ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল চুরির দোষ দেয়ায় হত্যা করা হয় সাকিবকে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামে কিশোর সাকিব হত্যার রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মনির মোল্যা ওরফে আশরাফুল মোল্যা (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত সাকিব মাগুরার ফুলবাড়ী গ্রামের শামীমের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ শহরের উদয়পুর গ্রামে নানা ওসমান লস্করের বাড়িতে থাকতেন। গ্রেপ্তার মনির মোল্যা যশোরের বাবলাতলা গ্রামের গাফফার মোল্যার ছেলে ও ঝিনাইদহ শহরের উদয়পুর গ্রামে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের পাটখেতে এক কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায় না। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। গত বুধবার শাকিল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি মরদেহ শনাক্ত করেন এবং নিহত কিশোর তার ভাগ্নে বলে জানান।
শাকিল আহমেদ জানান, গত ১ জুলাই সাকিবের সঙ্গে মনির মোল্যাকে তিনি ঘুরতে দেখেন। পরে এ তথ্যের ভিত্তিতে মনির মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন মনির। আসামির জবানবন্দির বরাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, ৪-৫ মাস আগে উদয়পুর গ্রামে দুটি মোবাইল চুরি হয়। সাকিব গ্রামে বলে বেড়ান মনির মোবাইল দুটি চুরি করেছে। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে মনির এলাকা ছেড়ে কিছুদিন গা-ঢাকা দেয়। পরে মোবাইল চুরির বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গেলে এলাকায় ফিরে আসেন মনির।
এরই মধ্যে গত ১ জুলাই উদয়পুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে সাকিবকে আসতে বলেন মনির। তিনি সাকিবের সঙ্গে ছাগল চুরির পরিকল্পনা করেন। এর আগে ওইদিন দুপুরে আসামি বাড়ি থেকে একটি দা এনে বিসিক এলাকার একটি দোকানের নিচে লুকিয়ে রাখেন। রাতে সাকিব বিসিক মোড়ে আসেন। পরে দুজন বিসিক মোড় থেকে একটি ব্যাগে করে দা, দুই প্যাকেট বিস্কুট, এক বোতল পানি, দুটি কনডম, সিগারেট, কাঁচি নিয়ে বাইসাইকেলে আড়ুয়াকান্দি গ্রামে একটি পাটখেতে যায়। তারা রাত আরও গভীর হলে ছাগল চুরির পরিকল্পনা করেন। সেখানে দুজন গাঁজা সেবন করেন। সাকিব গাঁজা সেবন করে ঘুমিয়ে পড়লে মনির দা দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মোবাইল চুরির দোষ দেয়ায় হত্যা করা হয় সাকিবকে

আপলোড টাইম : ০২:১৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামে কিশোর সাকিব হত্যার রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মনির মোল্যা ওরফে আশরাফুল মোল্যা (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত সাকিব মাগুরার ফুলবাড়ী গ্রামের শামীমের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ শহরের উদয়পুর গ্রামে নানা ওসমান লস্করের বাড়িতে থাকতেন। গ্রেপ্তার মনির মোল্যা যশোরের বাবলাতলা গ্রামের গাফফার মোল্যার ছেলে ও ঝিনাইদহ শহরের উদয়পুর গ্রামে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের পাটখেতে এক কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায় না। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। গত বুধবার শাকিল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি মরদেহ শনাক্ত করেন এবং নিহত কিশোর তার ভাগ্নে বলে জানান।
শাকিল আহমেদ জানান, গত ১ জুলাই সাকিবের সঙ্গে মনির মোল্যাকে তিনি ঘুরতে দেখেন। পরে এ তথ্যের ভিত্তিতে মনির মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন মনির। আসামির জবানবন্দির বরাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, ৪-৫ মাস আগে উদয়পুর গ্রামে দুটি মোবাইল চুরি হয়। সাকিব গ্রামে বলে বেড়ান মনির মোবাইল দুটি চুরি করেছে। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে মনির এলাকা ছেড়ে কিছুদিন গা-ঢাকা দেয়। পরে মোবাইল চুরির বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গেলে এলাকায় ফিরে আসেন মনির।
এরই মধ্যে গত ১ জুলাই উদয়পুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে সাকিবকে আসতে বলেন মনির। তিনি সাকিবের সঙ্গে ছাগল চুরির পরিকল্পনা করেন। এর আগে ওইদিন দুপুরে আসামি বাড়ি থেকে একটি দা এনে বিসিক এলাকার একটি দোকানের নিচে লুকিয়ে রাখেন। রাতে সাকিব বিসিক মোড়ে আসেন। পরে দুজন বিসিক মোড় থেকে একটি ব্যাগে করে দা, দুই প্যাকেট বিস্কুট, এক বোতল পানি, দুটি কনডম, সিগারেট, কাঁচি নিয়ে বাইসাইকেলে আড়ুয়াকান্দি গ্রামে একটি পাটখেতে যায়। তারা রাত আরও গভীর হলে ছাগল চুরির পরিকল্পনা করেন। সেখানে দুজন গাঁজা সেবন করেন। সাকিব গাঁজা সেবন করে ঘুমিয়ে পড়লে মনির দা দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।