ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীত উপেক্ষা করে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মহেশপুর:

পৌষের শেষের দিক থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপট। মাঘ মাসেও ঘন কুয়াশা ও হাড়-কাঁপানো শীতের দাপট রয়েছে।  অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। একটু দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা পরপরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের স্থবিরতা নেই মহেশপুরে। মাঘের হাড়-কাঁপানো শীত যেন তাদের শরীরে লাগছে না। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকেরা কাঁদার মধ্যে নেমে ধান রোপণ করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ বছর  বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি। যা থেকে ৯ হাজার ৪১৩১ মেট্টিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছে কৃষি অফিস। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদন হয়েছিল ৯ হাজার ৫৭৭৯ মেট্টিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা কৃষি অফিসের।

মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের মথুরানগর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরে প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দল বেঁধে মাঠে বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন। কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে? চলবে কী করে। আমরা এসময়ে বসে থাকলে আমাদের পরিবার ও দেশের মানুষদের পেটে ভাত জুটবে কীভাবে?’ শওকত আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কী?’ দুপুর সাড়ে ১২টায় মহেশপুর পৌর এলাকার হুদোড় মোড় এলাকায় মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মনির ও কাদের নামের দুই কৃষক। তারা বলেন, ‘কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, বোরো আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার প্যাচিং পদ্ধতি ও লাইন করে ধান লাগালে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধি হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ  ও ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তীব্র শীত উপেক্ষা করে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

প্রতিবেদক, মহেশপুর:

পৌষের শেষের দিক থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপট। মাঘ মাসেও ঘন কুয়াশা ও হাড়-কাঁপানো শীতের দাপট রয়েছে।  অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। একটু দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা পরপরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের স্থবিরতা নেই মহেশপুরে। মাঘের হাড়-কাঁপানো শীত যেন তাদের শরীরে লাগছে না। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকেরা কাঁদার মধ্যে নেমে ধান রোপণ করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ বছর  বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি। যা থেকে ৯ হাজার ৪১৩১ মেট্টিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছে কৃষি অফিস। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদন হয়েছিল ৯ হাজার ৫৭৭৯ মেট্টিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা কৃষি অফিসের।

মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের মথুরানগর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরে প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দল বেঁধে মাঠে বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন। কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে? চলবে কী করে। আমরা এসময়ে বসে থাকলে আমাদের পরিবার ও দেশের মানুষদের পেটে ভাত জুটবে কীভাবে?’ শওকত আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কী?’ দুপুর সাড়ে ১২টায় মহেশপুর পৌর এলাকার হুদোড় মোড় এলাকায় মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মনির ও কাদের নামের দুই কৃষক। তারা বলেন, ‘কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, বোরো আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার প্যাচিং পদ্ধতি ও লাইন করে ধান লাগালে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধি হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ  ও ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।