ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড

প্রচণ্ড শীতে দুর্ভোগে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চুয়াডাঙ্গায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। আর সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। ওইদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, পৌষের শেষ সময়ে চুয়াডাঙ্গায় প্রচণ্ড শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সব থেকে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষেরা। হিমেল হাওয়ার সাথে সাথে সকাল থেকে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষকে অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই তারা বাইরে বেরিয়ে পড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মুক্তাগাছি গ্রামের ভ্যানচালক নজির আলী বলেন, ‘কদিন ধরে বেশি ঠান্ডা পড়ায় খুবই কষ্টে আছি। ঠাণ্ডার জন্য ভ্যান চালানোই যাচ্ছে না। তাছাড়া, প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া-ভুতো নেই।’ সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের দিনমজুর কালাম আলী বলেন, ‘আজ তো কাজে বের হতে পারিনি। তাই বাইরে বসে রোদ পোহাচ্ছি।’ গাড়াবাড়িয়া গ্রামের অমিত আলী বলেন, ‘শীতে সকালে সাইকেল চালিয়ে যেতে বেশ কষ্ট হয়। তবুও পেটের দায়ে বের হতে হয়। তবে আজ গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কাজ নেই।

সরোজগঞ্জ এলাকার ভাঙড়ি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। পুরোনো ভাঙারি জিনিস কিনবো। খুব কষ্ট করে ঘুরছি। তবুও বেচাকেনা নেই! ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বাড়ির বাইরে বের হলে হাত-পা হিম হয়ে যায়। কিন্তু কাজে বের না হলে তো চলে না।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সকাল ৯টায়ও তাপমাত্রা একই ছিল। এর আগের দিন সোমবার সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা ছিল।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরেই জেলায় কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও কমেছে। বিকেল গড়ালেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীতের প্রকোপ। সকালে দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশার চাদরে জড়িয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গতকাল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সকাল ৯টায় ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিন চুয়াডাঙ্গা ও বদলগাছিতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড

প্রচণ্ড শীতে দুর্ভোগে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ

আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চুয়াডাঙ্গায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। আর সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। ওইদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, পৌষের শেষ সময়ে চুয়াডাঙ্গায় প্রচণ্ড শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সব থেকে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষেরা। হিমেল হাওয়ার সাথে সাথে সকাল থেকে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষকে অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই তারা বাইরে বেরিয়ে পড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মুক্তাগাছি গ্রামের ভ্যানচালক নজির আলী বলেন, ‘কদিন ধরে বেশি ঠান্ডা পড়ায় খুবই কষ্টে আছি। ঠাণ্ডার জন্য ভ্যান চালানোই যাচ্ছে না। তাছাড়া, প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া-ভুতো নেই।’ সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের দিনমজুর কালাম আলী বলেন, ‘আজ তো কাজে বের হতে পারিনি। তাই বাইরে বসে রোদ পোহাচ্ছি।’ গাড়াবাড়িয়া গ্রামের অমিত আলী বলেন, ‘শীতে সকালে সাইকেল চালিয়ে যেতে বেশ কষ্ট হয়। তবুও পেটের দায়ে বের হতে হয়। তবে আজ গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কাজ নেই।

সরোজগঞ্জ এলাকার ভাঙড়ি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। পুরোনো ভাঙারি জিনিস কিনবো। খুব কষ্ট করে ঘুরছি। তবুও বেচাকেনা নেই! ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বাড়ির বাইরে বের হলে হাত-পা হিম হয়ে যায়। কিন্তু কাজে বের না হলে তো চলে না।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সকাল ৯টায়ও তাপমাত্রা একই ছিল। এর আগের দিন সোমবার সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা ছিল।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরেই জেলায় কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও কমেছে। বিকেল গড়ালেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীতের প্রকোপ। সকালে দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশার চাদরে জড়িয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গতকাল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সকাল ৯টায় ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিন চুয়াডাঙ্গা ও বদলগাছিতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।