ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ শুভ ‘বড়দিন’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শুভ বড়দিন। এ উপলক্ষে দেশের সব গির্জা সাজানো হয়েছে নতুন রূপে-নতুন রঙে। রোববার রাত থেকেই তা দেখতে গির্জাগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। একই অবস্থা রাজধানীর গির্জাগুলোতে। ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে বেশিরভাগ গির্জা, চলছে প্রার্থনার প্রস্তুতি। বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালার গির্জায় উৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে গোটা এলাকা। রঙিন তারায় জ্বল জ্বলে ক্রিসমাস ট্রি। বাংলাদেশে এই উৎসব বড়দিন বার ক্রিসমাস ডে নামে পরিচিত। বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারির কারণে বড় দিনের উৎসব সীমিত আকারে পালন করা হলেও এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে গির্জাগুলো। মূলত খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের দিনে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। তাই আজ সারা দিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্?যাপন করবেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। বড়দিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’ ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সব শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যিশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। তিনি তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন। বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সব সদস্যকে ‘বড়দিন’ উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আজ শুভ ‘বড়দিন’

আপলোড টাইম : ১০:৫৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শুভ বড়দিন। এ উপলক্ষে দেশের সব গির্জা সাজানো হয়েছে নতুন রূপে-নতুন রঙে। রোববার রাত থেকেই তা দেখতে গির্জাগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। একই অবস্থা রাজধানীর গির্জাগুলোতে। ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে বেশিরভাগ গির্জা, চলছে প্রার্থনার প্রস্তুতি। বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালার গির্জায় উৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে গোটা এলাকা। রঙিন তারায় জ্বল জ্বলে ক্রিসমাস ট্রি। বাংলাদেশে এই উৎসব বড়দিন বার ক্রিসমাস ডে নামে পরিচিত। বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারির কারণে বড় দিনের উৎসব সীমিত আকারে পালন করা হলেও এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে গির্জাগুলো। মূলত খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের দিনে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। তাই আজ সারা দিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্?যাপন করবেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। বড়দিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’ ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সব শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যিশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। তিনি তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন। বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সব সদস্যকে ‘বড়দিন’ উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।