ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় নির্বাচন পরবর্তী মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

এমপি হতে আসিনি, আমি এই জনপদের চিত্র পাল্টাতে এসেছি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল রোববার বিকেলে আলমডাঙ্গা টকিজ সিনেমা হলের দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে দুদফা মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও গ্রামের নেতা-কর্মীদের সাথে ও পরে আলমডাঙ্গা পৌরসভাসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান দুটিতে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাসান কাদির গনু।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ের নোটিশে অনেক কষ্ট করে আপনারা এসেছেন। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা যে কষ্ট করেছেন, যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা আমি কখনো ভুলব না। আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম, আপনাদের হাত আমি ধরেছি। এই হাত আমি ছাড়ব না। আমি আপনাদের কথা রেখেছি এবং ভবিষ্যতেও রাখব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম, স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ব। আমি নির্বাচিত হইনি। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তার যদি কখনো স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে সহযোগিতার দরকার হয়, আমি তার পাশে থাকব। চুয়াডাঙ্গা তো আমাদের সকলের। এর বাইরেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু পাইলট প্রকল্প আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে করব।
একটা ইউনিয়নের একটা ওয়ার্ড দিয়ে আমরা শুরু করব। এরপর একটা ইউনিয়নজুড়ে আমরা কাজ করব। এরপর একটা ইউনিয়নের দেখাদেখি সব ইউনিয়নে প্রকল্পগুলো শুরু হবে। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে না।’

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, ‘আপনারা আমার বাবার দায়িত্ব পালন করেছেন, এখন আপনাদের সন্তান হিসেবে আমার উপরেও দায়িত্ব চলে এসেছে। আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের কিছু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি এই জনপদের চিত্র পাল্টাতে এসেছি। আমি এমপি হতে আসিনি। এই জনপদের চিত্র পাল্টাতে আমার এমপি হওয়া প্রয়োজন ছিল। এমপি নির্বাচিত হতে পারিনি। কিন্তু আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এই জনপদের শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান এই তিনটা বিষয় নিয়ে আমি খুব দ্রুত কাজ করা শুরু করব আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শক্তিই তৃণমূলের নেতা-কর্মী। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে আপনারা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। সে জন্য সকল নেতা-কর্মীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোট করেছি। কিন্তু ভোট পর্যন্ত ঈগল প্রতীকের সব কার্যক্রম শেষ। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী, আপনারাও সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। তাই এখন আমরা সবাই নৌকার লোক। তাই নিজেরা নিজেদের মধ্যে কোনো ঝামেলা দ্বন্দ্বে জড়াবেন না। সবাই এ জেলার উন্নয়নে কাজ করবেন।’
সবশেষে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘এমপি হলে আপনারা আপনাদের পাশে যতটুকু আমাকে পেতেন, এমপি হয়নি তাতে কী, আপনারা আমাকে তার থেকে আপনাদের পাশে বেশি পাবেন। সবাই ভালো থাকবেন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুকের পরিচালনায় আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কুুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, কালিদাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ৬৯’র অগ্নিসেনা মঈনুদ্দিন পারভেজ, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হক, ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক স্বপন, তবা, বাবুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় নির্বাচন পরবর্তী মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

এমপি হতে আসিনি, আমি এই জনপদের চিত্র পাল্টাতে এসেছি

আপলোড টাইম : ১১:৪৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল রোববার বিকেলে আলমডাঙ্গা টকিজ সিনেমা হলের দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে দুদফা মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও গ্রামের নেতা-কর্মীদের সাথে ও পরে আলমডাঙ্গা পৌরসভাসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান দুটিতে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাসান কাদির গনু।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ের নোটিশে অনেক কষ্ট করে আপনারা এসেছেন। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা যে কষ্ট করেছেন, যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা আমি কখনো ভুলব না। আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম, আপনাদের হাত আমি ধরেছি। এই হাত আমি ছাড়ব না। আমি আপনাদের কথা রেখেছি এবং ভবিষ্যতেও রাখব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম, স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ব। আমি নির্বাচিত হইনি। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তার যদি কখনো স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে সহযোগিতার দরকার হয়, আমি তার পাশে থাকব। চুয়াডাঙ্গা তো আমাদের সকলের। এর বাইরেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু পাইলট প্রকল্প আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে করব।
একটা ইউনিয়নের একটা ওয়ার্ড দিয়ে আমরা শুরু করব। এরপর একটা ইউনিয়নজুড়ে আমরা কাজ করব। এরপর একটা ইউনিয়নের দেখাদেখি সব ইউনিয়নে প্রকল্পগুলো শুরু হবে। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে না।’

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, ‘আপনারা আমার বাবার দায়িত্ব পালন করেছেন, এখন আপনাদের সন্তান হিসেবে আমার উপরেও দায়িত্ব চলে এসেছে। আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের কিছু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি এই জনপদের চিত্র পাল্টাতে এসেছি। আমি এমপি হতে আসিনি। এই জনপদের চিত্র পাল্টাতে আমার এমপি হওয়া প্রয়োজন ছিল। এমপি নির্বাচিত হতে পারিনি। কিন্তু আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এই জনপদের শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান এই তিনটা বিষয় নিয়ে আমি খুব দ্রুত কাজ করা শুরু করব আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শক্তিই তৃণমূলের নেতা-কর্মী। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে আপনারা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। সে জন্য সকল নেতা-কর্মীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোট করেছি। কিন্তু ভোট পর্যন্ত ঈগল প্রতীকের সব কার্যক্রম শেষ। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী, আপনারাও সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। তাই এখন আমরা সবাই নৌকার লোক। তাই নিজেরা নিজেদের মধ্যে কোনো ঝামেলা দ্বন্দ্বে জড়াবেন না। সবাই এ জেলার উন্নয়নে কাজ করবেন।’
সবশেষে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘এমপি হলে আপনারা আপনাদের পাশে যতটুকু আমাকে পেতেন, এমপি হয়নি তাতে কী, আপনারা আমাকে তার থেকে আপনাদের পাশে বেশি পাবেন। সবাই ভালো থাকবেন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুকের পরিচালনায় আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কুুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, কালিদাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ৬৯’র অগ্নিসেনা মঈনুদ্দিন পারভেজ, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হক, ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক স্বপন, তবা, বাবুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।