ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সংবাদ সম্মেলন

কর্মী-সর্মথকরা যারা আমার পাশে থেকেছে তাদের আমি কখনোই ছাড়ব না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা পান্না সিনেমা হল চত্বরের নিজস্ব দলীয় কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ, প্রথমবার নির্বাচনে এসেই আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি, যে সমর্থন পেয়েছি, যে ভোট পেয়েছি, সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ। ৭২ হাজার ৬৬৮ জন ভোটার আমাকে ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৭ জন ভোটার নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ করেছেন। সকল ভোটারকে আমি শুভেচ্ছা জানাই।

আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছেন। নির্বাচনকে উৎসবমুখর করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রিটার্নিং অফিসার, ডিসি সাহেব সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এসপি সাহেবসহ পুলিশ-প্রশাসনের সকলের চেষ্টা সর্বোচ্চ ছিল। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা যারা নির্বাচনের নিউজ কভারেজ দিয়েছেন, অনেক কষ্ট করেছেন, আপনাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। এতো বড় নির্বাচনে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, এটা স্বাভাবিক। এর বাইরে আমার কাছে নির্বাচন সুষ্ঠু মনে হয়েছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, আমি যাকে কাকু বলে ডাকি, তিনি বিজয়ী হয়েছেন। আমি তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কাকুর সকল ভালো কাজের সাথে আমি আছি। আমি আমার জায়গা থেকে কাকুর সকল প্রকার ভালো কাজে আছি। কাকুকে বলব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ-এর অংশ হিসেবে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ার ক্ষেত্রে আমার যদি কোনো সহযোগিতা আপনার প্রয়োজন হয়, জানাবেন। পাশে থেকে সহযোগিতা করব। নির্বাচন শেষ হয়েছে, এই নির্বাচনে আমরা যারা অংশগ্রহণ করেছি, সবাই নৌকার কর্মী। সবাই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। এই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। নির্বাচন শেষ হয়েছে, সবাই আমরা এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সৈনিক। নির্বাচন পরবর্তী শান্তিপূর্ণ চুয়াডাঙ্গা গড়ার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি আশা করব আপনি নজর দিবেন।’

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমি কাকুকে আজ স্বশরীরে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবো। সবাই মিলে আমরা আগামীর চুয়াডাঙ্গা গড়ব। চুয়াডাঙ্গার ভবিষৎ প্রজন্ম যাতে আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে, আমাদের প্রত্যেকের জায়গা থেকে সেই কাজটি করতে হবে। সকল নেতা-কর্মীসহ আমার নির্বাচনী টিমের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। আমরা একটা পরিবার হিসেবে আছি, পরিবার হিসেবে থাকব। নতুন প্রজন্মকে বলব, চলো এগিয়ে যাই। সামনের দিকে। আমরা সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা দেখব, এটাই আমাদের প্রত্যয়।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি নৌকার কর্মী, গত ২৬ তারিখ প্রধানমন্ত্রী আমাদের গণভবনে ডেকেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিএনপির-জামায়াত ভোটে অংশ নিচ্ছে না। ভোটকে অংগ্রহণমূলক করতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। গতবার যেমন বেশকিছু আসনে নির্বাচন হয়নি, এবার যেন এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভোট করেছি। আমরা চেয়েছি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে। আমি নৌকাকে ভালোবাসি, নৌকার আদর্শকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। এই আহ্বানই আমি সবসময় জানিয়েছি। নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধামনন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন, দেশকে স্মার্ট গড়ে তুলতে আমরা সবাই সার্বিক সহযোগিতা করব একজন কর্মী হিসেবে।’

নিজের ভোটার ও কর্মী-সর্মথকদের বিষয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি আমার সকল কর্মী ও সর্মথককে পরিষ্কার করে বলেছিলাম, আমি আছি এবং থাকব। কর্মী ও সর্মথকেরা যারা আমার পাশে থেকেছে এবং আছে, যাদের হাত আমি ধরেছি, সেই হাত আমি কখনও ছাড়বো না। আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমার সকল কর্মী-সমর্থক ও ভোটরদের জানাতে চাই, যিনি এই নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন, তাঁর প্রতি আমার যেমন আহ্বান, আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আপনারা জানেন স্কুলের পরীক্ষায় সবাই প্রথম হয় না। আমি জিতলে আমার কর্মীদের যেখানে রাখতাম, আমি পরাজয়ের পরেও আমার কর্মীরা সেখানেই থাকবে। তাদের পাশে আমি একইভাবে আছি। যেহেতু আমি সংসদ সদস্য হতে পারিনি, এখন আমার ব্যক্তি উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব, আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব। সাধারণ মানুষের পাশে আমি আগেও ছিলাম এখনও আছি এবং থাকব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সংবাদ সম্মেলন

কর্মী-সর্মথকরা যারা আমার পাশে থেকেছে তাদের আমি কখনোই ছাড়ব না

আপলোড টাইম : ০১:৫২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

সমীকরণ প্রতিবেদক:
নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা পান্না সিনেমা হল চত্বরের নিজস্ব দলীয় কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ, প্রথমবার নির্বাচনে এসেই আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি, যে সমর্থন পেয়েছি, যে ভোট পেয়েছি, সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ। ৭২ হাজার ৬৬৮ জন ভোটার আমাকে ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৭ জন ভোটার নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ করেছেন। সকল ভোটারকে আমি শুভেচ্ছা জানাই।

আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছেন। নির্বাচনকে উৎসবমুখর করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রিটার্নিং অফিসার, ডিসি সাহেব সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এসপি সাহেবসহ পুলিশ-প্রশাসনের সকলের চেষ্টা সর্বোচ্চ ছিল। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা যারা নির্বাচনের নিউজ কভারেজ দিয়েছেন, অনেক কষ্ট করেছেন, আপনাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। এতো বড় নির্বাচনে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, এটা স্বাভাবিক। এর বাইরে আমার কাছে নির্বাচন সুষ্ঠু মনে হয়েছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, আমি যাকে কাকু বলে ডাকি, তিনি বিজয়ী হয়েছেন। আমি তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কাকুর সকল ভালো কাজের সাথে আমি আছি। আমি আমার জায়গা থেকে কাকুর সকল প্রকার ভালো কাজে আছি। কাকুকে বলব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ-এর অংশ হিসেবে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ার ক্ষেত্রে আমার যদি কোনো সহযোগিতা আপনার প্রয়োজন হয়, জানাবেন। পাশে থেকে সহযোগিতা করব। নির্বাচন শেষ হয়েছে, এই নির্বাচনে আমরা যারা অংশগ্রহণ করেছি, সবাই নৌকার কর্মী। সবাই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। এই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। নির্বাচন শেষ হয়েছে, সবাই আমরা এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সৈনিক। নির্বাচন পরবর্তী শান্তিপূর্ণ চুয়াডাঙ্গা গড়ার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি আশা করব আপনি নজর দিবেন।’

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমি কাকুকে আজ স্বশরীরে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবো। সবাই মিলে আমরা আগামীর চুয়াডাঙ্গা গড়ব। চুয়াডাঙ্গার ভবিষৎ প্রজন্ম যাতে আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে, আমাদের প্রত্যেকের জায়গা থেকে সেই কাজটি করতে হবে। সকল নেতা-কর্মীসহ আমার নির্বাচনী টিমের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। আমরা একটা পরিবার হিসেবে আছি, পরিবার হিসেবে থাকব। নতুন প্রজন্মকে বলব, চলো এগিয়ে যাই। সামনের দিকে। আমরা সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা দেখব, এটাই আমাদের প্রত্যয়।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি নৌকার কর্মী, গত ২৬ তারিখ প্রধানমন্ত্রী আমাদের গণভবনে ডেকেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিএনপির-জামায়াত ভোটে অংশ নিচ্ছে না। ভোটকে অংগ্রহণমূলক করতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। গতবার যেমন বেশকিছু আসনে নির্বাচন হয়নি, এবার যেন এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভোট করেছি। আমরা চেয়েছি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে। আমি নৌকাকে ভালোবাসি, নৌকার আদর্শকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। এই আহ্বানই আমি সবসময় জানিয়েছি। নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধামনন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন, দেশকে স্মার্ট গড়ে তুলতে আমরা সবাই সার্বিক সহযোগিতা করব একজন কর্মী হিসেবে।’

নিজের ভোটার ও কর্মী-সর্মথকদের বিষয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি আমার সকল কর্মী ও সর্মথককে পরিষ্কার করে বলেছিলাম, আমি আছি এবং থাকব। কর্মী ও সর্মথকেরা যারা আমার পাশে থেকেছে এবং আছে, যাদের হাত আমি ধরেছি, সেই হাত আমি কখনও ছাড়বো না। আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমার সকল কর্মী-সমর্থক ও ভোটরদের জানাতে চাই, যিনি এই নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন, তাঁর প্রতি আমার যেমন আহ্বান, আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আপনারা জানেন স্কুলের পরীক্ষায় সবাই প্রথম হয় না। আমি জিতলে আমার কর্মীদের যেখানে রাখতাম, আমি পরাজয়ের পরেও আমার কর্মীরা সেখানেই থাকবে। তাদের পাশে আমি একইভাবে আছি। যেহেতু আমি সংসদ সদস্য হতে পারিনি, এখন আমার ব্যক্তি উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব, আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব। সাধারণ মানুষের পাশে আমি আগেও ছিলাম এখনও আছি এবং থাকব।’