ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গ

বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের ৪৭ হাজার ৮ শ টাকা জরিমানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ৪৭ হাজার ৮ শ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় উচ্ছেদ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রার্থীর অতিরিক্ত নির্বাচনী অফিস। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনী পোস্টার অনুমোদিত আকারের চেয়ে বড় এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে প্রদর্শনের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অর্থ পরিশোধ করেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ম্যানেজার। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ২, ৩, ৪, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের ৮টি, ঈগল প্রতীকের ৩টি ও ফ্রিজ প্রতীকের ৯টি অতিরিক্ত অফিস উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি ১ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ করা ফ্রিজ প্রতীকের একটি অফিস পুনরায় চালু করায় সেখান থেকে ৭টি প্লাস্টিক চেয়ার জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল।

এদিকে, সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের খাসপাড়া এলাকায় ফ্রিজ প্রতীকের ৩০টিরও বেশি মোটরসাইকেল সহযোগে শোডাউন করতে দেখা গেলে তাদেরকে নিবৃত্ত করা হয়। এসময় ফ্রিজ প্রতীকের সমর্থক রেজাউল করিমকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ২ হাজার ৮ শ টাকা জরিমানা করা হয়। একই ইউনিয়নের ভুলটিয়ায় একটি দোকানে নৌকা প্রতীকের একাধিক পোস্টার দেয়ালে লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেলে তা অপসারণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নৌকা, ঈগল ও ফ্রিজ প্রতীকের দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছে লাগানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। এ অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এনডিসি সাইফুল ইসলাম সাইফ।

এছাড়া, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের জামজামি বাজারে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন এবং বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জা করায় ঈগল প্রতীকের কর্মীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং উপস্থিত থেকে ক্যাম্প অপসারণ করা হয়। ডাউকি ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প থাকায় নৌকা প্রতীক প্রার্থীর কর্মীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ডাউকিতেও ঈগল প্রতীক প্রার্থীর একাধিক ক্যাম্প উচ্ছেদ করা হয়। এ অভিযান চালান আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। একইসাথে আলমডাঙ্গা উপজেলার আঁইলহাঁস ও নাগদাহ ইউনিয়নে ফ্রিজ প্রতীকের একাধিক ক্যাম্প স্থাপন করায় একটি ক্যাম্পকে ১ হাজার জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম।

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা মোড়, জুড়ানপুর, হোগলডাঙ্গা বাজার ও নতিপোতায় নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের একাধিক ক্যাম্প অফিস অপসারণ করা হয়। এসময় ভগিরথপুর ও চারুলিয়া বাজারে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টকে ১ হাজার টাকা এবং নৌকা প্রতীকের ক্যাম্পকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এ দুটি অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগরের কেডিকে ইউনিয়নে নৌকা মার্কার কাশিপুর দক্ষিণপাড়া ক্যাম্পে ১টি পোস্টার সাঁটানো থাকায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয় এবং সাঁটানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। একই সাথে কেডিকে ইউনিয়নে নৌকা মার্কার ২টি ক্যাম্প থাকায় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয় এবং দেহাটি বাজারের ক্যাম্পটি বন্ধ করা দেয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গ

বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের ৪৭ হাজার ৮ শ টাকা জরিমানা

আপলোড টাইম : ১১:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ৪৭ হাজার ৮ শ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় উচ্ছেদ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রার্থীর অতিরিক্ত নির্বাচনী অফিস। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনী পোস্টার অনুমোদিত আকারের চেয়ে বড় এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে প্রদর্শনের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অর্থ পরিশোধ করেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ম্যানেজার। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ২, ৩, ৪, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের ৮টি, ঈগল প্রতীকের ৩টি ও ফ্রিজ প্রতীকের ৯টি অতিরিক্ত অফিস উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি ১ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ করা ফ্রিজ প্রতীকের একটি অফিস পুনরায় চালু করায় সেখান থেকে ৭টি প্লাস্টিক চেয়ার জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল।

এদিকে, সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের খাসপাড়া এলাকায় ফ্রিজ প্রতীকের ৩০টিরও বেশি মোটরসাইকেল সহযোগে শোডাউন করতে দেখা গেলে তাদেরকে নিবৃত্ত করা হয়। এসময় ফ্রিজ প্রতীকের সমর্থক রেজাউল করিমকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ২ হাজার ৮ শ টাকা জরিমানা করা হয়। একই ইউনিয়নের ভুলটিয়ায় একটি দোকানে নৌকা প্রতীকের একাধিক পোস্টার দেয়ালে লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেলে তা অপসারণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নৌকা, ঈগল ও ফ্রিজ প্রতীকের দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছে লাগানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। এ অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এনডিসি সাইফুল ইসলাম সাইফ।

এছাড়া, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের জামজামি বাজারে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন এবং বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জা করায় ঈগল প্রতীকের কর্মীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং উপস্থিত থেকে ক্যাম্প অপসারণ করা হয়। ডাউকি ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প থাকায় নৌকা প্রতীক প্রার্থীর কর্মীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ডাউকিতেও ঈগল প্রতীক প্রার্থীর একাধিক ক্যাম্প উচ্ছেদ করা হয়। এ অভিযান চালান আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। একইসাথে আলমডাঙ্গা উপজেলার আঁইলহাঁস ও নাগদাহ ইউনিয়নে ফ্রিজ প্রতীকের একাধিক ক্যাম্প স্থাপন করায় একটি ক্যাম্পকে ১ হাজার জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম।

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা মোড়, জুড়ানপুর, হোগলডাঙ্গা বাজার ও নতিপোতায় নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের একাধিক ক্যাম্প অফিস অপসারণ করা হয়। এসময় ভগিরথপুর ও চারুলিয়া বাজারে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টকে ১ হাজার টাকা এবং নৌকা প্রতীকের ক্যাম্পকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এ দুটি অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগরের কেডিকে ইউনিয়নে নৌকা মার্কার কাশিপুর দক্ষিণপাড়া ক্যাম্পে ১টি পোস্টার সাঁটানো থাকায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয় এবং সাঁটানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। একই সাথে কেডিকে ইউনিয়নে নৌকা মার্কার ২টি ক্যাম্প থাকায় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয় এবং দেহাটি বাজারের ক্যাম্পটি বন্ধ করা দেয়া হয়।