ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডু শিক্ষা অফিসের সহকারীর বিরুদ্ধে জাল সনদ সরবরাহের অভিযোগ

চাকরির ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন অনেক শিক্ষক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাল সনদ সরবরাহকারী চক্রের সন্ধান মিলেছে। এই চক্রের প্রধান হচ্ছেন হরিণাকুণ্ডু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মুকুল মিয়া। মুকুল মিয়ার সরবরাহকৃত জাল সনদে হরিণাকুণ্ডু ও ঝিনাইদহ এলাকার বহু শিক্ষক-কর্মচারী অবৈধভাবে চাকরি করে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ধরা পড়ে চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এমন একজন শিক্ষক আরজান আলী। তিনি জোড়াদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি তাঁর জাল বিএড সনদ ধরা পড়ার অফিস সহকারী মুকুল মিয়ার নাম ফাঁস হয়ে পড়েছে।

জোড়াদহ স্কুলের প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দীন জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক আরজান আলীর বিএড জাল সনদ ধরা পড়ার পর ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তদন্তের উদ্যোগ নেন। তদন্তের অংশ হিসেবে আরজান আলীর রয়েল ইউনিভার্সিটির বিএড সনদ যাচাই-বাছাই করার জন্য মাউশিতে চিঠি পাঠানো হলে গত অক্টোবর মাসে আরজান আলীর রয়েল ইউনিভার্সিটির বিএড সনদ জাল বলে জানানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় শিক্ষক আরজান আলীকে শোকজ করা হলে তিনি স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য দেন। আর সেখানেই জাল সনদ সরবরাহকারী হিসেবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মুকুল মিয়ার নাম উঠে আসে। মুকুল মিয়া দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে আরজান আলীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাল বিএড সনদ সরবরাহ করেন।
অন্যদিকে, হরিনাকুন্ডু উপজেলার পার ফলসী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষকের জাল সার্টিফিকেট সরবরাহকারী হিসেবেও মুকুলের নাম আলোচিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে মুকুল মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাগাটা উপজেলায় হলেও ২০ বছর ধরে হরিণাকুণ্ডুতে চাকরি করছেন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে মুকুলের দূর্নীতি নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তাকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু ৬ মাসের মাথায় তিনি আবারো হরিণাকুণ্ডুতে বদলী হন।
জাল সনদ সরবরাহের বিষয়ে মুকুল মিয়া বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। আমি কোন জাল সনদ কাউকে দিই না। সবই মিথ্যা অপপ্রচার।’ ২০ বছর ধরে হরিণাকুণ্ডু শিক্ষা অফিসে চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি, ‘হরিণাকুণ্ডুর মায়ায় আমি এখান থেকে বদলী হতে পারি না।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর বারী বলেন, আমি আসার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জানতে পেরে শক্ত হাতে দমন করেছি। জাল সনদের কথা নতুন করে জানলাম। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডু শিক্ষা অফিসের সহকারীর বিরুদ্ধে জাল সনদ সরবরাহের অভিযোগ

চাকরির ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন অনেক শিক্ষক

আপলোড টাইম : ১২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাল সনদ সরবরাহকারী চক্রের সন্ধান মিলেছে। এই চক্রের প্রধান হচ্ছেন হরিণাকুণ্ডু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মুকুল মিয়া। মুকুল মিয়ার সরবরাহকৃত জাল সনদে হরিণাকুণ্ডু ও ঝিনাইদহ এলাকার বহু শিক্ষক-কর্মচারী অবৈধভাবে চাকরি করে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ধরা পড়ে চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এমন একজন শিক্ষক আরজান আলী। তিনি জোড়াদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি তাঁর জাল বিএড সনদ ধরা পড়ার অফিস সহকারী মুকুল মিয়ার নাম ফাঁস হয়ে পড়েছে।

জোড়াদহ স্কুলের প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দীন জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক আরজান আলীর বিএড জাল সনদ ধরা পড়ার পর ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তদন্তের উদ্যোগ নেন। তদন্তের অংশ হিসেবে আরজান আলীর রয়েল ইউনিভার্সিটির বিএড সনদ যাচাই-বাছাই করার জন্য মাউশিতে চিঠি পাঠানো হলে গত অক্টোবর মাসে আরজান আলীর রয়েল ইউনিভার্সিটির বিএড সনদ জাল বলে জানানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় শিক্ষক আরজান আলীকে শোকজ করা হলে তিনি স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য দেন। আর সেখানেই জাল সনদ সরবরাহকারী হিসেবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মুকুল মিয়ার নাম উঠে আসে। মুকুল মিয়া দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে আরজান আলীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাল বিএড সনদ সরবরাহ করেন।
অন্যদিকে, হরিনাকুন্ডু উপজেলার পার ফলসী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষকের জাল সার্টিফিকেট সরবরাহকারী হিসেবেও মুকুলের নাম আলোচিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে মুকুল মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাগাটা উপজেলায় হলেও ২০ বছর ধরে হরিণাকুণ্ডুতে চাকরি করছেন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে মুকুলের দূর্নীতি নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তাকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু ৬ মাসের মাথায় তিনি আবারো হরিণাকুণ্ডুতে বদলী হন।
জাল সনদ সরবরাহের বিষয়ে মুকুল মিয়া বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। আমি কোন জাল সনদ কাউকে দিই না। সবই মিথ্যা অপপ্রচার।’ ২০ বছর ধরে হরিণাকুণ্ডু শিক্ষা অফিসে চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি, ‘হরিণাকুণ্ডুর মায়ায় আমি এখান থেকে বদলী হতে পারি না।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর বারী বলেন, আমি আসার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জানতে পেরে শক্ত হাতে দমন করেছি। জাল সনদের কথা নতুন করে জানলাম। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।