ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরের মনোহরপুর আবাসনের দরজা, জানালা ও ঘরের টিন খুলে বিক্রি

চোর ধরা পড়লেও বিচার না করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর আবাসনে প্রকাশ্য দরজা, জানালা ও ঘরের টিন খুলে বিক্রির সময় চোর ধরা পড়লেও বিচার না করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাতে জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে অন্তর্গত আবাসনে এ ঘটনা ঘটে।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার উজ্জল হোসেন বলেন, গত রোববার রাতে মনোহরপুর আবাসনে চোর চক্রের সদস্যরা হানা দিয়ে বেশ কয়েকটি ঘরের জানালা চুরি করে নিয়ে যায়। এ সংবাদে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। একপর্যায়ে আবাসনের ভাংড়ী ব্যবসায়ী নাজমুলকে ধরলে তিনি চুরি হওয়া ৮টি জানালা উদ্ধার করে দেয় এবং এর সাথে জড়িত মনোহরপুর গ্রামের পিণ্টু, রিণ্টু, শিমুল, শহীদ, ইকবাল ও লিয়াকতের নাম প্রকাশ করেন। উদ্ধারকৃত জানালাগুলো চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মনোহরপুর আবাসনের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘আবাসনে মনোহরপুর গ্রামের কিছু ক্ষমতাশীল ব্যক্তি রাতে ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় ঘরের জানালা খুলে নিয়ে যায়। এমনকি ঘরের টিন পর্যন্ত তারা খুলে নিয়ে বিক্রি করছে। আমরা কিছু বলতে গেলেই তারা আমাদের জবাই করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। যার ফলে তাদের ভয়ে আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারছি না।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, মনোহরপুর আবাসনে যেসব পরিত্যক্ত ঘর আছে, তার বেশির ভাগ ঘরের টিন একটি চক্র খুলে নিয়ে গেছে। এমনকি আবাসনের মানুষের ব্যবহৃত টয়লেটের দরজা পর্যন্ত খুলে নিয়ে চলে গেছে। তাছাড়া ওই আবাসনে প্রতিদিন গাঁজা, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদকসেবীদের আখড়া বসে বলে জানান এলাকার সচেতন মানুষ।

মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি আবাসনে চুরি হওয়া জানালা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ বলেন, মনোহরপুর আবাসনের ঘরের জানালা চুরি হয়েছিল এটা শুনেছিলাম এবং সেগুলো উদ্ধার হওয়ায় তেমন কোনো আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরের মনোহরপুর আবাসনের দরজা, জানালা ও ঘরের টিন খুলে বিক্রি

চোর ধরা পড়লেও বিচার না করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর আবাসনে প্রকাশ্য দরজা, জানালা ও ঘরের টিন খুলে বিক্রির সময় চোর ধরা পড়লেও বিচার না করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাতে জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে অন্তর্গত আবাসনে এ ঘটনা ঘটে।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার উজ্জল হোসেন বলেন, গত রোববার রাতে মনোহরপুর আবাসনে চোর চক্রের সদস্যরা হানা দিয়ে বেশ কয়েকটি ঘরের জানালা চুরি করে নিয়ে যায়। এ সংবাদে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। একপর্যায়ে আবাসনের ভাংড়ী ব্যবসায়ী নাজমুলকে ধরলে তিনি চুরি হওয়া ৮টি জানালা উদ্ধার করে দেয় এবং এর সাথে জড়িত মনোহরপুর গ্রামের পিণ্টু, রিণ্টু, শিমুল, শহীদ, ইকবাল ও লিয়াকতের নাম প্রকাশ করেন। উদ্ধারকৃত জানালাগুলো চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মনোহরপুর আবাসনের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘আবাসনে মনোহরপুর গ্রামের কিছু ক্ষমতাশীল ব্যক্তি রাতে ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় ঘরের জানালা খুলে নিয়ে যায়। এমনকি ঘরের টিন পর্যন্ত তারা খুলে নিয়ে বিক্রি করছে। আমরা কিছু বলতে গেলেই তারা আমাদের জবাই করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। যার ফলে তাদের ভয়ে আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারছি না।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, মনোহরপুর আবাসনে যেসব পরিত্যক্ত ঘর আছে, তার বেশির ভাগ ঘরের টিন একটি চক্র খুলে নিয়ে গেছে। এমনকি আবাসনের মানুষের ব্যবহৃত টয়লেটের দরজা পর্যন্ত খুলে নিয়ে চলে গেছে। তাছাড়া ওই আবাসনে প্রতিদিন গাঁজা, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদকসেবীদের আখড়া বসে বলে জানান এলাকার সচেতন মানুষ।

মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি আবাসনে চুরি হওয়া জানালা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ বলেন, মনোহরপুর আবাসনের ঘরের জানালা চুরি হয়েছিল এটা শুনেছিলাম এবং সেগুলো উদ্ধার হওয়ায় তেমন কোনো আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।