ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মারধর করে আ.লীগ সভাপতির মুজিব কোর্ট ছিড়ে দিলেন নৌকার সমর্থকরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তুফা বিশ^াসকে মারধর করে গায়ে থাকা মুজিব কোর্ট ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার শংকরপুর গ্রামে নৌকার সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট ও গায়ে থাকা মুজিব কোর্ট ছিড়ে ফেলেন। গতকাল রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরে ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া আইসিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তুফা বিশ^াস।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, রাতে তিনি মাইক্রোযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের নির্বাচনী প্রচারণায় শংকরপুর গ্রামের যান। গাড়ি থেকে নেমে তিনি ওমর আলীর চায়ের দোকানে নামেন। এসময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক চন্ডিপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে জোবায়ের মীর, একই গ্রামের কফিল উদ্দীনের ছেলে মীর কামরুজ্জামান, আমির হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও নুর ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম তাকে গাড়ি কলার চেপে ধরে টেনে হেচড়ে বেদম মারপিট করেন। এসময় তার গায়ে থাকা মুজিব কোর্টটি টেনে ছিড়ে ফেলা হয়। তাকে এলাকায় গিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করলে খুন  ও জখমের হুমকি দেওয়া হয়। এ কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ঘটনার পর থেকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে নিজ এলাকায় তিনি প্রচারাভিযান চালাতে পারছেন না বলেও লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন। তোফাজ্জেল হোসেন তুফা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকার প্রার্থী দুজনই জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। দলীয় সভাপতির ঘোষণার কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করছি। এটা তো আমার অপরাধ নয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি স্বাধীনতার পর থেকে ৫১ বছর আওয়ামী লীগ করছি। বহু বছর ধরে গান্না ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছি। রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত হলে মুজিব কোর্ট গায়ে পরেছি, অথচ সেই কোর্ট ছিড়ে ফেলা হলো। আমি সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছি, এর বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রেজাউল মাস্টার, আলমগীর হোসেন ও আমিন হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মারধর করে আ.লীগ সভাপতির মুজিব কোর্ট ছিড়ে দিলেন নৌকার সমর্থকরা

আপলোড টাইম : ১২:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তুফা বিশ^াসকে মারধর করে গায়ে থাকা মুজিব কোর্ট ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার শংকরপুর গ্রামে নৌকার সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট ও গায়ে থাকা মুজিব কোর্ট ছিড়ে ফেলেন। গতকাল রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরে ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া আইসিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তুফা বিশ^াস।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, রাতে তিনি মাইক্রোযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের নির্বাচনী প্রচারণায় শংকরপুর গ্রামের যান। গাড়ি থেকে নেমে তিনি ওমর আলীর চায়ের দোকানে নামেন। এসময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক চন্ডিপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে জোবায়ের মীর, একই গ্রামের কফিল উদ্দীনের ছেলে মীর কামরুজ্জামান, আমির হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও নুর ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম তাকে গাড়ি কলার চেপে ধরে টেনে হেচড়ে বেদম মারপিট করেন। এসময় তার গায়ে থাকা মুজিব কোর্টটি টেনে ছিড়ে ফেলা হয়। তাকে এলাকায় গিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করলে খুন  ও জখমের হুমকি দেওয়া হয়। এ কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ঘটনার পর থেকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে নিজ এলাকায় তিনি প্রচারাভিযান চালাতে পারছেন না বলেও লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন। তোফাজ্জেল হোসেন তুফা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকার প্রার্থী দুজনই জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। দলীয় সভাপতির ঘোষণার কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করছি। এটা তো আমার অপরাধ নয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি স্বাধীনতার পর থেকে ৫১ বছর আওয়ামী লীগ করছি। বহু বছর ধরে গান্না ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছি। রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত হলে মুজিব কোর্ট গায়ে পরেছি, অথচ সেই কোর্ট ছিড়ে ফেলা হলো। আমি সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছি, এর বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রেজাউল মাস্টার, আলমগীর হোসেন ও আমিন হোসেন উপস্থিত ছিলেন।