ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের দুই সংসদ সদস্য দেশ সেরা হলেন যেভাবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের মধ্যে বার্ষিক আয় ও ১৫ বছরে আয় বৃদ্ধিতে সারা দেশে সেরা ১০ জনের তালিকায় খুলনা বিভাগের মধ্যে ঝিনাইদহের দুই সংসদ সদস্যদের নাম উঠে এসেছে। বছরে আয়কারী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ও ১৫ বছরে আয় বৃদ্ধিতে সংসদ সদস্য আব্দুল হাই শীর্ষে রয়েছেন।

হলফনামায় প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী মহুলের বার্ষিক আয় হচ্ছে ১৯ কোটি ৬০ লাখ ৯২ হাজার ৫৪১ টাকা। অন্যদিকে, ১৫ বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের। তাঁর ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল এক লাখ ৭২ হাজার টাকা। ১৫ বছর পর ২০২৪ সালে তাঁর আয় বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে এক কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আয় বৃদ্ধির শতকরা হার ৫ হাজার ৮২৪%। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন’ করে সুজন। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিনিধি যুক্ত থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে ২৬৯ জনের। শতকরা হিসাবে ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ সংসদ সদস্যের সম্পদ কোটি টাকার ওপরে। একাদশ জাতীয় সংসদে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদশালী সংসদ সদস্য ছিলেন ২৪৭ জন বা ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একাদশ সংসদের তুলনায় এবার উচ্চশিক্ষিত সংসদ সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। এবারের সংসদ সদস্যদের ৮২ দশমিক ৬০ শতাংশ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। একাদশে এই হার ছিল ৮১ শতাংশ। অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে। যে উদ্দেশ্যে আদালত প্রার্থীদের হলফনামায় তথ্য দিতে বাধ্যতামূলক করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহের দুই সংসদ সদস্য দেশ সেরা হলেন যেভাবে

আপলোড টাইম : ০৯:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহ অফিস:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের মধ্যে বার্ষিক আয় ও ১৫ বছরে আয় বৃদ্ধিতে সারা দেশে সেরা ১০ জনের তালিকায় খুলনা বিভাগের মধ্যে ঝিনাইদহের দুই সংসদ সদস্যদের নাম উঠে এসেছে। বছরে আয়কারী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ও ১৫ বছরে আয় বৃদ্ধিতে সংসদ সদস্য আব্দুল হাই শীর্ষে রয়েছেন।

হলফনামায় প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী মহুলের বার্ষিক আয় হচ্ছে ১৯ কোটি ৬০ লাখ ৯২ হাজার ৫৪১ টাকা। অন্যদিকে, ১৫ বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের। তাঁর ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল এক লাখ ৭২ হাজার টাকা। ১৫ বছর পর ২০২৪ সালে তাঁর আয় বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে এক কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আয় বৃদ্ধির শতকরা হার ৫ হাজার ৮২৪%। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন’ করে সুজন। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিনিধি যুক্ত থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে ২৬৯ জনের। শতকরা হিসাবে ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ সংসদ সদস্যের সম্পদ কোটি টাকার ওপরে। একাদশ জাতীয় সংসদে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদশালী সংসদ সদস্য ছিলেন ২৪৭ জন বা ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একাদশ সংসদের তুলনায় এবার উচ্চশিক্ষিত সংসদ সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। এবারের সংসদ সদস্যদের ৮২ দশমিক ৬০ শতাংশ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। একাদশে এই হার ছিল ৮১ শতাংশ। অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে। যে উদ্দেশ্যে আদালত প্রার্থীদের হলফনামায় তথ্য দিতে বাধ্যতামূলক করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।