ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা

খুলছে জট, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকার শুড়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুজ্জামান শামিম হত্যার জট খুলতে শুরু করেছে। একটি মোবাইল কলের সূত্র ধরে পুলিশ বিপ্লব হোসেন নামের এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। বিপ্লব হোসেন হরিণাকুণ্ডুর চটকাবাড়িয়া গ্রামের ঝণ্টু আলীর ছেলে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মসজিদে এশার নামাজ পড়ে শুড়া গ্রামের জেলা পরিষদের একটি খালের পাড় ধরে বাড়ি ফিরছিলেন কামরুজ্জামান শামিম। এসময় তার মুঠোফোন একটি কল আসে। কল পেয়ে তিনি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে খালের অপরপ্রান্তে নিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত কামরুজ্জামান শামিমের মোবাইলের সর্বশেষ কলটি ছিল বিপ্লব নামের এক যুবকের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শামিম হত্যা নিয়ে পুলিশ অনেক দূর এগিয়েছে। খুব দ্রুত হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার হবে। তিনি বলেন, বিপ্লবকে মোবাইল কলের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। আশা করা যায় হত্যার মোটিভ উদ্ধারে তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুনিদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, নিহতের স্বজনরা লাশ দাফনে ব্যস্ত থাকায় বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এশার নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শহরের উদ্দেশ্যে বের হন শামীম। এরপর রাতে বাড়ির পাশের খালের ধারে শামীমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখেতে পায় স্বজনরা। তাকে উদ্ধার করে হরিণাকণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শামীমের বুকের বাম পাশে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডুতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা

খুলছে জট, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন আটক

আপলোড টাইম : ০৪:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকার শুড়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুজ্জামান শামিম হত্যার জট খুলতে শুরু করেছে। একটি মোবাইল কলের সূত্র ধরে পুলিশ বিপ্লব হোসেন নামের এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। বিপ্লব হোসেন হরিণাকুণ্ডুর চটকাবাড়িয়া গ্রামের ঝণ্টু আলীর ছেলে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মসজিদে এশার নামাজ পড়ে শুড়া গ্রামের জেলা পরিষদের একটি খালের পাড় ধরে বাড়ি ফিরছিলেন কামরুজ্জামান শামিম। এসময় তার মুঠোফোন একটি কল আসে। কল পেয়ে তিনি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে খালের অপরপ্রান্তে নিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত কামরুজ্জামান শামিমের মোবাইলের সর্বশেষ কলটি ছিল বিপ্লব নামের এক যুবকের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শামিম হত্যা নিয়ে পুলিশ অনেক দূর এগিয়েছে। খুব দ্রুত হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার হবে। তিনি বলেন, বিপ্লবকে মোবাইল কলের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। আশা করা যায় হত্যার মোটিভ উদ্ধারে তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুনিদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, নিহতের স্বজনরা লাশ দাফনে ব্যস্ত থাকায় বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এশার নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শহরের উদ্দেশ্যে বের হন শামীম। এরপর রাতে বাড়ির পাশের খালের ধারে শামীমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখেতে পায় স্বজনরা। তাকে উদ্ধার করে হরিণাকণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শামীমের বুকের বাম পাশে গুলির চিহ্ন রয়েছে।