ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাসার প্রয়াত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ১২ শিক্ষক নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্য

ঝিনাইদহ আদালতে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে প্রয়াত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে একটি মাদ্রাসায় ১২ জন শিক্ষক নিয়োগ ও কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার মো. ইয়ারুল হকের বিরুদ্ধে আমলি আদালতে একাধিক মামলাও হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা করেছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও জমিদাতা মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে কনক মন্ডল। গত ২৩ নভেম্বর তিনি হরিণাকুণ্ডু আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেসমিন নাহার মামলাটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, মাদ্রাসার প্রয়াত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ জালিয়াতি নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পারফলসি গ্রামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) না হওয়ায় মাদ্রাসাটি কোনো রকম খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিল। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল না। স্টাফ প্যাটার্ন অনুযায়ী মাদ্রাসাটিতে ছিল না কোনো পূর্ণাঙ্গ শিক্ষক নিয়োগ। প্রয়াত সভাপতি খলিলুর রহমান মাত্র ৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে যান। তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১১ সালে মারা যান। এমপিও না হওয়ার কারণে মাদ্রাসার সুপারসহ অন্যান্য শিক্ষক মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যান।

পরবর্তীতে ২০১২ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান টুটুলকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে নিয়োগ দিলে তিনিও কয়েক মাস দায়িত্ব পালন করে অন্যত্র চলে যান। পারফলসি দাখিল মাদ্রাসাটিতে বৈধ কোনো সুপার ছিল না। ২০২২ সালের ৬ জুলাই মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হলে বর্তমান মাদ্রাসা সুপার ইয়ারুল হক হরিণাকুণ্ডু সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব ছেড়ে হঠাৎ আবির্ভূত হন সুপার হিসেবে। তিনিসহ ১২ জন শিক্ষক দাবি করে বসেন প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খলিলুর রহমান তাঁদের নিয়োগ দিয়ে গেছেন। এ নিয়ে এলাকায় শোরগোল শুরু হয়। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে রাতারাতি মৃতপ্রায় মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সরেজমিনে মাদ্রাসায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া জুনিয়র মৌলভী শিক্ষক রাফেজা খাতুন, সহকারী মৌলভী শিক্ষক বাবলুর রশিদ ও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তারা নিজেদের নিয়োগ নিয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কোনো পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে কি না, প্রশ্ন করা হলে তারা আধুনালুপ্ত ‘দৈনিক আজকের কাগজ’ পত্রিকার কথা বলেন। বন্ধ পত্রিকায় কীভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো, জিজ্ঞাসা করা হলে বিষয়টি মাদ্রাসা সুপার ইয়ারুল হক জানেন বলে তারা জানান। এছাড়াও নিয়োগ বোর্ড কোথায় হয়েছিল বা নিয়োগ বোর্ডে সরকারি কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন কি না, তাও তারা বলতে পারেননি।

মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দপ্তরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মনজের আলী। তিনি জানান, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল এই ১০ বছর পর্যন্ত বর্তমান সুপার ইয়ারুল হক ছিলেন না। এমপিওভুক্ত হওয়ার পর তিনি রাতারাতি উড়ে এসে জুড়ে বসেন এবং প্রায় ৮০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেন। ১৬ বছর ধরে মাদ্রাসাটিতে চাকরি করছেন বিপ্লব হোসাইন নামে এক শিক্ষক। এমপিওভুক্তির পর তিনি নিয়োগ পেতে চারজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মাদ্রাসা সুপার ইয়ারুল হকের কাছে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু তাকে চাকরি প্রদান করা হয়নি। টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার কারণে তিনি ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলার আরজিতে সুপার ইয়ারুল হককে একজন মিথ্যাবাদী, ঠকবাজ, বিশ^াস ভঙ্গকারী ও প্রতারক হিসেবে দাবি করা হয়।

মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতির ছেলে ও আরেক মামলার বাদী কনক মন্ডল জানান, সুপার ইয়ারুল হক দাবি করছেন তিনি ২০০৪ সালে যোগদান করেছেন। তিনি যে কত বড় প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের হোতা, তা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের স্বাক্ষর যাচাই করলে বোঝা যাবে। ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে পারফলসি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন আকরাম হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী। তার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে মাদ্রাসার প্রধান হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে তৎকালীন সুপার মোস্তাফিজুর রহমান টুটুলের।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার সুপার ইয়ারুল হক জানান, তাদের নিয়োগ দিয়ে গেছেন সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান। কোথায় কবে নিয়োগ বোর্ড বসেছিল, তা তার মনে নেই বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান, নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছে। বিষয়টি সিআইডি তদন্ত করে যে রিপোর্ট প্রদান করবে, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা জানান, নিয়োগের বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে আমাকে লিখিতভাবে জানালে আমি মাদ্রাসা বোর্ডকে অবহিত করতে পারতাম। তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, সেহেতু এখন সেখানেই ফয়সালা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মাদ্রাসার প্রয়াত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ১২ শিক্ষক নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্য

ঝিনাইদহ আদালতে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

আপলোড টাইম : ১২:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে প্রয়াত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে একটি মাদ্রাসায় ১২ জন শিক্ষক নিয়োগ ও কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার মো. ইয়ারুল হকের বিরুদ্ধে আমলি আদালতে একাধিক মামলাও হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা করেছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও জমিদাতা মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে কনক মন্ডল। গত ২৩ নভেম্বর তিনি হরিণাকুণ্ডু আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেসমিন নাহার মামলাটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, মাদ্রাসার প্রয়াত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ জালিয়াতি নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পারফলসি গ্রামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) না হওয়ায় মাদ্রাসাটি কোনো রকম খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিল। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল না। স্টাফ প্যাটার্ন অনুযায়ী মাদ্রাসাটিতে ছিল না কোনো পূর্ণাঙ্গ শিক্ষক নিয়োগ। প্রয়াত সভাপতি খলিলুর রহমান মাত্র ৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে যান। তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১১ সালে মারা যান। এমপিও না হওয়ার কারণে মাদ্রাসার সুপারসহ অন্যান্য শিক্ষক মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যান।

পরবর্তীতে ২০১২ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান টুটুলকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে নিয়োগ দিলে তিনিও কয়েক মাস দায়িত্ব পালন করে অন্যত্র চলে যান। পারফলসি দাখিল মাদ্রাসাটিতে বৈধ কোনো সুপার ছিল না। ২০২২ সালের ৬ জুলাই মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হলে বর্তমান মাদ্রাসা সুপার ইয়ারুল হক হরিণাকুণ্ডু সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব ছেড়ে হঠাৎ আবির্ভূত হন সুপার হিসেবে। তিনিসহ ১২ জন শিক্ষক দাবি করে বসেন প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খলিলুর রহমান তাঁদের নিয়োগ দিয়ে গেছেন। এ নিয়ে এলাকায় শোরগোল শুরু হয়। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে রাতারাতি মৃতপ্রায় মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সরেজমিনে মাদ্রাসায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া জুনিয়র মৌলভী শিক্ষক রাফেজা খাতুন, সহকারী মৌলভী শিক্ষক বাবলুর রশিদ ও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তারা নিজেদের নিয়োগ নিয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কোনো পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে কি না, প্রশ্ন করা হলে তারা আধুনালুপ্ত ‘দৈনিক আজকের কাগজ’ পত্রিকার কথা বলেন। বন্ধ পত্রিকায় কীভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো, জিজ্ঞাসা করা হলে বিষয়টি মাদ্রাসা সুপার ইয়ারুল হক জানেন বলে তারা জানান। এছাড়াও নিয়োগ বোর্ড কোথায় হয়েছিল বা নিয়োগ বোর্ডে সরকারি কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন কি না, তাও তারা বলতে পারেননি।

মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দপ্তরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মনজের আলী। তিনি জানান, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল এই ১০ বছর পর্যন্ত বর্তমান সুপার ইয়ারুল হক ছিলেন না। এমপিওভুক্ত হওয়ার পর তিনি রাতারাতি উড়ে এসে জুড়ে বসেন এবং প্রায় ৮০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেন। ১৬ বছর ধরে মাদ্রাসাটিতে চাকরি করছেন বিপ্লব হোসাইন নামে এক শিক্ষক। এমপিওভুক্তির পর তিনি নিয়োগ পেতে চারজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মাদ্রাসা সুপার ইয়ারুল হকের কাছে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু তাকে চাকরি প্রদান করা হয়নি। টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার কারণে তিনি ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলার আরজিতে সুপার ইয়ারুল হককে একজন মিথ্যাবাদী, ঠকবাজ, বিশ^াস ভঙ্গকারী ও প্রতারক হিসেবে দাবি করা হয়।

মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতির ছেলে ও আরেক মামলার বাদী কনক মন্ডল জানান, সুপার ইয়ারুল হক দাবি করছেন তিনি ২০০৪ সালে যোগদান করেছেন। তিনি যে কত বড় প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের হোতা, তা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের স্বাক্ষর যাচাই করলে বোঝা যাবে। ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে পারফলসি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন আকরাম হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী। তার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে মাদ্রাসার প্রধান হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে তৎকালীন সুপার মোস্তাফিজুর রহমান টুটুলের।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার সুপার ইয়ারুল হক জানান, তাদের নিয়োগ দিয়ে গেছেন সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান। কোথায় কবে নিয়োগ বোর্ড বসেছিল, তা তার মনে নেই বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান, নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছে। বিষয়টি সিআইডি তদন্ত করে যে রিপোর্ট প্রদান করবে, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা জানান, নিয়োগের বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে আমাকে লিখিতভাবে জানালে আমি মাদ্রাসা বোর্ডকে অবহিত করতে পারতাম। তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, সেহেতু এখন সেখানেই ফয়সালা হবে।