ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

আজ প্রতীক বরাদ্দের পরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার। এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে একজন, মেহেরপুরের দুটি আসন থেকে পাঁচজন ও ঝিনাইদহ-২ ও ৩ আসনে চারজনসহ এ তিন জেলার মোট ১০ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ৬ জন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টায় প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গতকাল রোববার পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এদিন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে শুধুমাত্র একজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তিনি হলেন জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী সালাম উদ্দিন।

এদিকে, তফসিল অনুযায়ী আজ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের কথা। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের জন্য তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার চিঠি দিয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই প্রতীক বরাদ্দের অনুষ্ঠান হবে। প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, জাতীয় পার্টির মনোনীত অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, এনপিপি মনোনীত ইদ্রিস চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ উপ-কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমান।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলী আজগার টগর, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রবিউল ইসলাম, এনপিপির ইদ্রিস চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহ, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক নূর হাকিম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আবু হাশেম রেজা।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৭ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১টি। ৮০, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪২ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৯২ জন। মোট ভোটকেন্দ্রে সংখ্যা ১৭৩টি।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬-১৫ নভেম্বর, ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

মেহেরপুর:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুরের দুটি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন পাঁচ প্রার্থী। এদের মধ্যে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানও রয়েছেন। গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারহারের শেষ দিনে মেহেরপুর জেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে মেহেরপুর-১ আসনে এখন চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ছয়জন এবং মেহেরপুর-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাত জন প্রার্থী।

মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন- মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে জাকের পার্টি প্রার্থী সাইদুল আলম শাহীন, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সামসুদ্দোহা সোহেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল ও বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য নূর আহমেদ বকুল।
মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি বলেন, ‘দলীয় নেত্রীর ওপর সম্মান রেখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহর করেছি। এখন দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করব। তবে দলীয় নেত্রী বলেছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করতে। আমি সেই কাজটিই করব। এখানে দলীয় ও স্বতন্ত্র বলে কোনো কথা নেই।’

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে ৪টি আসনের মধ্যে ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল রোববার বিভিন্ন সময়ে সশরীরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে হাজির হয়ে তাঁরা নিজ নিজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এস এম রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু এবং ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী যুবলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিচুর রহমান টিপু ও জাকের পার্টির বাবুল হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঝিনাইদহ জেলার চারটি আসন থেকে মোট ৩৪ জন মনোনয়নপত্র উত্তোলন এবং জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গত ৩ ও ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষ করে ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়। বৈধ বলে মনোনীত হন ২৭ জন। এরপর গতকাল ৩ জন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মোট ২৪ জন প্রার্থী সামনের ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

আজ প্রতীক বরাদ্দের পরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা

আপলোড টাইম : ১০:৩৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার। এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে একজন, মেহেরপুরের দুটি আসন থেকে পাঁচজন ও ঝিনাইদহ-২ ও ৩ আসনে চারজনসহ এ তিন জেলার মোট ১০ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ৬ জন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টায় প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গতকাল রোববার পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এদিন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে শুধুমাত্র একজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তিনি হলেন জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী সালাম উদ্দিন।

এদিকে, তফসিল অনুযায়ী আজ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের কথা। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের জন্য তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার চিঠি দিয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই প্রতীক বরাদ্দের অনুষ্ঠান হবে। প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, জাতীয় পার্টির মনোনীত অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, এনপিপি মনোনীত ইদ্রিস চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ উপ-কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমান।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলী আজগার টগর, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রবিউল ইসলাম, এনপিপির ইদ্রিস চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহ, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক নূর হাকিম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আবু হাশেম রেজা।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৭ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১টি। ৮০, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪২ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৯২ জন। মোট ভোটকেন্দ্রে সংখ্যা ১৭৩টি।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬-১৫ নভেম্বর, ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

মেহেরপুর:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুরের দুটি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন পাঁচ প্রার্থী। এদের মধ্যে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানও রয়েছেন। গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারহারের শেষ দিনে মেহেরপুর জেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে মেহেরপুর-১ আসনে এখন চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ছয়জন এবং মেহেরপুর-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাত জন প্রার্থী।

মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন- মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে জাকের পার্টি প্রার্থী সাইদুল আলম শাহীন, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সামসুদ্দোহা সোহেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল ও বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য নূর আহমেদ বকুল।
মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি বলেন, ‘দলীয় নেত্রীর ওপর সম্মান রেখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহর করেছি। এখন দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করব। তবে দলীয় নেত্রী বলেছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করতে। আমি সেই কাজটিই করব। এখানে দলীয় ও স্বতন্ত্র বলে কোনো কথা নেই।’

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে ৪টি আসনের মধ্যে ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল রোববার বিভিন্ন সময়ে সশরীরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে হাজির হয়ে তাঁরা নিজ নিজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এস এম রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু এবং ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী যুবলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিচুর রহমান টিপু ও জাকের পার্টির বাবুল হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঝিনাইদহ জেলার চারটি আসন থেকে মোট ৩৪ জন মনোনয়নপত্র উত্তোলন এবং জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গত ৩ ও ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষ করে ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়। বৈধ বলে মনোনীত হন ২৭ জন। এরপর গতকাল ৩ জন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মোট ২৪ জন প্রার্থী সামনের ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন।