ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১২২ বার পড়া হয়েছে

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের সড়ক-মহাসড়ক ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাল্লা ভারি হচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম মাসে জেলার বিভিন্ন সড়কে ১৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই অবৈধ যানবাহনের চালক, নয়ত যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম তারিখে ঝিনাইদহের তেঁতুলতলা বাজারে রুলি খাতুন নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হন। তিনি রাতে অন্যগ্রাম থেকে খেজুরের রস পান করে গ্রামের বাড়ি ফিরছলেন। একই দিন মহেশপুরের পদ্মপুকুর নামক স্থানে সড়ক দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে লিয়াকত হোসেন ও রিয়াদ মারা যান। ২ জানুয়ারি সদর উপজেলার পাঁচমাইল নামক স্থানে চাচা আলী হোসেন ও ভাতিজা মাহফুজুর রহমান নিহত হন। তারা অবৈধ আলমসাধুযোগে পাটভর্তি আনতে ফরিদপুর যাওয়ার পথে অজ্ঞাত যানবাহন চাপায় নিহত হন।

১৬ জানুয়ারি সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে ইব্রাহীম নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। তিনি কুষ্টিয়া থেকে আলমসাধুযোগে হাটগোপালপুরের রাইচারণী কলেজের কাছে পৌঁছালে একটি ট্রাক তাদের আলমসাধু পেছন থেকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনায় পতিত হন। ২৩ জানুয়ারি মহেশপুরের ভালাইপুরে আবুল কাশেম, আবুল কালাম ও আলমগীর হোসেন নিহত হন। সিএনজিতে যাওয়ার পথে একটি বালু বোঝাই ট্রাক চাপা দিলে সিএনজির তিন যাত্রী নিহত হন।

২৮ জানুয়ারি হরিণাকুণ্ডু শহরের কাচারীপাড়ায় আলমসাধু উল্টে চালক বাদশা মারা যান। ২৯ জানুয়ারি শৈলকুপার আসাননগর নামক স্থানে ট্রাক চাপায় রানা নামে এক যুবক নিহত হন। ৩০ জানুয়ারি হরিণাকুণ্ডু শহরের দিকনগর গ্রামে নানার পাখিভ্যান চাপায় নাতি রিফাত ও কালীগঞ্জ উপজেলার কেয়াবাগান নামক স্থানে নিজের আলমসাধু উল্টে চালক আশরাফ বিশ^াস নিহত হন।
দুর্ঘটনায় নিহত বেশির ভাগ অবৈধ যানবাহনের কারণে মারা গেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সড়ক-মহাসড়ক অবৈধ যানবাহন মুক্ত করতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। চলাচলকৃত নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি ও ইজিবাইক আটক করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তারপরও তাদের থামানো যাচ্ছে না। পুলিশের একার পক্ষে অবৈধ যানচলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। জনগণ যদি সচেতন না হয় তবে এই সমস্যা সহসায় সমাধান সম্ভব নয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩

আপলোড টাইম : ০৯:২০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের সড়ক-মহাসড়ক ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাল্লা ভারি হচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম মাসে জেলার বিভিন্ন সড়কে ১৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই অবৈধ যানবাহনের চালক, নয়ত যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম তারিখে ঝিনাইদহের তেঁতুলতলা বাজারে রুলি খাতুন নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হন। তিনি রাতে অন্যগ্রাম থেকে খেজুরের রস পান করে গ্রামের বাড়ি ফিরছলেন। একই দিন মহেশপুরের পদ্মপুকুর নামক স্থানে সড়ক দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে লিয়াকত হোসেন ও রিয়াদ মারা যান। ২ জানুয়ারি সদর উপজেলার পাঁচমাইল নামক স্থানে চাচা আলী হোসেন ও ভাতিজা মাহফুজুর রহমান নিহত হন। তারা অবৈধ আলমসাধুযোগে পাটভর্তি আনতে ফরিদপুর যাওয়ার পথে অজ্ঞাত যানবাহন চাপায় নিহত হন।

১৬ জানুয়ারি সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে ইব্রাহীম নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। তিনি কুষ্টিয়া থেকে আলমসাধুযোগে হাটগোপালপুরের রাইচারণী কলেজের কাছে পৌঁছালে একটি ট্রাক তাদের আলমসাধু পেছন থেকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনায় পতিত হন। ২৩ জানুয়ারি মহেশপুরের ভালাইপুরে আবুল কাশেম, আবুল কালাম ও আলমগীর হোসেন নিহত হন। সিএনজিতে যাওয়ার পথে একটি বালু বোঝাই ট্রাক চাপা দিলে সিএনজির তিন যাত্রী নিহত হন।

২৮ জানুয়ারি হরিণাকুণ্ডু শহরের কাচারীপাড়ায় আলমসাধু উল্টে চালক বাদশা মারা যান। ২৯ জানুয়ারি শৈলকুপার আসাননগর নামক স্থানে ট্রাক চাপায় রানা নামে এক যুবক নিহত হন। ৩০ জানুয়ারি হরিণাকুণ্ডু শহরের দিকনগর গ্রামে নানার পাখিভ্যান চাপায় নাতি রিফাত ও কালীগঞ্জ উপজেলার কেয়াবাগান নামক স্থানে নিজের আলমসাধু উল্টে চালক আশরাফ বিশ^াস নিহত হন।
দুর্ঘটনায় নিহত বেশির ভাগ অবৈধ যানবাহনের কারণে মারা গেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সড়ক-মহাসড়ক অবৈধ যানবাহন মুক্ত করতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। চলাচলকৃত নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি ও ইজিবাইক আটক করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তারপরও তাদের থামানো যাচ্ছে না। পুলিশের একার পক্ষে অবৈধ যানচলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। জনগণ যদি সচেতন না হয় তবে এই সমস্যা সহসায় সমাধান সম্ভব নয়।’