ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

স্বনির্ভর সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

সমীকরণ প্রতিবেদন:

স্বনির্ভর সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। বিজয় দিবস একদিকে আনন্দের, গৌরবে উদ্দীপ্ত হওয়ার দিন, অপরদিকে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে এ বিজয় লাখো শহিদের প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া। গতকাল শনিবার মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকীতে সমগ্র জাতি বীর সন্তানদের স্মরণ করে, যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটেছিল এবং বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। বিজয়ের এই দিনে বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উৎখাত, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিসহ সব ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। এসময় শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা।

এদিকে, মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের ৫২ বছর পেরিয়ে ৫৩ বছরে পদার্পণে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

চুয়াডাঙ্গা:

জেলা আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর বিজয়ের আনন্দে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় উদ্যাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস-২০২৩। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল আটটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলার সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, ব্যাংক-বীমা অফিস, দোকান-পাটগুলো বর্ণিল আলো ঝলমলে সাজে সজ্জিত করা হয়। একই সঙ্গে সঠিক মাপ ও রংয়ের জাতীয় পতাকা এবং রঙিন পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয়। দুপুরে সদর হাসপাতাল, জেলা কারাগার, সরকারি শিশু পরিবার ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জেলার সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বেলা সাড়ে তিনটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের আনন্দমুখর আয়োজন সমাপ্ত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন আসাদুল হক বিশ্বাস।

প্রথম প্রহরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি শুরু হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জেয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বড়বাজার শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। জেলা পলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেনের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার নেত্বত্বে জেলা বিএনপি, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. সাইফুর রশিদের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সাহানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংক-পিএলসি পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সকাল সাতটায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সাড়ে সাতটায় শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান।

যুবলীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুদ্দোহা হাসু। মহিলা আওয়ামী লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার কাকলী ও মহিলা নেত্রী নাবিলা রুকসানা ছন্দা। শ্রমিক লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল। কৃষক লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. তহিদুর রহমান চন্দন। ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা মুন্না আজম। যুব মহিলা লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা গিণি ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশাদ উদ্দিন আহমেদ চন্দন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক যুবলীগ নেতা আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, আবু বকর সিদ্দিক আরিফ, রেজাউল করিম, আব্দুর রশিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, জেলা যুবলীগ নেতা বিপ্লব, শেখ সেলিম, পিণ্টু জোয়ার্দ্দার, টুটুল, সৌকত, খালিদ মন্ডল, আসাদ, বিপুল, বাচ্চু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, সোয়েব রিগান, মোমিন, ওয়ালিউর রকি, এমদাদুল হক আকাশ, রেজওয়ান, মিঠুন, রিপন, শিমুল, ইমরান, শান্ত, রাজা, রিওনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের পৃথক কর্মসূচি:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সদর উপজেলার আলুকদিয়ায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আলুকদিয়া ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে। আমাদের সবার উচিত দেশের ইতিহাস জানা। বর্তমান তরুণ ও নতুন প্রজন্মের অনেকেই আমাদের গৌরবময় সোনালি ইতিহাস ভালো করে জানে না। সবারই উচিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে ভালোবাসা, দেশের জন্য কাজ করা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ফসল এ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে অভিহিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হাজার বছরের সংগ্রামের পরিণতি। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাহিনী বাঙালি হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে থাকবে। তাদের আত্মত্যাগের ফসল নষ্ট হয়নি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব বীর শহিদের বীরত্বগাঁথা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার মিলন, হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব ট্রাক্টর, পৌর কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তারিক আজিজ নয়ন, আলুকদিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শাহিন বিশ্বাস, ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি রিজিক বিশ্বাস, শ্রমিক নেতা জুয়েল, আকরাম, আজিজুল হকসহ অনেকে। এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কর্মসূচি:

জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় র‌্যালি ও শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকী উদ্যাপন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কার্যালয় থেকে একটি বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। বিজয় র‌্যালি নিয়ে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বড় বাজার শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, জেলা আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাড. মানি খন্দকার, জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, সাংগাঠনিক সম্পাদক সুজন মালিক, জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী বেগম, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও পৌর কাউন্সিলর মহলদার ইমরান রিণ্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান ও পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাজেদুল আলম মেহেদী।

চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিকস সমিতির পুষ্পস্তবক অর্পণ

পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা পুরস্কার বিতরণ:

জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্মযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় সংগীতের তালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় শান্তির প্রতীক শ্বেত কপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তাঁরা। এরপর গার্ড অব অনারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে চৌকস প্রহরায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করান। প্যারেড কমান্ডার ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ ইনচার্জ (আরআই) আমিনুল ইসলাম। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা সবার উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ভাষণ দেন। ভাষণ শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক শরীরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন তাঁরা।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়েজ স্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ, হলদে পাখি, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন। কুচকাওয়াজ শেষে রকমারী সাঁজে নান্দনিক শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন অংশগ্রহণকারীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সদর উপজেলা প্রশাসন, সদর উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা প্রশাসেনের কর্তকর্তাবৃন্দ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সবার কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন সুবেদার মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) খোন্দকার সাইদুর রহমান (বীর প্রতীক), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক ও আবু হোসেন। এর আগে আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা পাঠ ও বাইবেল পাঠ করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরাফাত রহমান, শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সদর উপজেলা প্রশাসন, সদর উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ।

উন্নতমানের খাবার পরিবেশন:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার (এতিমখানা), জেলা কারাগার ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনা, কুরআন খতম দোয়া অনুষ্ঠান:

মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ‘বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা, কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার জেলা মডেল মসজিদস্থ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে উপ-পরিচালক একেএম শাহিন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ জান্নাত আলী, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মজিবর রহমান, ফিল্ড সুপারভাইজার জিয়াইর রহমান প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাস্টার ট্রেইনার আমির হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। তবে এ অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তাঁরই নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:

সন্ধ্যা ছয়টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

জাসদের কর্মসূচি:

বিজয় দিবসে বাংলাদেশ জাসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমের নেতৃত্বে শহিদ হাসান চত্বরের শহিদ বেদীতে সকাল আটটায় শ্রদ্ধাঞ্জ8লি অর্পণ করা হয়। বাংলাদেশ জাসদ দামুড়হুদা উপজেলা শাখার উদ্যোগে আহসান হাবিব বকুল ও আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে সকাল ১০টায়, বাংলাদেশ জাসদ দর্শনা পৌর শাখার উদ্যোগে নিয়াজ উদ্দিনের নেতৃতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। জীবননগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তারিকুর রহমানের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টায় মাধবখালী সীমান্তে সম্মুখ সমরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

সরোজগঞ্জ:

সরোজগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির শুরু করা হয়। পরে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিজয় র‌্যালি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে সরোজগঞ্জ উদীচি শিল্পগোষ্ঠী, সরোজগঞ্জ আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ও সংগঠনে উদ্যোগে বিজয় দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের শুভ সূচনা হয়। এরপর আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পণ এবং শহিদদের স্মরণে নির্মিত শহিদ মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, আলমডাঙ্গা থানা, পৌরসভা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল, ব্রাইট স্কুল, আল-ইকরা ক্যাডেট স্কুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আয়োজন করে।

শহিদ মাজারে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস। এরপর একে একে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) একরাম হুসাইন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংঘটন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস ও থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) একরাম হুসাইন। এরপরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২২ জন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় উপজেলা প্রশাসন। পরে দুপুরের খাবার ও কম্বল দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

এদিকে, সকাল আটটায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি আবু মুছা, সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসাইনসহ নেতৃবৃন্দের নের্তৃত্বে র‌্যালিসহ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও শহিদ মাজারে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। পরে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি আলমডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ করে।

অপর দিকে, যথাযথ মর্যাদা ও আনুষ্ঠানিকতায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনে আলমডাঙ্গায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। সাড়ে ৮টায় একটি বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহিদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এছাড়াও দিবসটি উদ্যাপনে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের নিকট আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান পিণ্টু, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর সাচ্চু ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার।

উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মধ্যে আবদার আলী, আমজাদ আলী, বোরহান উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের সালাম মেম্বার, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন ইসলাম কনক, পৌর যুবদলেল যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদ হাসান শুভ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান রাশেদ, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আতিক হাসনাত রিংকুসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় মহান বিজয় দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুরু হয়। পরে আট শহিদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিল্পব কুমার সাহাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এরপর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠনের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন আশরাফুল আলম, গীতা পাঠ করেন নারায়ণ চন্দ্র পাল ও বাইবেল পাঠ করেন রিভারেট ডমেনিক মন্ডল। পরে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উওলন করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা। এছাড়ও কবুতর অবমুক্ত, বেলুন উত্তোলন শেষে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। পরে পুরস্কার বিতরণকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মনা স্মারক প্রদানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।

দর্শনা:

‘বিজয়ের লাল ছুঁয়ে যাক সবুজে’ এ স্লোগানে দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিজয় দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে দর্শনা রেলবাজার বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতীয়, দলীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রুস্তম আলী। পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে উপস্থিত হন তাঁরা। দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, থিয়েটার গ্রুপ ও পেশাজীবী ২৮টি সংগঠন দর্শনা কেরু চিনিকলের ফুটবল মাঠে বিজয় দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করেন।

এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাড়ে ৮টায় দর্শনা কেরু চিনিকলের ফুটবল মাঠে নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে উপস্থিতি। সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা গহয়। এরপর উপস্থিত সকল সংগঠনের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। শপথ বাক্য পাঠ শেষে প্রত্যেক সংগঠন একসাথে র‌্যালি করে দর্শনা চটকাতলা কামকমিউনিটি সেন্টার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পর্যায়ক্রমে সংগঠনগুলা পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।অপর দিকে, দর্শনা কেরুজ চিনিকল কমান্ড পৃথকভাবে উদ্যাপন করেছে মহান বিজয় দিবস। সকালে কেরুজ ক্লাবমাঠে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন সংলগ্ন শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন কেরু অ্যান্ড কোম্পানির পক্ষে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, কেরুজ প্রশাসন বিভাগের এডিএম ইউসুফ আলী, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) গোলাম জাকারিয়া, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি মফিজুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সহসম্পাদক খবির উদ্দিন, পরিবহণ বিভাগের মেম্বার শরিফুল ইসলাম, কেরুজ উচ্চবিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রমুখ।তার আগে কেরু শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ সংগঠন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমানের সংগঠন ও তৈয়ব আলীর সংগঠনের পক্ষে স্ব স্ব নেতাদের নেতৃত্বে শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে দর্শনার শহরে প্রশিক্ষণ করে। পরে দেশে স্বাধীনতা লাভের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এছাড়া দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়েছে।

কুড়ুলগাছী:

‘বিজয়ের লাল, ছুঁয়ে যাক সবুজে’ স্লোগানে কুড়ুলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে একই স্থান থেকে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুড়ুলগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবুল্লাহ বাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব শাহাবুবুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমানসহ ইউনিয়ন পরিষদের সদসবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কুড়ুলগাছি নুরুলহুদা হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শরিফুল ইসলাম।

জীবননগর:

জীবননগরে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রর্দশন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে। সকাল সাড়ে ৮টায় জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে শরীরচর্চা প্রর্দশন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান,  জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন, আবু সাঈদ মোহাম্মদ সাদ ও বাংলার সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

এছাড়া উপজেলার মাধবখালী সীমান্তে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। দুপুরে হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, বেলা তিনটায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার, তথ্য সেবা কর্মকর্তা সানজিদা আরেফিন ও উপজেলা সমবায় অফিসার নুর আলম। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন জীবননগর থানার এসআই সৈকত পাড়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল, জীবননগর ডিগ্রি কলেজের ক্যাডেট কমান্ডার পারভেজ মোশারেফের নেতৃত্বে বিএনসিসি দল, উপজেলা কোম্পানি কমান্ডার শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির একটি দল, লিডার আব্দুল মোহায়মিনের নেতৃত্বে জীবননগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল, জীবননগর ডিগ্রি কলেজের শামীমা নাসরিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রোভার স্কাউটস একটি দল, ইয়াছিনের নেতৃত্বে জীবননগর থানা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দল, খুশি নারার নেতৃত্বে জীবননগর থানা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দল, লিডার শাকিলের নেতৃত্বে গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দল, লিডার মানিকের নেতৃত্বে মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি টিম, লিডার রাব্বির নেতৃত্বে শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দল, জীবননগর আলিম মাদ্রাসার একটি টিম, আইমান আদিবের নেতৃত্বে জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি দল। এছাড়া জীবননগর থানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরতান তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন, নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আকলিম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের একটি দল অংশগ্রহণ করে।

আন্দুলবাড়ীয়া:

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁকা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাপুর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। গতকাল শনিবার পাঁকা ও শাহাপুর গ্রামের দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, দর্শনা নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্যসচিব গোলাম ফারুক আরিফ, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন, আন্দুলবাড়ীয়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মীর মকলেচুর রহমান টজো, সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম আশরাফুজ্জামান টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শেখ আতিয়ার রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক খান তারিক মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহাম্মেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, কোষাধ্যক্ষ মোল্লা ফখরুল হাসান টুটুল, দপ্তর সম্পাদক শেখ রেজা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ আরোজ আহাম্মেদ বিল্লাল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিরুল খান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা প্রমুখ।

উথলী:

উথলী ইউনিয়নের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা দোয়া করা হয়। উথলী ডিগ্রি কলেজে, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদ্রাসা, সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেনেরহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করে।

মুজিবনগর:

মুজিবনগর বর্ণিল আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় মুজিবনগর কমপ্লেক্স স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজগর আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুনসহ চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যগণ।পরে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা জানান মুজিবনগর থানা-পুলিশের পক্ষে ওসি উজ্জ্বল দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে রফিকুল ইসলাম তোতা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষে ডা. আসাদুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশ মেহেরপুর জোন, ফায়ার সার্ভিস মুজিবনগর, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষে উপজেলা আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতিন, উপজেলা যুবলীগের পক্ষে সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের পক্ষে সভাপতি মহাসিন আলী। পরে মুজিবনগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী:

গাংনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন উদ্যোগে নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গাংনী থানা পুলিশ, রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এবং সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পণে নেতৃত্ব প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে সকাল ৯ টায় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শণ অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। এছাড়া জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সালমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। আর সকাল সকাল ৭টায় স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পরে পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামসহ সরকারি দপ্তর, বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিকে, নীরবতা ভেঙে বিজয় দিবসে ব্যাপক শোডাউন করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। গতকাল শনিবার বিজয় দিবসের র‌্যালি উপলক্ষে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করেন। গ্রেপ্তার আতঙ্ক ও হয়রানির ভয় পরোয়া না করে মিছিলে শরিক হন দলের নেতা-কর্মীরা। সকালে বিজয় র‌্যালিকে ঘিরে দলীয় অফিসের সামনে জড়ো হন নেতা-কর্মীরা। এরপর বিজয় র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসের এই দিনে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।’ মজিদ আরও বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে ফুর্তি মারলেও শহিদ জিয়ার বজ্র ঘোষণা ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ কণ্ঠস্বর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এটাই ছিল স্বাধীনতা ঘোষণা তুর্য্যধ্বনী।’

র‌্যালিতে বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান আক্তার, অ্যাড আব্দুল আলীম, প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন, শাহীন খান, অ্যাড শামসুজ্জামান লাকি, অ্যাড জাকারিয়া মিলন, প্রভাষক এম আখতার মুকুল, মনিরুজ্জামান মিঠু, রোকজন মিয়া, জাহিদ জোয়ারদার, মিজানুর রহমান সুজন, বাকী বিল্লাহ, জুলফিক্কার আলী ও লোকমান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

স্বনির্ভর সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়

আপলোড টাইম : ১১:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

স্বনির্ভর সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। বিজয় দিবস একদিকে আনন্দের, গৌরবে উদ্দীপ্ত হওয়ার দিন, অপরদিকে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে এ বিজয় লাখো শহিদের প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া। গতকাল শনিবার মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকীতে সমগ্র জাতি বীর সন্তানদের স্মরণ করে, যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটেছিল এবং বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। বিজয়ের এই দিনে বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উৎখাত, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিসহ সব ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। এসময় শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা।

এদিকে, মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের ৫২ বছর পেরিয়ে ৫৩ বছরে পদার্পণে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

চুয়াডাঙ্গা:

জেলা আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর বিজয়ের আনন্দে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় উদ্যাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস-২০২৩। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল আটটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলার সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, ব্যাংক-বীমা অফিস, দোকান-পাটগুলো বর্ণিল আলো ঝলমলে সাজে সজ্জিত করা হয়। একই সঙ্গে সঠিক মাপ ও রংয়ের জাতীয় পতাকা এবং রঙিন পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয়। দুপুরে সদর হাসপাতাল, জেলা কারাগার, সরকারি শিশু পরিবার ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জেলার সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বেলা সাড়ে তিনটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের আনন্দমুখর আয়োজন সমাপ্ত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন আসাদুল হক বিশ্বাস।

প্রথম প্রহরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি শুরু হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জেয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বড়বাজার শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। জেলা পলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেনের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার নেত্বত্বে জেলা বিএনপি, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. সাইফুর রশিদের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সাহানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংক-পিএলসি পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সকাল সাতটায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সাড়ে সাতটায় শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান।

যুবলীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুদ্দোহা হাসু। মহিলা আওয়ামী লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার কাকলী ও মহিলা নেত্রী নাবিলা রুকসানা ছন্দা। শ্রমিক লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল। কৃষক লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. তহিদুর রহমান চন্দন। ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা মুন্না আজম। যুব মহিলা লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা গিণি ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশাদ উদ্দিন আহমেদ চন্দন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক যুবলীগ নেতা আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, আবু বকর সিদ্দিক আরিফ, রেজাউল করিম, আব্দুর রশিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, জেলা যুবলীগ নেতা বিপ্লব, শেখ সেলিম, পিণ্টু জোয়ার্দ্দার, টুটুল, সৌকত, খালিদ মন্ডল, আসাদ, বিপুল, বাচ্চু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, সোয়েব রিগান, মোমিন, ওয়ালিউর রকি, এমদাদুল হক আকাশ, রেজওয়ান, মিঠুন, রিপন, শিমুল, ইমরান, শান্ত, রাজা, রিওনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের পৃথক কর্মসূচি:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সদর উপজেলার আলুকদিয়ায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আলুকদিয়া ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে। আমাদের সবার উচিত দেশের ইতিহাস জানা। বর্তমান তরুণ ও নতুন প্রজন্মের অনেকেই আমাদের গৌরবময় সোনালি ইতিহাস ভালো করে জানে না। সবারই উচিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে ভালোবাসা, দেশের জন্য কাজ করা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ফসল এ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে অভিহিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হাজার বছরের সংগ্রামের পরিণতি। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাহিনী বাঙালি হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে থাকবে। তাদের আত্মত্যাগের ফসল নষ্ট হয়নি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব বীর শহিদের বীরত্বগাঁথা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার মিলন, হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব ট্রাক্টর, পৌর কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তারিক আজিজ নয়ন, আলুকদিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শাহিন বিশ্বাস, ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি রিজিক বিশ্বাস, শ্রমিক নেতা জুয়েল, আকরাম, আজিজুল হকসহ অনেকে। এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কর্মসূচি:

জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় র‌্যালি ও শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকী উদ্যাপন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কার্যালয় থেকে একটি বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। বিজয় র‌্যালি নিয়ে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বড় বাজার শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, জেলা আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাড. মানি খন্দকার, জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, সাংগাঠনিক সম্পাদক সুজন মালিক, জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী বেগম, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও পৌর কাউন্সিলর মহলদার ইমরান রিণ্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান ও পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাজেদুল আলম মেহেদী।

চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিকস সমিতির পুষ্পস্তবক অর্পণ

পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা পুরস্কার বিতরণ:

জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্মযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় সংগীতের তালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় শান্তির প্রতীক শ্বেত কপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তাঁরা। এরপর গার্ড অব অনারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে চৌকস প্রহরায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করান। প্যারেড কমান্ডার ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ ইনচার্জ (আরআই) আমিনুল ইসলাম। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা সবার উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ভাষণ দেন। ভাষণ শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক শরীরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন তাঁরা।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়েজ স্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ, হলদে পাখি, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন। কুচকাওয়াজ শেষে রকমারী সাঁজে নান্দনিক শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন অংশগ্রহণকারীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সদর উপজেলা প্রশাসন, সদর উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা প্রশাসেনের কর্তকর্তাবৃন্দ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সবার কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন সুবেদার মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) খোন্দকার সাইদুর রহমান (বীর প্রতীক), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক ও আবু হোসেন। এর আগে আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা পাঠ ও বাইবেল পাঠ করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরাফাত রহমান, শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সদর উপজেলা প্রশাসন, সদর উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ।

উন্নতমানের খাবার পরিবেশন:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার (এতিমখানা), জেলা কারাগার ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনা, কুরআন খতম দোয়া অনুষ্ঠান:

মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ‘বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা, কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার জেলা মডেল মসজিদস্থ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে উপ-পরিচালক একেএম শাহিন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ জান্নাত আলী, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মজিবর রহমান, ফিল্ড সুপারভাইজার জিয়াইর রহমান প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাস্টার ট্রেইনার আমির হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। তবে এ অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তাঁরই নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:

সন্ধ্যা ছয়টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

জাসদের কর্মসূচি:

বিজয় দিবসে বাংলাদেশ জাসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমের নেতৃত্বে শহিদ হাসান চত্বরের শহিদ বেদীতে সকাল আটটায় শ্রদ্ধাঞ্জ8লি অর্পণ করা হয়। বাংলাদেশ জাসদ দামুড়হুদা উপজেলা শাখার উদ্যোগে আহসান হাবিব বকুল ও আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে সকাল ১০টায়, বাংলাদেশ জাসদ দর্শনা পৌর শাখার উদ্যোগে নিয়াজ উদ্দিনের নেতৃতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। জীবননগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তারিকুর রহমানের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টায় মাধবখালী সীমান্তে সম্মুখ সমরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

সরোজগঞ্জ:

সরোজগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির শুরু করা হয়। পরে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিজয় র‌্যালি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে সরোজগঞ্জ উদীচি শিল্পগোষ্ঠী, সরোজগঞ্জ আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ও সংগঠনে উদ্যোগে বিজয় দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের শুভ সূচনা হয়। এরপর আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পণ এবং শহিদদের স্মরণে নির্মিত শহিদ মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, আলমডাঙ্গা থানা, পৌরসভা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল, ব্রাইট স্কুল, আল-ইকরা ক্যাডেট স্কুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আয়োজন করে।

শহিদ মাজারে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস। এরপর একে একে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) একরাম হুসাইন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংঘটন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস ও থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) একরাম হুসাইন। এরপরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২২ জন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় উপজেলা প্রশাসন। পরে দুপুরের খাবার ও কম্বল দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

এদিকে, সকাল আটটায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি আবু মুছা, সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসাইনসহ নেতৃবৃন্দের নের্তৃত্বে র‌্যালিসহ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও শহিদ মাজারে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। পরে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি আলমডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ করে।

অপর দিকে, যথাযথ মর্যাদা ও আনুষ্ঠানিকতায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনে আলমডাঙ্গায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। সাড়ে ৮টায় একটি বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহিদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এছাড়াও দিবসটি উদ্যাপনে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের নিকট আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান পিণ্টু, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর সাচ্চু ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার।

উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মধ্যে আবদার আলী, আমজাদ আলী, বোরহান উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের সালাম মেম্বার, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন ইসলাম কনক, পৌর যুবদলেল যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদ হাসান শুভ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান রাশেদ, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আতিক হাসনাত রিংকুসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় মহান বিজয় দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুরু হয়। পরে আট শহিদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিল্পব কুমার সাহাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এরপর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠনের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন আশরাফুল আলম, গীতা পাঠ করেন নারায়ণ চন্দ্র পাল ও বাইবেল পাঠ করেন রিভারেট ডমেনিক মন্ডল। পরে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উওলন করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা। এছাড়ও কবুতর অবমুক্ত, বেলুন উত্তোলন শেষে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। পরে পুরস্কার বিতরণকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মনা স্মারক প্রদানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।

দর্শনা:

‘বিজয়ের লাল ছুঁয়ে যাক সবুজে’ এ স্লোগানে দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিজয় দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে দর্শনা রেলবাজার বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতীয়, দলীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রুস্তম আলী। পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে উপস্থিত হন তাঁরা। দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, থিয়েটার গ্রুপ ও পেশাজীবী ২৮টি সংগঠন দর্শনা কেরু চিনিকলের ফুটবল মাঠে বিজয় দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করেন।

এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাড়ে ৮টায় দর্শনা কেরু চিনিকলের ফুটবল মাঠে নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে উপস্থিতি। সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা গহয়। এরপর উপস্থিত সকল সংগঠনের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। শপথ বাক্য পাঠ শেষে প্রত্যেক সংগঠন একসাথে র‌্যালি করে দর্শনা চটকাতলা কামকমিউনিটি সেন্টার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পর্যায়ক্রমে সংগঠনগুলা পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।অপর দিকে, দর্শনা কেরুজ চিনিকল কমান্ড পৃথকভাবে উদ্যাপন করেছে মহান বিজয় দিবস। সকালে কেরুজ ক্লাবমাঠে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন সংলগ্ন শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন কেরু অ্যান্ড কোম্পানির পক্ষে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, কেরুজ প্রশাসন বিভাগের এডিএম ইউসুফ আলী, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) গোলাম জাকারিয়া, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি মফিজুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সহসম্পাদক খবির উদ্দিন, পরিবহণ বিভাগের মেম্বার শরিফুল ইসলাম, কেরুজ উচ্চবিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রমুখ।তার আগে কেরু শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ সংগঠন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমানের সংগঠন ও তৈয়ব আলীর সংগঠনের পক্ষে স্ব স্ব নেতাদের নেতৃত্বে শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে দর্শনার শহরে প্রশিক্ষণ করে। পরে দেশে স্বাধীনতা লাভের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এছাড়া দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়েছে।

কুড়ুলগাছী:

‘বিজয়ের লাল, ছুঁয়ে যাক সবুজে’ স্লোগানে কুড়ুলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে একই স্থান থেকে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুড়ুলগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবুল্লাহ বাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব শাহাবুবুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমানসহ ইউনিয়ন পরিষদের সদসবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কুড়ুলগাছি নুরুলহুদা হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শরিফুল ইসলাম।

জীবননগর:

জীবননগরে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রর্দশন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে। সকাল সাড়ে ৮টায় জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে শরীরচর্চা প্রর্দশন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান,  জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন, আবু সাঈদ মোহাম্মদ সাদ ও বাংলার সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

এছাড়া উপজেলার মাধবখালী সীমান্তে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। দুপুরে হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, বেলা তিনটায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার, তথ্য সেবা কর্মকর্তা সানজিদা আরেফিন ও উপজেলা সমবায় অফিসার নুর আলম। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন জীবননগর থানার এসআই সৈকত পাড়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল, জীবননগর ডিগ্রি কলেজের ক্যাডেট কমান্ডার পারভেজ মোশারেফের নেতৃত্বে বিএনসিসি দল, উপজেলা কোম্পানি কমান্ডার শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির একটি দল, লিডার আব্দুল মোহায়মিনের নেতৃত্বে জীবননগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল, জীবননগর ডিগ্রি কলেজের শামীমা নাসরিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রোভার স্কাউটস একটি দল, ইয়াছিনের নেতৃত্বে জীবননগর থানা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দল, খুশি নারার নেতৃত্বে জীবননগর থানা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দল, লিডার শাকিলের নেতৃত্বে গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দল, লিডার মানিকের নেতৃত্বে মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি টিম, লিডার রাব্বির নেতৃত্বে শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি দল, জীবননগর আলিম মাদ্রাসার একটি টিম, আইমান আদিবের নেতৃত্বে জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি দল। এছাড়া জীবননগর থানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরতান তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন, নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আকলিম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের একটি দল অংশগ্রহণ করে।

আন্দুলবাড়ীয়া:

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁকা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাপুর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। গতকাল শনিবার পাঁকা ও শাহাপুর গ্রামের দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, দর্শনা নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্যসচিব গোলাম ফারুক আরিফ, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন, আন্দুলবাড়ীয়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মীর মকলেচুর রহমান টজো, সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম আশরাফুজ্জামান টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শেখ আতিয়ার রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক খান তারিক মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহাম্মেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, কোষাধ্যক্ষ মোল্লা ফখরুল হাসান টুটুল, দপ্তর সম্পাদক শেখ রেজা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ আরোজ আহাম্মেদ বিল্লাল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিরুল খান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা প্রমুখ।

উথলী:

উথলী ইউনিয়নের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা দোয়া করা হয়। উথলী ডিগ্রি কলেজে, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদ্রাসা, সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেনেরহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করে।

মুজিবনগর:

মুজিবনগর বর্ণিল আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় মুজিবনগর কমপ্লেক্স স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজগর আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুনসহ চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যগণ।পরে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা জানান মুজিবনগর থানা-পুলিশের পক্ষে ওসি উজ্জ্বল দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে রফিকুল ইসলাম তোতা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষে ডা. আসাদুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশ মেহেরপুর জোন, ফায়ার সার্ভিস মুজিবনগর, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষে উপজেলা আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতিন, উপজেলা যুবলীগের পক্ষে সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের পক্ষে সভাপতি মহাসিন আলী। পরে মুজিবনগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী:

গাংনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন উদ্যোগে নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গাংনী থানা পুলিশ, রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এবং সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পণে নেতৃত্ব প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে সকাল ৯ টায় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শণ অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। এছাড়া জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সালমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। আর সকাল সকাল ৭টায় স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পরে পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামসহ সরকারি দপ্তর, বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিকে, নীরবতা ভেঙে বিজয় দিবসে ব্যাপক শোডাউন করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। গতকাল শনিবার বিজয় দিবসের র‌্যালি উপলক্ষে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করেন। গ্রেপ্তার আতঙ্ক ও হয়রানির ভয় পরোয়া না করে মিছিলে শরিক হন দলের নেতা-কর্মীরা। সকালে বিজয় র‌্যালিকে ঘিরে দলীয় অফিসের সামনে জড়ো হন নেতা-কর্মীরা। এরপর বিজয় র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসের এই দিনে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।’ মজিদ আরও বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে ফুর্তি মারলেও শহিদ জিয়ার বজ্র ঘোষণা ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ কণ্ঠস্বর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এটাই ছিল স্বাধীনতা ঘোষণা তুর্য্যধ্বনী।’

র‌্যালিতে বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান আক্তার, অ্যাড আব্দুল আলীম, প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন, শাহীন খান, অ্যাড শামসুজ্জামান লাকি, অ্যাড জাকারিয়া মিলন, প্রভাষক এম আখতার মুকুল, মনিরুজ্জামান মিঠু, রোকজন মিয়া, জাহিদ জোয়ারদার, মিজানুর রহমান সুজন, বাকী বিল্লাহ, জুলফিক্কার আলী ও লোকমান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।