ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলার সেরা ভ্যাটদাতা হলো স্বনামধন্য তিন তারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলার সেরা ভ্যাটদাতা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার শহরের স্বনামধন্য তিন তারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেস। গতকাল রোববার সকালে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয় চত্বরে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে সেমিনার শেষে হোটেল সাহিদ প্যালেসকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সেবা খাতে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধকারী হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে এই সম্মাননা দেয় সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও দেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় প্রতি অর্থবছরে তিন ক্যাটাগরিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে মূসক (ভ্যাট) অনুবিভাগ সেরা ভ্যাটদাতা নির্বাচিত করে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তিনটি ক্যাটাগরির অন্যতম ‘সেবা’ ক্যাটাগরিতে চুয়াডাঙ্গার শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়কে অবস্থিত স্বনামধন্য তিন তারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেস সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। হোটেল সাহিদ প্যালেসের পক্ষে সম্মননা স্মারক ও সনদপত্র গ্রহণ করেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান শামিম।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আবদুল হাকিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রিয়াব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সেলিম শেখ। স্বাগত বক্তব্য দেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের উপ-কমিশনার মেহেবুব হক।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হোটেল সাহিদ প্যালেস সেরা করদাতা নির্বাচিত হওয়ায় হোটেলটির মুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠান তথা ‘পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’ উল্লেখ্য, একটি সুন্দর দ্বীনি-শিক্ষার ভাবনা নিয়ে মৃত হাজি শামসুজ্জোহা বিশ্বাস ২০০১ সালে মাত্র ১৩ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক নিয়ে একটি চালা ঘরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামে ‘পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ নামে দ্বীনি-শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে হাজি শামসুজ্জোহা বিশ্বাসের মৃত্যুর পর এই মাদ্রাসাটির পরিচালনার দায়িত্ব নেন তাঁরই পুত্র চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান সাহিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান, এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক। একজন সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে পিতার স্বপ্নকে আন্তরিকতা, ভালোবাসা, মেধা ও শ্রম দিয়ে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মাদ্রাসাটিতে ছাত্রদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে তিন বেলা মাদ্রাসার প্রায় ৫শ ওপরে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। বহুল ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিননন্দন পাঁচতলা একাডেমিক ভবন। এই ভবনে একসঙ্গে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান ও আবাসনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। খোলামেলা ও মনোরম পরিবেশে দৃশ্যমান এ মাদ্রাসাটির সুবিশাল খেলার মাঠসহ লাল সিরামিক ইট ও নান্দনিক ব্লকের গাঁথুনী নজর কাড়বে সবার। পাঠদান, থাকা ও খাওয়ার সুযোগ সুবিধাসহ আধুনিক এই মাদ্রাসাটি ইতিমধ্যেই সমাদৃত হচ্ছে সারা দেশব্যাপী। এই মাদ্রাসাটির পরিচালনার জন্য চুয়াডাঙ্গার শহরের সুনামধন্য তিন তারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেসের নির্মাণ করেন চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান সাহিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান, এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক। বর্তমানে এই হোটেলটির যাবতীয় আয় মাদ্রাসাটির সেবা খাতে ব্যয় করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলার সেরা ভ্যাটদাতা হলো স্বনামধন্য তিন তারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেস

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলার সেরা ভ্যাটদাতা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার শহরের স্বনামধন্য তিন তারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেস। গতকাল রোববার সকালে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয় চত্বরে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে সেমিনার শেষে হোটেল সাহিদ প্যালেসকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সেবা খাতে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধকারী হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে এই সম্মাননা দেয় সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও দেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় প্রতি অর্থবছরে তিন ক্যাটাগরিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে মূসক (ভ্যাট) অনুবিভাগ সেরা ভ্যাটদাতা নির্বাচিত করে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তিনটি ক্যাটাগরির অন্যতম ‘সেবা’ ক্যাটাগরিতে চুয়াডাঙ্গার শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়কে অবস্থিত স্বনামধন্য তিন তারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেস সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। হোটেল সাহিদ প্যালেসের পক্ষে সম্মননা স্মারক ও সনদপত্র গ্রহণ করেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান শামিম।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আবদুল হাকিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রিয়াব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সেলিম শেখ। স্বাগত বক্তব্য দেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের উপ-কমিশনার মেহেবুব হক।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হোটেল সাহিদ প্যালেস সেরা করদাতা নির্বাচিত হওয়ায় হোটেলটির মুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠান তথা ‘পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’ উল্লেখ্য, একটি সুন্দর দ্বীনি-শিক্ষার ভাবনা নিয়ে মৃত হাজি শামসুজ্জোহা বিশ্বাস ২০০১ সালে মাত্র ১৩ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক নিয়ে একটি চালা ঘরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামে ‘পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ নামে দ্বীনি-শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে হাজি শামসুজ্জোহা বিশ্বাসের মৃত্যুর পর এই মাদ্রাসাটির পরিচালনার দায়িত্ব নেন তাঁরই পুত্র চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান সাহিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান, এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক। একজন সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে পিতার স্বপ্নকে আন্তরিকতা, ভালোবাসা, মেধা ও শ্রম দিয়ে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মাদ্রাসাটিতে ছাত্রদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে তিন বেলা মাদ্রাসার প্রায় ৫শ ওপরে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। বহুল ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিননন্দন পাঁচতলা একাডেমিক ভবন। এই ভবনে একসঙ্গে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান ও আবাসনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। খোলামেলা ও মনোরম পরিবেশে দৃশ্যমান এ মাদ্রাসাটির সুবিশাল খেলার মাঠসহ লাল সিরামিক ইট ও নান্দনিক ব্লকের গাঁথুনী নজর কাড়বে সবার। পাঠদান, থাকা ও খাওয়ার সুযোগ সুবিধাসহ আধুনিক এই মাদ্রাসাটি ইতিমধ্যেই সমাদৃত হচ্ছে সারা দেশব্যাপী। এই মাদ্রাসাটির পরিচালনার জন্য চুয়াডাঙ্গার শহরের সুনামধন্য তিন তারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেসের নির্মাণ করেন চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান সাহিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান, এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক। বর্তমানে এই হোটেলটির যাবতীয় আয় মাদ্রাসাটির সেবা খাতে ব্যয় করা হয়।