রাখা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর একদিন আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটি বেঞ্চ, আলো এবং বৈদ্যুতিক পাখা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে, তাও সংশ্লিষ্ট বিভাগ আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাবেন।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার চিফ রিপোর্টার আহসান আলম প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) নাঈমা জাহান সুমাইয়া, সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম সাইফসহ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।