ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার আসমানখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে

মজুদকৃত পাটকাঠি পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করেই বাজারে আগুনের কুণ্ডলি দেখা যায়। মুহূর্তেই তা পাটকাঠির বাজারে ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। অগ্নিকাণ্ডে হাটে মজুদকৃত এক কোটি টাকার অধিক পাটকাঠি পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গতকার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে আসমানখালী বাজারে আগুনের কুণ্ডলি দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পাটকাঠির হাটে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাজারের বিভিন্ন জায়গাজুড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ২ ঘণ্টার আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আসমানখালী বাজার কমিটির সভাপতি ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাটকাঠি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ী পানের বরজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন গ্রাম এসব পাটকাঠি কিনে নিয়ে এসে বিক্রির জন্য গাদা করে সংরক্ষণ করেছিলেন। আলমডাঙ্গা উপজেলাসহ আসপাশের বিভিন্ন গ্রামের পানচাষিরা এই হাট থেকে পানের বরজে ব্যবহারের জন্য পাটকাঠি ক্রয় করেন।

ফারুক হোসেন আরও জানান, একমাস আগে প্রায় ৫০ লাখ টাকার পাটকাঠি কিনে বিক্রির জন্য হাটে মজুত করে রেখেছিলেন তিনি। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সমপরিমাণ পাটকাঠি হাটে মজুদ ছিল। ভয়াবহ এই আগুনে মজুদকৃত সব পাটকাঠি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারী কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে খবর পাই আসমানখালী পাটকাঠির হাটে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার মোট ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। গাড়ি ও ১০টি পাম্প দিয়ে পানি নিয়ে ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার ফাইটাররা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, পাটকাঠির গাদা থেকে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লোকালয়, পান বরজ ও আশপাশের বাড়ি-ঘর আগুন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার আসমানখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে

মজুদকৃত পাটকাঠি পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি

আপলোড টাইম : ১১:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করেই বাজারে আগুনের কুণ্ডলি দেখা যায়। মুহূর্তেই তা পাটকাঠির বাজারে ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। অগ্নিকাণ্ডে হাটে মজুদকৃত এক কোটি টাকার অধিক পাটকাঠি পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গতকার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে আসমানখালী বাজারে আগুনের কুণ্ডলি দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পাটকাঠির হাটে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাজারের বিভিন্ন জায়গাজুড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ২ ঘণ্টার আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আসমানখালী বাজার কমিটির সভাপতি ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাটকাঠি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ী পানের বরজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন গ্রাম এসব পাটকাঠি কিনে নিয়ে এসে বিক্রির জন্য গাদা করে সংরক্ষণ করেছিলেন। আলমডাঙ্গা উপজেলাসহ আসপাশের বিভিন্ন গ্রামের পানচাষিরা এই হাট থেকে পানের বরজে ব্যবহারের জন্য পাটকাঠি ক্রয় করেন।

ফারুক হোসেন আরও জানান, একমাস আগে প্রায় ৫০ লাখ টাকার পাটকাঠি কিনে বিক্রির জন্য হাটে মজুত করে রেখেছিলেন তিনি। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সমপরিমাণ পাটকাঠি হাটে মজুদ ছিল। ভয়াবহ এই আগুনে মজুদকৃত সব পাটকাঠি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারী কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে খবর পাই আসমানখালী পাটকাঠির হাটে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার মোট ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। গাড়ি ও ১০টি পাম্প দিয়ে পানি নিয়ে ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার ফাইটাররা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, পাটকাঠির গাদা থেকে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লোকালয়, পান বরজ ও আশপাশের বাড়ি-ঘর আগুন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।