ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরের দরবেশপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, বারাদী:
মেহেরপুর সদর উপজেলার পুরাতন দরবেশপুর গ্রামের প্রীতিলতা (২১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রীতিলতা পুরাতন দরবেশপুর গ্রামের আকরামুল হকের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রীতিলতা মেহেরপুরের তাহের ক্লিনিকে সেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন সময়ে মেহেরপুর সদরের গোভীপুর গ্রামের হাফিজুলের ছেলে ওসমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওসমান পেশায় একজন পানির লাইনের মিস্ত্রি। উভয় পরিবারের অমতে বছরখানেক আগে তাদের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রীতিলতাকে মেনে নিতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে তার ওপর মানসিক নির্যাতন করতো। বিয়ের পর থেকে প্রীতিলতা ৪-৫ বার শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে। বেশিরভাগ সময়ে তিনি বাবার বাড়ি থাকতেন। সর্বশেষ আড়াই মাস আগে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন। ঘটনার দিন সকালে স্বামীর সাথে কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন পরিবারের লোকজন।

এদিকে খবর পেয়ে এএসপি (সার্কেল) ও বারাদী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতের দাদা বলেন, সকালে প্রীতিলতা সবার অজান্তে ঘরে ঢুকে সিটকানি দেয়। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজার সিটকানি ভেঙে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে তাকে নামিয়ে ২৫০ শয্যা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় রাতে গ্রাম্য কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরের দরবেশপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০১:৪৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রতিবেদক, বারাদী:
মেহেরপুর সদর উপজেলার পুরাতন দরবেশপুর গ্রামের প্রীতিলতা (২১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রীতিলতা পুরাতন দরবেশপুর গ্রামের আকরামুল হকের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রীতিলতা মেহেরপুরের তাহের ক্লিনিকে সেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন সময়ে মেহেরপুর সদরের গোভীপুর গ্রামের হাফিজুলের ছেলে ওসমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওসমান পেশায় একজন পানির লাইনের মিস্ত্রি। উভয় পরিবারের অমতে বছরখানেক আগে তাদের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রীতিলতাকে মেনে নিতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে তার ওপর মানসিক নির্যাতন করতো। বিয়ের পর থেকে প্রীতিলতা ৪-৫ বার শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে। বেশিরভাগ সময়ে তিনি বাবার বাড়ি থাকতেন। সর্বশেষ আড়াই মাস আগে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন। ঘটনার দিন সকালে স্বামীর সাথে কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন পরিবারের লোকজন।

এদিকে খবর পেয়ে এএসপি (সার্কেল) ও বারাদী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতের দাদা বলেন, সকালে প্রীতিলতা সবার অজান্তে ঘরে ঢুকে সিটকানি দেয়। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজার সিটকানি ভেঙে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে তাকে নামিয়ে ২৫০ শয্যা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় রাতে গ্রাম্য কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।