ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি হওয়া এক নারীর গল্প

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
তালাকপ্রাপ্তা হলে সংসার চালানোর তাগিদে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে এক নারী। পরিচয় হয় দীপা নামের আরেক নারীর সঙ্গে। দিপার খপ্পরে পড়ে ভারতের বোম্বে শহরের পতিতালয়ে সন্তানসহ বিক্রি করে দেন যশোর জেলার চৌগাছা থানার গুলবাগপুর গ্রামের আঞ্জুয়ারা বেগমকে। দীর্ঘদিন পাশবিক নির্যাতন সহ্য করে কৌশলে পালিয়ে চলে আসেন ভারতের শিয়ালদহে। সেখানে এক বাংলাদেশির সহায়তায় উড়িশ্যার একটি গ্রামে আশ্রয় নেন তিনি। সন্তান ফেরৎ চেয়ে ও বাড়ি ফেরার আকুতি জানিয়ে এক ভিডিও বার্তা পাঠান ঝিনাইদহের গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে।

রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তায় আঞ্জুয়ারা জানান, যশোর জেলার শার্শা থানার অন্তর্গত ছোট আন্দুলিয়া গ্রামের দালাল ভদু, মিন্টু, খলিল ও তার স্ত্রী দিপার চক্রান্তে পড়ে ভারতের বোম্বে শহরের একটি নিষিদ্ধ পল্লীতে তার ঠাঁই হয়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সন্তানসহ আঞ্জুয়াকে বিক্রি করে দেন মিন্টু দালাল। এদিকে তিনি পালিয়ে রক্ষা পেলেও তার সন্তান নিষিদ্ধ পল্লীর মাসির কাছে আটকা পড়ে রয়েছে। ছেলেকে ফেরাতে তিনি ভিডিও বার্তায় আকুতি জানান।

বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। যশোরের চৌগাছা উপজেলার গংগানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ও গুলবাগপুর গ্রামের ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলামের সাঙ্গে ঝিনাইদহের সাংবাদিকেরা যোগাযোগ করেন। তাদের সহায়তায় দালাল মিন্টু, ভাদু, খলিল ও তার স্ত্রী সন্ধান পায় পুলিশ। পরে চৌগাছা পুলিশের জালে ধরা পড়ে পুরো এই দালাল চক্রটি। তাদের নিয়ে অভিযানে শুরু হলে পাচারকারি চক্রটি আঞ্জুয়ারা বেগমের সন্তান ফেরত দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি হওয়া এক নারীর গল্প

আপলোড টাইম : ০১:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
তালাকপ্রাপ্তা হলে সংসার চালানোর তাগিদে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে এক নারী। পরিচয় হয় দীপা নামের আরেক নারীর সঙ্গে। দিপার খপ্পরে পড়ে ভারতের বোম্বে শহরের পতিতালয়ে সন্তানসহ বিক্রি করে দেন যশোর জেলার চৌগাছা থানার গুলবাগপুর গ্রামের আঞ্জুয়ারা বেগমকে। দীর্ঘদিন পাশবিক নির্যাতন সহ্য করে কৌশলে পালিয়ে চলে আসেন ভারতের শিয়ালদহে। সেখানে এক বাংলাদেশির সহায়তায় উড়িশ্যার একটি গ্রামে আশ্রয় নেন তিনি। সন্তান ফেরৎ চেয়ে ও বাড়ি ফেরার আকুতি জানিয়ে এক ভিডিও বার্তা পাঠান ঝিনাইদহের গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে।

রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তায় আঞ্জুয়ারা জানান, যশোর জেলার শার্শা থানার অন্তর্গত ছোট আন্দুলিয়া গ্রামের দালাল ভদু, মিন্টু, খলিল ও তার স্ত্রী দিপার চক্রান্তে পড়ে ভারতের বোম্বে শহরের একটি নিষিদ্ধ পল্লীতে তার ঠাঁই হয়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সন্তানসহ আঞ্জুয়াকে বিক্রি করে দেন মিন্টু দালাল। এদিকে তিনি পালিয়ে রক্ষা পেলেও তার সন্তান নিষিদ্ধ পল্লীর মাসির কাছে আটকা পড়ে রয়েছে। ছেলেকে ফেরাতে তিনি ভিডিও বার্তায় আকুতি জানান।

বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। যশোরের চৌগাছা উপজেলার গংগানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ও গুলবাগপুর গ্রামের ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলামের সাঙ্গে ঝিনাইদহের সাংবাদিকেরা যোগাযোগ করেন। তাদের সহায়তায় দালাল মিন্টু, ভাদু, খলিল ও তার স্ত্রী সন্ধান পায় পুলিশ। পরে চৌগাছা পুলিশের জালে ধরা পড়ে পুরো এই দালাল চক্রটি। তাদের নিয়ে অভিযানে শুরু হলে পাচারকারি চক্রটি আঞ্জুয়ারা বেগমের সন্তান ফেরত দেন।