ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ

তীব্র শীতে চালু রাখায় চুয়াডাঙ্গার ৩৫টি কোচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা থাকায় বন্ধ রয়েছে জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে তীব্র শীতে খোলা রয়েছে কোচিং সেন্টার। বাধ্য হয়ে সকালে কষ্ট করে কোচিংয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই গতকাল বুধবার খোলা রাখা ৩৫টি কোচিং সেন্টারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের সতর্ক করা হয়। ছুটি দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে সরকার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। এমন অবস্থায় কোচিং সেন্টার চালু রাখার বিষয়টি উদ্বেগজনক। তাই অভিযান চালিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করা হয়।

মোহাম্মদ সাদাত হোসেন আরও বলেন, অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছিলেন, কোচিং সেন্টারের মালিকদের চাপে পড়ে তাঁরা তীব্র শীতের মধ্যেও ছোট ছোট শিশুদের পড়াতে নিয়ে আসেন। তবে কোচিং সেন্টারের পরিচালকেরা নিজেদের ভুল স্বীকার করেন এবং পরবর্তী সময়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অঙ্গীকার করেন।

এদিকে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতা এবং কোচিং সেন্টারের পরিচালকদের বেপরোয়া মনোভাবের ঘটনায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি হাবিবি জহির রায়হান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করছি, শীত বিবেচনা করে কেউ ছুটি দিচ্ছে, কেউ দিচ্ছে না। প্রাইমারি স্কুল দিলে হাইস্কুল দিচ্ছে না। আবার হাইস্কুল দিলে কলেজ দিচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে শীতকে ঘিরে কমন ভ্যাকেশন চালু করা উচিত।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মার্টিন হীরক চৌধুরী বলেন, শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার মধ্যে চলাচল করলে শিক্ষার্থীরা সর্দি, কাঁশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। আবার যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানি আছে, তা বেড়ে যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতির আশঙ্কায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে, কোচিং সেন্টারে গেলেও একই ক্ষতি হবে। তাই কোচিং সেন্টার খুলে রাখা অন্যায়। এ জন্য প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রাখা দরকার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ

তীব্র শীতে চালু রাখায় চুয়াডাঙ্গার ৩৫টি কোচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

আপলোড টাইম : ১২:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা থাকায় বন্ধ রয়েছে জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে তীব্র শীতে খোলা রয়েছে কোচিং সেন্টার। বাধ্য হয়ে সকালে কষ্ট করে কোচিংয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই গতকাল বুধবার খোলা রাখা ৩৫টি কোচিং সেন্টারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের সতর্ক করা হয়। ছুটি দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে সরকার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। এমন অবস্থায় কোচিং সেন্টার চালু রাখার বিষয়টি উদ্বেগজনক। তাই অভিযান চালিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করা হয়।

মোহাম্মদ সাদাত হোসেন আরও বলেন, অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছিলেন, কোচিং সেন্টারের মালিকদের চাপে পড়ে তাঁরা তীব্র শীতের মধ্যেও ছোট ছোট শিশুদের পড়াতে নিয়ে আসেন। তবে কোচিং সেন্টারের পরিচালকেরা নিজেদের ভুল স্বীকার করেন এবং পরবর্তী সময়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অঙ্গীকার করেন।

এদিকে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতা এবং কোচিং সেন্টারের পরিচালকদের বেপরোয়া মনোভাবের ঘটনায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি হাবিবি জহির রায়হান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করছি, শীত বিবেচনা করে কেউ ছুটি দিচ্ছে, কেউ দিচ্ছে না। প্রাইমারি স্কুল দিলে হাইস্কুল দিচ্ছে না। আবার হাইস্কুল দিলে কলেজ দিচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে শীতকে ঘিরে কমন ভ্যাকেশন চালু করা উচিত।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মার্টিন হীরক চৌধুরী বলেন, শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার মধ্যে চলাচল করলে শিক্ষার্থীরা সর্দি, কাঁশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। আবার যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানি আছে, তা বেড়ে যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতির আশঙ্কায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে, কোচিং সেন্টারে গেলেও একই ক্ষতি হবে। তাই কোচিং সেন্টার খুলে রাখা অন্যায়। এ জন্য প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রাখা দরকার।