ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫২ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরে আবেগাপ্লুত স্মৃতিচারণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের বাসিন্দা। সেই ১৯৭১ সালে গ্রাম ছেড়ে চলে যান ভারতে। তখন তার বয়স ১৩ বছর। সেখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চাকরি করেছেন। অবসর গ্রহণ করে সপরিবারে ঘুরতে আসেন নিজ গ্রামে। গ্রাম ছাড়ার সময় সদা চঞ্চল কিশোর আজ বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়েছেন। কিন্তু ভোলেননি গ্রামের মানুষের কথা, যেখানে তার নাড়ি পোতা রয়েছে।

নিজ গ্রামে এসে খোঁজেন বাল্যকালের বন্ধু আলী হায়দার জোয়ার্দ্দার, আব্দুস সাত্তার, ডা. ফজলুর রহমান ও আব্দুল লতিফকে। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি পা রাখেন তাদের দেওয়া জমিতে প্রতিষ্ঠিত স্কুল বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলে পৌঁছালে জমিদাতা পরিবারের সদস্য রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম, তাঁর স্ত্রী বিশাখা রায়, ভাই উত্তম রায়, বোন আরতি রায়, সোমা দাস ও ম্যাজিস্ট্রেট নিখিলেশ্বর বসুর স্বজন মৃদুল জোয়ার্দ্দারকে স্বাগত জানান বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খসরুল আলম।

এসময় স্কুলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দলু, সহকারী প্রধান শিক্ষক আশাদুল কবীর, সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমসহ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলার সিনিয়র সাংবাদিক ও বংকিরা গ্রামের বাসিন্দা আসিফ কাজল। অনুষ্ঠানে স্কুল ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে স্কুলের জমিদাতা পরিবারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অন্যদিকে স্কুল প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে জড়িত বংকিরা গ্রামের সন্তান ও শিক্ষানুরাগী মরহুম অধ্যক্ষ আফসার উদ্দীনের সহধর্মিনী বেগম নাজমা আহম্মেদকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম। এসময় রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম তাঁর প্রিয় শিক্ষক আফসার উদ্দীনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে লেখা একটি পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

৫২ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরে আবেগাপ্লুত স্মৃতিচারণ

আপলোড টাইম : ১১:০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের বাসিন্দা। সেই ১৯৭১ সালে গ্রাম ছেড়ে চলে যান ভারতে। তখন তার বয়স ১৩ বছর। সেখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চাকরি করেছেন। অবসর গ্রহণ করে সপরিবারে ঘুরতে আসেন নিজ গ্রামে। গ্রাম ছাড়ার সময় সদা চঞ্চল কিশোর আজ বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়েছেন। কিন্তু ভোলেননি গ্রামের মানুষের কথা, যেখানে তার নাড়ি পোতা রয়েছে।

নিজ গ্রামে এসে খোঁজেন বাল্যকালের বন্ধু আলী হায়দার জোয়ার্দ্দার, আব্দুস সাত্তার, ডা. ফজলুর রহমান ও আব্দুল লতিফকে। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি পা রাখেন তাদের দেওয়া জমিতে প্রতিষ্ঠিত স্কুল বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলে পৌঁছালে জমিদাতা পরিবারের সদস্য রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম, তাঁর স্ত্রী বিশাখা রায়, ভাই উত্তম রায়, বোন আরতি রায়, সোমা দাস ও ম্যাজিস্ট্রেট নিখিলেশ্বর বসুর স্বজন মৃদুল জোয়ার্দ্দারকে স্বাগত জানান বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খসরুল আলম।

এসময় স্কুলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দলু, সহকারী প্রধান শিক্ষক আশাদুল কবীর, সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমসহ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলার সিনিয়র সাংবাদিক ও বংকিরা গ্রামের বাসিন্দা আসিফ কাজল। অনুষ্ঠানে স্কুল ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে স্কুলের জমিদাতা পরিবারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অন্যদিকে স্কুল প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে জড়িত বংকিরা গ্রামের সন্তান ও শিক্ষানুরাগী মরহুম অধ্যক্ষ আফসার উদ্দীনের সহধর্মিনী বেগম নাজমা আহম্মেদকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম। এসময় রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম তাঁর প্রিয় শিক্ষক আফসার উদ্দীনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে লেখা একটি পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করেন।