ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবির। নিয়মিত রোগী দেখেন, দেন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা। করাচ্ছেন এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এতে করে বাড়ছে রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব জেনেও যেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দীর্ঘদিন যাবত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার আড়ালে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।

বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২০-এর একটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একজন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতির ওষুধ রোগীকে সেবন বা গ্রহণ করার পরামর্শ দিতে পারবেন না। একই আইনে সাজার বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে। অনুমোদনহীন ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিলেও এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।

দীর্ঘ এক মাসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবির আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার পাশাপাশি এক্স-রেসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি প্রেসক্রিপশনেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। এমন বেশ কয়েকটি প্রেসক্রিপশন এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে অবগত থাকলেও অজানা কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য সচেতন মহলের দাবি, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবির অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘আপনাদের যা মনে চায় তাই করেন, আমার কিছু বলার নেই। আমি তো কনসালন্ট্যেন্টের ট্রিটমেন্ট দিই না। আমার চিকিৎসায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়েছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখেন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী বলেন, ‘একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক কোনোভাবেই অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিতে পারবেন না। রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না। তিনি শুধু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওনার প্রেসক্রিপশনগুলো দেখেছি, ওনি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছেন, এমনকি রোগীদের বিভিন্ন টেস্ট দিচ্ছেন। এটা তিনি কোনোভাবেই করতে পারেন না। ওনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসায় পড়াশোনা করেননি। তাহলে কীভাবে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করবেন। এতে অপচিকিৎসার কারণে রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিতে পারবেন না। কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষাও দিতে পারবেন না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:৩৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবির। নিয়মিত রোগী দেখেন, দেন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা। করাচ্ছেন এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এতে করে বাড়ছে রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব জেনেও যেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দীর্ঘদিন যাবত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার আড়ালে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।

বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২০-এর একটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একজন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতির ওষুধ রোগীকে সেবন বা গ্রহণ করার পরামর্শ দিতে পারবেন না। একই আইনে সাজার বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে। অনুমোদনহীন ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিলেও এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।

দীর্ঘ এক মাসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবির আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার পাশাপাশি এক্স-রেসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি প্রেসক্রিপশনেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। এমন বেশ কয়েকটি প্রেসক্রিপশন এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে অবগত থাকলেও অজানা কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য সচেতন মহলের দাবি, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবির অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘আপনাদের যা মনে চায় তাই করেন, আমার কিছু বলার নেই। আমি তো কনসালন্ট্যেন্টের ট্রিটমেন্ট দিই না। আমার চিকিৎসায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়েছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখেন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী বলেন, ‘একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক কোনোভাবেই অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিতে পারবেন না। রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না। তিনি শুধু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওনার প্রেসক্রিপশনগুলো দেখেছি, ওনি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছেন, এমনকি রোগীদের বিভিন্ন টেস্ট দিচ্ছেন। এটা তিনি কোনোভাবেই করতে পারেন না। ওনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসায় পড়াশোনা করেননি। তাহলে কীভাবে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করবেন। এতে অপচিকিৎসার কারণে রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিতে পারবেন না। কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষাও দিতে পারবেন না।