ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শনা বাড়াদী সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক

১৫ দিন পর ফেরত এলো দুই বাংলাদেশির লাশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারত। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাংলাদেশ সীমানার ৮১/৮২ নম্বর প্রধান পিলার নিকটে বিএসএফ-বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাজিদুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার শরিয়তুল্লাহর ছেলে খাজা মঈনউদ্দিন (৩২)।

পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী, বাড়াদী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মো. খালেকুজ্জামানসহ ২৫-৩০ জন বিজিবি জওয়ান, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. মহিবুল্লাহ ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দপুর বিএসএফ-এর কোম্পানি কমান্ডার দূর্গেশ নারায়ণ, বিএসএফের কাদিপুর ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার এসপি সিং, গোবিন্দপুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর রাবিন মুখার্জী ও কৃষ্ণনগর থানার এসআই প্রকাশ শিকদার।

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে সাজিদুল ও মঈনউদ্দিন বারাদী সীমান্ত মেইন পিলার নং ৮১/৮২ পাশ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করার সময় ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন।

ঘটনার ১২ দিন পর বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দর্শনা বাড়াদী সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে নিহতের লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি। টানা ১৫ দিন পর গতকাল শনিবার বিকেলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। সন্ধ্যার পর দুজনের মরদেহ গ্রামের বাড়ি ছয়ঘরিতে নেওয়া হয়।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, টানা ১৫ দিন পর বিএসএফের গুলিতে নিহত দুজনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারত প্রশাসন। মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দীর্ঘ ১৫ দিন পর লাশ ফেরত পেয়ে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়। ছয়ঘরিয়া গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। সীমান্তের বারাদী, কামারপাড়া, নাস্তিপুর, ঝাঁঝাঁডাঙ্গা ও ছয়ঘরিয়া গ্রামের সড়কে শত শত নারী-পুরুষ ছুটে আসে এক নজর লাশ দুটি দেখতে। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর নিহত দুজনের মৃতদেহ ভারতের গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে তুলে দেয়। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ লাশ দুটি বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা বাড়াদী সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক

১৫ দিন পর ফেরত এলো দুই বাংলাদেশির লাশ

আপলোড টাইম : ১০:১০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

দর্শনা অফিস:
দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারত। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাংলাদেশ সীমানার ৮১/৮২ নম্বর প্রধান পিলার নিকটে বিএসএফ-বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাজিদুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার শরিয়তুল্লাহর ছেলে খাজা মঈনউদ্দিন (৩২)।

পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী, বাড়াদী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মো. খালেকুজ্জামানসহ ২৫-৩০ জন বিজিবি জওয়ান, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. মহিবুল্লাহ ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দপুর বিএসএফ-এর কোম্পানি কমান্ডার দূর্গেশ নারায়ণ, বিএসএফের কাদিপুর ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার এসপি সিং, গোবিন্দপুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর রাবিন মুখার্জী ও কৃষ্ণনগর থানার এসআই প্রকাশ শিকদার।

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে সাজিদুল ও মঈনউদ্দিন বারাদী সীমান্ত মেইন পিলার নং ৮১/৮২ পাশ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করার সময় ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন।

ঘটনার ১২ দিন পর বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দর্শনা বাড়াদী সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে নিহতের লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি। টানা ১৫ দিন পর গতকাল শনিবার বিকেলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। সন্ধ্যার পর দুজনের মরদেহ গ্রামের বাড়ি ছয়ঘরিতে নেওয়া হয়।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, টানা ১৫ দিন পর বিএসএফের গুলিতে নিহত দুজনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারত প্রশাসন। মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দীর্ঘ ১৫ দিন পর লাশ ফেরত পেয়ে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়। ছয়ঘরিয়া গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। সীমান্তের বারাদী, কামারপাড়া, নাস্তিপুর, ঝাঁঝাঁডাঙ্গা ও ছয়ঘরিয়া গ্রামের সড়কে শত শত নারী-পুরুষ ছুটে আসে এক নজর লাশ দুটি দেখতে। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর নিহত দুজনের মৃতদেহ ভারতের গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে তুলে দেয়। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ লাশ দুটি বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।