ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্য প্রবাহের সাথে সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা

কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে দুর্ভোগ, আজও সব স্কুল বন্ধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বাড়ছেই না চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। মাঘের মাঝামাঝি শীতের তীব্রতায় নাকাল এ জেলার মানুষ। তাপমাত্রার পারদ কমে যাওয়ার পাশাপাশি, হালাকা কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাপমাত্রা না বাড়া পর্যন্ত জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা অফিস। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে আজ বৃহস্পতিবারও পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, তীব্র শীতে মঙ্গলবার ও বুধবারও জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তীব্র শীতে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে ২২ হাজার পিছ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর থেকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নিচে নামতে থাকে। গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) এ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।

গতকাল বুধবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কনকনে ঠান্ডায় মানুষ খুব একটা বাইরে বের হননি। হাতেগোনা কিছু মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে বের হয়েছেন। বিভিন্ন মোড়ে ও চায়ের দোকানের পাশে শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন শীতার্ত মানুষ। কিছু কিছু স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতেও দেখা গেছে। এদিকে বেলা তিনটার পর থেকে চুয়াডাঙ্গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এতে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, শীতে কাজ নেই। দু-একদিন কাজ হয়। বেশিরভাগ দিনই বসে থাকতে হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের আব্বাস মিয়া বলেন, গ্রামে শীতের কারণে খুবই বাজে অবস্থা। সবাই কষ্টে আছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, প্রচণ্ড শীত আর ঠান্ডা বাতাস বইছে। মাছের ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় হাত একদম বরফ হয়ে যাচ্ছে। বেচাকেনাও খুব একটা নেই। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পত্রিকা বিক্রয়কারী (হকার) রাজিবুল হক বলেন, সকালে সাইকেলে করে নিয়ে পত্রিকা পৌঁছে দেওয়া খুবই কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইরে বের হতেই তো মন চাই না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, শৈত্যপ্রবাহ চলায় তাপমাত্রা না বাড়া পর্যন্ত জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা নিয়মিত আবহাওয়া অফিস ও বিদ্যালয়ের প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তিনি আরও বলেন, গত সোমবার ও মঙ্গলবার এবং বুধবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিদ্যালয়ে পুনরায় পাঠদান শুরু হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, তীব্র শীতের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান মঙ্গল ও বুধবার বন্ধ ছিল। তবে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত হয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও পাঠদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বুধবার সকাল ছয়টায় এ জেলায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, বেলা ৩টা ২০ মিনিট থেকে চুয়াডাঙ্গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ০ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের পরিমাণ একটু বেশি। সরকারিভাবে আসা শুকনা খাবার ও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি বিত্তবানদের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও সকল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শুকনা খাবার বিতরণ অব্যহত রয়েছে। গতকাল সদর উপজেলার প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পৌরসভার ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডে ৩০০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২৬৫টি, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নে ৩০০টি, খুদিয়াখালী জামে মসজিদ ও এতিমখানায় ২৫টি, দরিদ্র ভ্যানচালকদের ২৫টি এবং পারকুলা আশ্রয়ণে ৩৮ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নে ৫০টি কম্বল শীতার্ত মানুষের মাঝে তুলে দেয়া হয়।  

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্য প্রবাহের সাথে সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা

কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে দুর্ভোগ, আজও সব স্কুল বন্ধ

আপলোড টাইম : ১২:২৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বাড়ছেই না চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। মাঘের মাঝামাঝি শীতের তীব্রতায় নাকাল এ জেলার মানুষ। তাপমাত্রার পারদ কমে যাওয়ার পাশাপাশি, হালাকা কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাপমাত্রা না বাড়া পর্যন্ত জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা অফিস। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে আজ বৃহস্পতিবারও পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, তীব্র শীতে মঙ্গলবার ও বুধবারও জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তীব্র শীতে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে ২২ হাজার পিছ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর থেকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নিচে নামতে থাকে। গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) এ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।

গতকাল বুধবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কনকনে ঠান্ডায় মানুষ খুব একটা বাইরে বের হননি। হাতেগোনা কিছু মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে বের হয়েছেন। বিভিন্ন মোড়ে ও চায়ের দোকানের পাশে শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন শীতার্ত মানুষ। কিছু কিছু স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতেও দেখা গেছে। এদিকে বেলা তিনটার পর থেকে চুয়াডাঙ্গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এতে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, শীতে কাজ নেই। দু-একদিন কাজ হয়। বেশিরভাগ দিনই বসে থাকতে হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের আব্বাস মিয়া বলেন, গ্রামে শীতের কারণে খুবই বাজে অবস্থা। সবাই কষ্টে আছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, প্রচণ্ড শীত আর ঠান্ডা বাতাস বইছে। মাছের ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় হাত একদম বরফ হয়ে যাচ্ছে। বেচাকেনাও খুব একটা নেই। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পত্রিকা বিক্রয়কারী (হকার) রাজিবুল হক বলেন, সকালে সাইকেলে করে নিয়ে পত্রিকা পৌঁছে দেওয়া খুবই কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইরে বের হতেই তো মন চাই না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, শৈত্যপ্রবাহ চলায় তাপমাত্রা না বাড়া পর্যন্ত জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা নিয়মিত আবহাওয়া অফিস ও বিদ্যালয়ের প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তিনি আরও বলেন, গত সোমবার ও মঙ্গলবার এবং বুধবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিদ্যালয়ে পুনরায় পাঠদান শুরু হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, তীব্র শীতের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান মঙ্গল ও বুধবার বন্ধ ছিল। তবে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত হয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও পাঠদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বুধবার সকাল ছয়টায় এ জেলায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, বেলা ৩টা ২০ মিনিট থেকে চুয়াডাঙ্গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ০ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের পরিমাণ একটু বেশি। সরকারিভাবে আসা শুকনা খাবার ও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি বিত্তবানদের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও সকল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শুকনা খাবার বিতরণ অব্যহত রয়েছে। গতকাল সদর উপজেলার প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পৌরসভার ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডে ৩০০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২৬৫টি, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নে ৩০০টি, খুদিয়াখালী জামে মসজিদ ও এতিমখানায় ২৫টি, দরিদ্র ভ্যানচালকদের ২৫টি এবং পারকুলা আশ্রয়ণে ৩৮ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নে ৫০টি কম্বল শীতার্ত মানুষের মাঝে তুলে দেয়া হয়।