ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘লিজের টাকা তো দিলোই না, বরং মাছগুলো ধরে নিয়ে গেল’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
‘লিজের টাকা তো দিলোই না। বরং মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমার ছাড়া দেশী মাছগুলো জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গেল।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেছিলেন দর্শনার ছয়ঘরিয়া গ্রামের আবু খালিদ মো. শমসের আলী। তিনি দর্শনা বারাদী গ্রামের মৃত আলমগীর আল্লামা ইকবালের ছেলে।

আবু খালিদ মো. শমসের আলী অভিযোগ করেন, ‘বাংলা ক্যালেন্ডারের চলতি বছরের শ্রাবণ মাসে বারাদী বিলে আমার ৪ বিঘা জলকর ৩ লাখ ৬ হাজার টাকায় জোরপূর্বক লিজ নেয় একই গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত মোজ্জাফর আলীর ছেলে আকরাম হোসেন (৬০)। ছয় মাসের জন্য জলকর লিজ বাবদ দেড় মণ মাছ ও ৩ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আমাকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা এবং ৩০ কেজি তেলাপিয়া মাছ দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত পৌষ মাসে লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগেই আকরাম হোসেন সব মাছ ধরে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিষ প্রয়োগের পর স্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিস্কাশন করে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের দেশীয় মাছ জোরপূর্বক ধরে নিয়েছে আকরাম ও তার লোকজন। আকরামের সঙ্গে ছিল বারাদী গ্রামের মোতায়েব আলীর ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৪৫), বড়বলদিয়া গ্রামের ন্যাড়া মিয়ার ছেলে মামুন (৪২) ও সাড়াবাড়িয়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম। মাছ ধরার পর তাদের উস্কানিতে গ্রামবাসীও মাছ ধরতে নেমে পড়ে।’

আবু খালিদ মো. শমসের আরও বলেন, ‘আমার জমির সমস্ত কাগজপত্র থাকা স্বত্ত্বেও কিছু প্রভাশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে আমার জলকর ও জমিতে ধান চাষ করে আসছে। থানায় অভিযোগ করেও ফলাফল পাইনি।’

এ বিষয় জানতে চাইলে আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমরা জমি লিজ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি এবং দেড় মণ খাওয়ার মাছ দিয়েছি। আমরা নিয়মমাফিক লিজ নিয়েছি এবং লিজের চুক্তিনামায় গ্রামের ৩ শ জনের স্বাক্ষর আছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

‘লিজের টাকা তো দিলোই না, বরং মাছগুলো ধরে নিয়ে গেল’

আপলোড টাইম : ১০:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

দর্শনা অফিস:
‘লিজের টাকা তো দিলোই না। বরং মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমার ছাড়া দেশী মাছগুলো জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গেল।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেছিলেন দর্শনার ছয়ঘরিয়া গ্রামের আবু খালিদ মো. শমসের আলী। তিনি দর্শনা বারাদী গ্রামের মৃত আলমগীর আল্লামা ইকবালের ছেলে।

আবু খালিদ মো. শমসের আলী অভিযোগ করেন, ‘বাংলা ক্যালেন্ডারের চলতি বছরের শ্রাবণ মাসে বারাদী বিলে আমার ৪ বিঘা জলকর ৩ লাখ ৬ হাজার টাকায় জোরপূর্বক লিজ নেয় একই গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত মোজ্জাফর আলীর ছেলে আকরাম হোসেন (৬০)। ছয় মাসের জন্য জলকর লিজ বাবদ দেড় মণ মাছ ও ৩ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আমাকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা এবং ৩০ কেজি তেলাপিয়া মাছ দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত পৌষ মাসে লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগেই আকরাম হোসেন সব মাছ ধরে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিষ প্রয়োগের পর স্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিস্কাশন করে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের দেশীয় মাছ জোরপূর্বক ধরে নিয়েছে আকরাম ও তার লোকজন। আকরামের সঙ্গে ছিল বারাদী গ্রামের মোতায়েব আলীর ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৪৫), বড়বলদিয়া গ্রামের ন্যাড়া মিয়ার ছেলে মামুন (৪২) ও সাড়াবাড়িয়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম। মাছ ধরার পর তাদের উস্কানিতে গ্রামবাসীও মাছ ধরতে নেমে পড়ে।’

আবু খালিদ মো. শমসের আরও বলেন, ‘আমার জমির সমস্ত কাগজপত্র থাকা স্বত্ত্বেও কিছু প্রভাশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে আমার জলকর ও জমিতে ধান চাষ করে আসছে। থানায় অভিযোগ করেও ফলাফল পাইনি।’

এ বিষয় জানতে চাইলে আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমরা জমি লিজ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি এবং দেড় মণ খাওয়ার মাছ দিয়েছি। আমরা নিয়মমাফিক লিজ নিয়েছি এবং লিজের চুক্তিনামায় গ্রামের ৩ শ জনের স্বাক্ষর আছে।’