ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতের শাস্তি এড়াতে ধর্ষিতাকে বিয়ে করল যুবক!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৩০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে পাশবিক নির্যাতনের শিকার এক কিশোরীকে আদালতের মধ্যস্থতায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টনের চেম্বারে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল ইসলামসহ উভয় পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বিয়ের সময় তিন মাস বয়সী শিশুসন্তান নিয়ে হাজির হন পাশবিক নির্যাতনের শিকার তানিয়া আক্তার রিয়া (১৫)। এই বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের বাহাদুর রহমানের মেয়ে তানিয়া আক্তার রিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে মিকাইল হোসেনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। রিয়া গর্ভবতী হয়ে পড়লে মিকাইলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ২০২৩ সালের ১৫ জুন আদালতে রিয়ার মা তাসলিমা খাতুন মামলা করেন। এরমধ্যে রিয়া একটি কন্যাসন্তানের মা হয়।

গতকাল সোমবার ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। বিচারক মো. নাজিমুদৌলা শুনানি শেষে ওই কিশোরীকে হয় বিয়ে, না হয় কঠোর শাস্তি ভোগের শর্ত জুড়ে দেন। আদালতের এই কঠোর অবস্থানের কারণে আসামি পক্ষের আইনজীবী বাদী পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং উভয় পক্ষের পরিবার আদালতের বিয়ের শর্ত মেনে নেন।

এদিকে আদালতের নির্দেশ পেয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টনের চেম্বারে কাজী ডেকে ৫ লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ে পড়ান কাজী আরিফ বিল্লাহ। বাদী তাসলিমা খাতুন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আদালতের শাস্তি এড়াতে ধর্ষিতাকে বিয়ে করল যুবক!

আপলোড টাইম : ০১:৩০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে পাশবিক নির্যাতনের শিকার এক কিশোরীকে আদালতের মধ্যস্থতায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টনের চেম্বারে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল ইসলামসহ উভয় পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বিয়ের সময় তিন মাস বয়সী শিশুসন্তান নিয়ে হাজির হন পাশবিক নির্যাতনের শিকার তানিয়া আক্তার রিয়া (১৫)। এই বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের বাহাদুর রহমানের মেয়ে তানিয়া আক্তার রিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে মিকাইল হোসেনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। রিয়া গর্ভবতী হয়ে পড়লে মিকাইলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ২০২৩ সালের ১৫ জুন আদালতে রিয়ার মা তাসলিমা খাতুন মামলা করেন। এরমধ্যে রিয়া একটি কন্যাসন্তানের মা হয়।

গতকাল সোমবার ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। বিচারক মো. নাজিমুদৌলা শুনানি শেষে ওই কিশোরীকে হয় বিয়ে, না হয় কঠোর শাস্তি ভোগের শর্ত জুড়ে দেন। আদালতের এই কঠোর অবস্থানের কারণে আসামি পক্ষের আইনজীবী বাদী পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং উভয় পক্ষের পরিবার আদালতের বিয়ের শর্ত মেনে নেন।

এদিকে আদালতের নির্দেশ পেয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টনের চেম্বারে কাজী ডেকে ৫ লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ে পড়ান কাজী আরিফ বিল্লাহ। বাদী তাসলিমা খাতুন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।