ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার করা মামলায়

আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মানিক জামিনে মুক্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা ও অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকির মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিককে জামিন দিয়েছেন আদালত। পুলিশের চাওয়া ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে ১০ হাজার টাকা বন্ডে চুয়াডাঙ্গা সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর আমলি আদালতে রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটর (পিপি) অ্যাড. বেলাল হোসেন।

জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ এলাকায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রচারণায় বাধা, গাড়িবহর গতিরোধ করে প্রার্থীকে লাঞ্ছিত ও অস্ত্র প্রদর্শন করে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শনিবার দিনগত রাত সোয়া ৩টায় সদর থানায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমারকে হত্যাচেষ্টায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০-১২০ জকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনী প্রধান প্রতিনিধি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক।

ওই মামলায় পুলিশ পাঁচজন গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোর্পদ করে। ওই মামলায় গত রোববার আদালত চারজনের জামিন দিলেও কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান মানিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। মঙ্গলবার দুপুরে তার রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মামুন ৭ দিনের পুলিশি রিমান্ডের আবেদন করেন। সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট লস্কর সোহেল রানা রিমান্ড নামঞ্জুর করে ১০ হাজার টাকা বন্ডে তাঁকে জামিন দেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটর অ্যাড. বেলাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের শুনানি হয়। শুনানিতে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এবং জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে, জামিন পেয়ে বিকেলে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন। এসময় নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে গাড়িবহরযোগে জেল গেট থেকে নিয়ে যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার করা মামলায়

আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মানিক জামিনে মুক্ত

আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা ও অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকির মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিককে জামিন দিয়েছেন আদালত। পুলিশের চাওয়া ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে ১০ হাজার টাকা বন্ডে চুয়াডাঙ্গা সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর আমলি আদালতে রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটর (পিপি) অ্যাড. বেলাল হোসেন।

জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ এলাকায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রচারণায় বাধা, গাড়িবহর গতিরোধ করে প্রার্থীকে লাঞ্ছিত ও অস্ত্র প্রদর্শন করে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শনিবার দিনগত রাত সোয়া ৩টায় সদর থানায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমারকে হত্যাচেষ্টায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০-১২০ জকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনী প্রধান প্রতিনিধি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক।

ওই মামলায় পুলিশ পাঁচজন গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোর্পদ করে। ওই মামলায় গত রোববার আদালত চারজনের জামিন দিলেও কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান মানিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। মঙ্গলবার দুপুরে তার রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মামুন ৭ দিনের পুলিশি রিমান্ডের আবেদন করেন। সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট লস্কর সোহেল রানা রিমান্ড নামঞ্জুর করে ১০ হাজার টাকা বন্ডে তাঁকে জামিন দেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটর অ্যাড. বেলাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের শুনানি হয়। শুনানিতে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এবং জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে, জামিন পেয়ে বিকেলে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন। এসময় নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে গাড়িবহরযোগে জেল গেট থেকে নিয়ে যায়।