ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে ধর্ষণের পর শিশু মরিয়মকে গলাকেটে হত্যার ঘটনার এক মাস অতিবাহিত

‘খুনি ফটিক’ শনাক্ত হলেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায় ভুট্টার খেতে ধর্ষণের পর শিশু মরিয়মকে (১১) গলাকেটে হত্যা করা হয় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর। ওই হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত হিসেবে পরিবার ও পুলিশ একই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আবুল হোসেন ফটিক (৩০) নামের এক যুবককে শনাক্ত করে। ফটিক এর আগে নিজ গ্রামের এক ছেলেকে বলৎকার করে ১০ বছর জেল খেটেছেন। হত্যার ঘটনা এক মাস অতিবাহিত হলেও ফটিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মরিয়মের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
মরিয়মের মা জোবেদা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে এক মাস আগে। পুলিশ এখনো ফটিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমার মেয়েকে খুব কষ্ট দিয়ে মেরেছে সে। আমি খুনির ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা মরিয়ম হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।’ এদিকে ফটিকের মা তার বাড়ি থেকে হাঁসুয়া এবং ফটিকের ভ্যান পুলিশ নিয়ে গেছে বললেও থানার কেউ বিষয়টি স্বীকার করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ফটিককে মরিয়ম হত্যার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা তাঁকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সে বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্রুতই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারব বলে আশা করছি। হলুদ রঙের ভ্যান ও হাঁসুয়া উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে জাকিয়া সুলতানা বলেন, ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী আসামি হলুদ রঙের ভ্যান নিয়ে গিয়েছিল। এ জন্য আমরা এলাকার সকল হলুদ রঙের ভ্যানের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তবে ভ্যান ও হাঁসুয়া উদ্ধারের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গোয়ালপাড়া দক্ষিণ নতুন মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা ইকবাল মণ্ডলের মেয়ে ময়িরমের (১১) গলাকাটা মরদেহ ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২২ ডিসেম্বর ইকবাল মণ্ডল বাদী হয়ে জীবননগর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
এ দিন স্থানীয়রা জানান, ময়িরম বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী কয়েকজন শিশু আর তার ছোট বোনের সঙ্গে মাঠে শাক তুলতে যায়। দুপুরের দিকে মরিয়মের সঙ্গে যারা ছিল তারা বাড়ি এসে জানায় ময়িরমকে একজন ভুট্টার মধ্যে নিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাচ্ছে না তারা। পরে পরিবারের লোকজন মাঠে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে ভুট্টা খেতে মরিয়মের গলাকাটা দেহ পড়ে থাকে দেখে। এ সময় ময়িরমের গায়ে গেঞ্জি থাকলেও পরনের পায়জামা পাশে পড়ে ছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে ধর্ষণের পর শিশু মরিয়মকে গলাকেটে হত্যার ঘটনার এক মাস অতিবাহিত

‘খুনি ফটিক’ শনাক্ত হলেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ

আপলোড টাইম : ১২:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায় ভুট্টার খেতে ধর্ষণের পর শিশু মরিয়মকে (১১) গলাকেটে হত্যা করা হয় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর। ওই হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত হিসেবে পরিবার ও পুলিশ একই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আবুল হোসেন ফটিক (৩০) নামের এক যুবককে শনাক্ত করে। ফটিক এর আগে নিজ গ্রামের এক ছেলেকে বলৎকার করে ১০ বছর জেল খেটেছেন। হত্যার ঘটনা এক মাস অতিবাহিত হলেও ফটিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মরিয়মের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
মরিয়মের মা জোবেদা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে এক মাস আগে। পুলিশ এখনো ফটিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমার মেয়েকে খুব কষ্ট দিয়ে মেরেছে সে। আমি খুনির ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা মরিয়ম হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।’ এদিকে ফটিকের মা তার বাড়ি থেকে হাঁসুয়া এবং ফটিকের ভ্যান পুলিশ নিয়ে গেছে বললেও থানার কেউ বিষয়টি স্বীকার করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ফটিককে মরিয়ম হত্যার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা তাঁকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সে বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্রুতই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারব বলে আশা করছি। হলুদ রঙের ভ্যান ও হাঁসুয়া উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে জাকিয়া সুলতানা বলেন, ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী আসামি হলুদ রঙের ভ্যান নিয়ে গিয়েছিল। এ জন্য আমরা এলাকার সকল হলুদ রঙের ভ্যানের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তবে ভ্যান ও হাঁসুয়া উদ্ধারের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গোয়ালপাড়া দক্ষিণ নতুন মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা ইকবাল মণ্ডলের মেয়ে ময়িরমের (১১) গলাকাটা মরদেহ ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২২ ডিসেম্বর ইকবাল মণ্ডল বাদী হয়ে জীবননগর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
এ দিন স্থানীয়রা জানান, ময়িরম বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী কয়েকজন শিশু আর তার ছোট বোনের সঙ্গে মাঠে শাক তুলতে যায়। দুপুরের দিকে মরিয়মের সঙ্গে যারা ছিল তারা বাড়ি এসে জানায় ময়িরমকে একজন ভুট্টার মধ্যে নিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাচ্ছে না তারা। পরে পরিবারের লোকজন মাঠে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে ভুট্টা খেতে মরিয়মের গলাকাটা দেহ পড়ে থাকে দেখে। এ সময় ময়িরমের গায়ে গেঞ্জি থাকলেও পরনের পায়জামা পাশে পড়ে ছিল।