ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিবনগরে মডেল মসজিদ নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে ঘর, প্রতিবাদে মুসল্লিদের মানববন্ধন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
নিজেকে প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্য ও ভূমিহীন পরিচয় দিয়েছেন, যা মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ। যার মাধ্যমে তিনি আটকে রেখেছেন মুজিবনগর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ। মসজিদ নির্মাণের জন্য ৪২ শতক জমি ইতিমধ্যে জমির মালিকরা প্রদান করতে চাইলেও ওই ব্যক্তি ২ শতক জমি দিতে নারাজ। আর এই ২ শতক জমি ঠেকাতেই তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সামনের এর প্রতিবাদে স্থানীয় মুসল্লিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। যা ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মেহেরপুর জেলা, উপজেলা এবং গাংনী উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ হলেও মুজিবনগর উপজেলার মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তর মসজিদ নির্মাণের জন্য এলাকার মানুষকে জমি দিতে অনুরোধ করেন। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস অফিসের পাশে রাস্তার পশ্চিম দিকে জায়গা দিতে এগিয়ে আসেন জমির মালিকরা। তাদের কয়েকজনের কাছ থেকে ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে এক ব্যক্তির ২ শতক জমি রয়েছে। ৪২ শতক জমির মালিক অধিগ্রহণে সম্মতি হলেও ২ শতক জমির মালিক শুরু করেন ষড়যন্ত্র। অধিগ্রহণ ঠেকাতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করেন।

এলাকাবাসী জানায়, ৪২ শতকের জমির মালিকগণ নিজ নিজ জমির গাছপালা কেটে সরিয়ে নিয়েছেন। আর দুই শতক জমির মালিক তড়িঘড়ি করে অস্থায়ী বাড়ি বানিয়ে শত বছর ধরে বসবাস করছি বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি একজন ভূমিহীন হিসেবে দাবি করেছেন। যা মিথ্যা এবং মসজিদ নির্মাণ ঠেকানোর ষড়যন্ত্রের অংশ। এলাকার মানুষের বৃহৎ স্বার্থে মসজিদ নির্মাণ করার জন্য তাকে ওই ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন মানববন্ধের বক্তারা।
এদিকে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ওই স্থানেই মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবি করা হয়েছে স্মারকলিপিতে। ওই ব্যক্তি যদি ষড়যন্ত্রের জায়গা থেকে সরে না আসেন তাহলে এলাকার মানুষ আরও বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে জানিয়েছেন মানববন্ধের বক্তারা।

এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, মুজিবনগর মডেল মসজিদ স্থাপনের লক্ষ্যে আমরা এক বছর আগে প্রস্তাব দিয়েছি। তখন এই জায়গাটি ফাঁকা পড়ে ছিল। কিন্তু হঠাৎ মেরিনা নামের এক মহিলা রাতারাতি ঘর নির্মাণ করেছেন। ঘর নির্মাণে কারো অনুমতিও নেননি তিনি। সেই সাথে তিনি সংবাদ সম্মেলনে করেছেন যে তিনি ভূমিহীন। তদন্তে দেখা গেছে তিনি ভূমিহীন নন। মসজিদ নির্মাণকাজ ঠেকানোর বিষয়ে উনি যে মিথ্যাচার করছেন, তা খুবই দুঃখজনক।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মানিকনগর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আহম্মদ আলী, মানিকনগর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম রহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান লাল্টু, আল মিজুল ও মানিকনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার নূর ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মুজিবনগরে মডেল মসজিদ নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে ঘর, প্রতিবাদে মুসল্লিদের মানববন্ধন

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
নিজেকে প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্য ও ভূমিহীন পরিচয় দিয়েছেন, যা মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ। যার মাধ্যমে তিনি আটকে রেখেছেন মুজিবনগর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ। মসজিদ নির্মাণের জন্য ৪২ শতক জমি ইতিমধ্যে জমির মালিকরা প্রদান করতে চাইলেও ওই ব্যক্তি ২ শতক জমি দিতে নারাজ। আর এই ২ শতক জমি ঠেকাতেই তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সামনের এর প্রতিবাদে স্থানীয় মুসল্লিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। যা ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মেহেরপুর জেলা, উপজেলা এবং গাংনী উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ হলেও মুজিবনগর উপজেলার মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তর মসজিদ নির্মাণের জন্য এলাকার মানুষকে জমি দিতে অনুরোধ করেন। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস অফিসের পাশে রাস্তার পশ্চিম দিকে জায়গা দিতে এগিয়ে আসেন জমির মালিকরা। তাদের কয়েকজনের কাছ থেকে ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে এক ব্যক্তির ২ শতক জমি রয়েছে। ৪২ শতক জমির মালিক অধিগ্রহণে সম্মতি হলেও ২ শতক জমির মালিক শুরু করেন ষড়যন্ত্র। অধিগ্রহণ ঠেকাতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করেন।

এলাকাবাসী জানায়, ৪২ শতকের জমির মালিকগণ নিজ নিজ জমির গাছপালা কেটে সরিয়ে নিয়েছেন। আর দুই শতক জমির মালিক তড়িঘড়ি করে অস্থায়ী বাড়ি বানিয়ে শত বছর ধরে বসবাস করছি বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি একজন ভূমিহীন হিসেবে দাবি করেছেন। যা মিথ্যা এবং মসজিদ নির্মাণ ঠেকানোর ষড়যন্ত্রের অংশ। এলাকার মানুষের বৃহৎ স্বার্থে মসজিদ নির্মাণ করার জন্য তাকে ওই ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন মানববন্ধের বক্তারা।
এদিকে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ওই স্থানেই মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবি করা হয়েছে স্মারকলিপিতে। ওই ব্যক্তি যদি ষড়যন্ত্রের জায়গা থেকে সরে না আসেন তাহলে এলাকার মানুষ আরও বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে জানিয়েছেন মানববন্ধের বক্তারা।

এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, মুজিবনগর মডেল মসজিদ স্থাপনের লক্ষ্যে আমরা এক বছর আগে প্রস্তাব দিয়েছি। তখন এই জায়গাটি ফাঁকা পড়ে ছিল। কিন্তু হঠাৎ মেরিনা নামের এক মহিলা রাতারাতি ঘর নির্মাণ করেছেন। ঘর নির্মাণে কারো অনুমতিও নেননি তিনি। সেই সাথে তিনি সংবাদ সম্মেলনে করেছেন যে তিনি ভূমিহীন। তদন্তে দেখা গেছে তিনি ভূমিহীন নন। মসজিদ নির্মাণকাজ ঠেকানোর বিষয়ে উনি যে মিথ্যাচার করছেন, তা খুবই দুঃখজনক।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মানিকনগর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আহম্মদ আলী, মানিকনগর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম রহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান লাল্টু, আল মিজুল ও মানিকনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার নূর ইসলাম প্রমুখ।