ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যান মানিকের বিরুদ্ধে ইসির মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

হাসানুজ্জামান মানিক

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মামলা হয়েছে। গত রোববার চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায় বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সে সময় কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক তার কর্মী-সর্মথকদের নিয়ে দিলীপ কুমারের প্রচারণার কাজে বাধা দেন এবং তার নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয় বলে মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দিলীপ কুমার। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মানিকসহ পাঁচজনকে আটক করে। ঘটনার রাতেই ঈগল প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাড. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মানিককে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর ওই মামলায় আদালত চারজনের জামিন দিলেও হাসানুজ্জামান মানিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

পরে ২৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা আদালত থেকে জামিন পান ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিক। এরপর গাড়িবহর নিয়ে শোডাউন সহকারে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে উপস্থিত হয়ে এক জনসমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। প্রকাশ্য বক্তব্যে হাসানুজ্জামান মানিক বলেন, ‘৮ তারিখে কনে থাকবেন, ৮ তারিখে কোথায় যাবেন, ৮ তারিখে আমার এলাকায় আপনাকে থাকতে হবে, আপনি যদি আমার এলাকার সন্তান হন, আপনার সাথে দেখা হবে’। এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। যা নির্বাচন মনিটরিং কমিটির নজরে আসে।

বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গত ১১ জানুয়ারি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর ‘১৭.০০.০০০০.০৪৫.৪৮.০০৭.২৩ স্মারক, তারিখ: ১১ জানুয়ারি ২০২৪’ এক পত্র প্রেরণ করেন। সেখানে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেই মোতাবেক গত রোববার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায় বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মানিকের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর ১৪৫/২৪ মামলাটি দায়ের করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যান মানিকের বিরুদ্ধে ইসির মামলা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মামলা হয়েছে। গত রোববার চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায় বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সে সময় কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক তার কর্মী-সর্মথকদের নিয়ে দিলীপ কুমারের প্রচারণার কাজে বাধা দেন এবং তার নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয় বলে মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দিলীপ কুমার। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মানিকসহ পাঁচজনকে আটক করে। ঘটনার রাতেই ঈগল প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাড. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মানিককে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর ওই মামলায় আদালত চারজনের জামিন দিলেও হাসানুজ্জামান মানিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

পরে ২৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা আদালত থেকে জামিন পান ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিক। এরপর গাড়িবহর নিয়ে শোডাউন সহকারে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে উপস্থিত হয়ে এক জনসমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। প্রকাশ্য বক্তব্যে হাসানুজ্জামান মানিক বলেন, ‘৮ তারিখে কনে থাকবেন, ৮ তারিখে কোথায় যাবেন, ৮ তারিখে আমার এলাকায় আপনাকে থাকতে হবে, আপনি যদি আমার এলাকার সন্তান হন, আপনার সাথে দেখা হবে’। এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। যা নির্বাচন মনিটরিং কমিটির নজরে আসে।

বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গত ১১ জানুয়ারি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর ‘১৭.০০.০০০০.০৪৫.৪৮.০০৭.২৩ স্মারক, তারিখ: ১১ জানুয়ারি ২০২৪’ এক পত্র প্রেরণ করেন। সেখানে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেই মোতাবেক গত রোববার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায় বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মানিকের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর ১৪৫/২৪ মামলাটি দায়ের করেন।