ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে ‘মিথ্যা মামলার’ প্রতিবাদে ভ্যানচালকের সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

গাংনী অফিস:
ঘটনা তদন্ত না করেই মামলা রেকর্ড করার অভিযোগে তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাংনীর ধর্মচাকী গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক রুবেল হোসেন। গতকাল শুক্রবার সকালে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদন দেওয়ায় ওসি মামলাটি রেকর্ড করেন। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুবেল জানান, গাংনীর চেংগাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে মাসুদুর রহমানের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। আদালতে একটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। বিবদমান জমিতে রয়েছে বাঁশ বাগান। মামলা চলমান থাকায় ওই জমিতে কেউ ভোগ দখল নিতে যান না। হঠাৎ মাসুদুর রহমান ১২ ডিসেম্বর গাংনী থানায় একটি মামলা করেন। যার তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই আতিকুর রহমানকে। তিনি কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদন দাখিল করলে ওসি সাহেব মামলাটি রেকর্ড করেন। যার নম্বর ১৫, তারিখ ১২-১২-২৩ ইং।
মামলায় একজনকে নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে ৬০টি বাঁশ কেটে নেওয়া ছাড়াও এক লাখ টাকা তছরুপের ঘটনা উল্লেখ করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন রুবেল হোসেন। এতে বাদী নিরাপত্তাহীনতা ছাড়াও গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলন ও সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মেলেনি। সেই সাথে গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে কেউ বাঁশ কাটার কথা জানেন না এবং বাঁশ কাটা ও তছরুপের আলামত পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিবাদী দোষী না হলে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে। তাছাড়া ওসি সাহেব মামলাটি রেকর্ড করেছেন। এখানে তার কোনো হাত নেই।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন সাপেক্ষে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এখন কিছুই করার নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে ‘মিথ্যা মামলার’ প্রতিবাদে ভ্যানচালকের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০১:৪০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

গাংনী অফিস:
ঘটনা তদন্ত না করেই মামলা রেকর্ড করার অভিযোগে তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাংনীর ধর্মচাকী গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক রুবেল হোসেন। গতকাল শুক্রবার সকালে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদন দেওয়ায় ওসি মামলাটি রেকর্ড করেন। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুবেল জানান, গাংনীর চেংগাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে মাসুদুর রহমানের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। আদালতে একটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। বিবদমান জমিতে রয়েছে বাঁশ বাগান। মামলা চলমান থাকায় ওই জমিতে কেউ ভোগ দখল নিতে যান না। হঠাৎ মাসুদুর রহমান ১২ ডিসেম্বর গাংনী থানায় একটি মামলা করেন। যার তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই আতিকুর রহমানকে। তিনি কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদন দাখিল করলে ওসি সাহেব মামলাটি রেকর্ড করেন। যার নম্বর ১৫, তারিখ ১২-১২-২৩ ইং।
মামলায় একজনকে নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে ৬০টি বাঁশ কেটে নেওয়া ছাড়াও এক লাখ টাকা তছরুপের ঘটনা উল্লেখ করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন রুবেল হোসেন। এতে বাদী নিরাপত্তাহীনতা ছাড়াও গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলন ও সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মেলেনি। সেই সাথে গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে কেউ বাঁশ কাটার কথা জানেন না এবং বাঁশ কাটা ও তছরুপের আলামত পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিবাদী দোষী না হলে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে। তাছাড়া ওসি সাহেব মামলাটি রেকর্ড করেছেন। এখানে তার কোনো হাত নেই।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন সাপেক্ষে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এখন কিছুই করার নেই।