ভালো শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে
চুয়াডাঙ্গায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদানকালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মন্জু- আপলোড টাইম : ০৯:২৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের উদ্যোগে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২২৯ জন কৃতী শিক্ষার্থীর মাঝে এসব বৃত্তির চেক প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মন্জু।
তিনি বলেন, ‘ভালো শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিতে হবে। উৎসাহিত করতে হবে। আমরা সকলে উদ্যোগী হই, আমাদের চুয়াডাঙ্গাকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামীর প্রজন্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ উন্নত করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ দিতে পারলে, চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন হবে। আমাদের চুয়াডাঙ্গার অনেক সফল মানুষ আছে। ভালো চাকরিজীবী আছে। তারাও চুয়াডাঙ্গার জন্য অনেক কিছু করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ দেশে কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। আজকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষকেরা সজাগ যত্নবান হলে শিক্ষার মান আরও বেশি উন্নত হবে। সরকার সর্বভাবে সহযোগিতা করবে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। আমাদের সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। উদ্যোক্তারা খুব ভালোভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। চেষ্টা করতে হবে। আমাদের সন্তানদের সমর্থন দিলে তারা বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারবে। মিল্ক ভিটার মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের জন্য বড় উদাহরণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার উদ্দেশ্যে সুসভ্য নাগরিক তৈরি করা। সুস্থ মানুষ কম আয় করেও ভালো থাকে। প্রকৃত মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তুলতে অভিভাবকরা নজর রাখবেন, সহযোগিতা করবেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য জহুরুল ইসলাম, মজনু রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মোসাবুল ইসলাম লিটন, বিথি খাতুন, কহিনুর বেগম প্রমুখ।
এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২২৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মোট চারটি ক্যাটাগরিতে প্রায় ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানে ১৪২ জনকে ৪ হাজার টাকা করে ৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মেডিকেল ও ডেন্টালের ১৮ জনকে ৬ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা, প্রকৌশল (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং) ১৯ জনকে ৬ হাজার টাকা করে ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।