ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একই স্থানে তিনবার অস্ত্রোপচার, ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় মরিয়ম খাতুন (২৯) নামে দুই সন্তানের জননীর মৃত্যুর অভিযাগ উঠেছে। মরিয়ম খাতুন উপজেলার কমলাপুর গ্রামের ইব্রাহীম মন্ডলের মেয়ে। তার রাব্বি হাসান (১০) ও দেড় বছর বয়সী রাফি হোসেন নামে দুটি সন্তান রয়েছে। এদিকে, মৃত্যুর ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গতকাল রোববার সকালে ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মরিয়মের পিতা ইব্রাহীম মন্ডল জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করেন মরিয়ম খাতুন। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন জরায়ুর নাড়িতে টিউমার হয়েছে। চিকিৎসা করানোর জন্য মরিয়ম সে সময় পিতার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামে আসেন। এসময় পরিবরের সদস্যরা মরিয়মকে ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়। ক্লিনিকের চিকিৎসক আসলাম হোসেন বিভিন্ন রিপোর্ট দেখে অপারেশনের জন্য বলেন। অপারেশন করার পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মরিয়ম খাতুনকে। অপারশেনের পরও প্রায়ই পেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন মরিয়ম খাতুন। গত দুই মাস আগে একই স্থানে ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকলে আবারও ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাসপাতালের মালিক ইকরামুল হোসেনের ছোট ভাই এনামুল হোসেন পুনরায় একই স্থানে অপারেশন করেন। এরপর চিকিৎসক আসলাম হোসেন আবারও অপারেশন করেন। কিন্তু সেখানে রোগী সুস্থ না হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে যান তার পরিবার। গত ১৪ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে মরিয়ম খাতুন।

ইব্রাহীম মন্ডল আরও অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ের একই স্থানে তিনবার অপারেশন করা হয়েছে। অপারেশন করলেও সেখানে কোনো সেলাই দেওয়া হয়নি। তার মেয়ের হিস্টো প্যাথলজি রিপোর্ট এখনো তাদের দেয়নি ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার মেয়ে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে। তারা খুবই গরীব। মেয়ের দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আসলাম হোসেন বলেন, অফিসের কাজে ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব। ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ইকরামুল হোসেন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারা যে অভিযোগ করছেন সব মিথ্যা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

একই স্থানে তিনবার অস্ত্রোপচার, ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় মরিয়ম খাতুন (২৯) নামে দুই সন্তানের জননীর মৃত্যুর অভিযাগ উঠেছে। মরিয়ম খাতুন উপজেলার কমলাপুর গ্রামের ইব্রাহীম মন্ডলের মেয়ে। তার রাব্বি হাসান (১০) ও দেড় বছর বয়সী রাফি হোসেন নামে দুটি সন্তান রয়েছে। এদিকে, মৃত্যুর ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গতকাল রোববার সকালে ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মরিয়মের পিতা ইব্রাহীম মন্ডল জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করেন মরিয়ম খাতুন। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন জরায়ুর নাড়িতে টিউমার হয়েছে। চিকিৎসা করানোর জন্য মরিয়ম সে সময় পিতার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামে আসেন। এসময় পরিবরের সদস্যরা মরিয়মকে ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়। ক্লিনিকের চিকিৎসক আসলাম হোসেন বিভিন্ন রিপোর্ট দেখে অপারেশনের জন্য বলেন। অপারেশন করার পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মরিয়ম খাতুনকে। অপারশেনের পরও প্রায়ই পেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন মরিয়ম খাতুন। গত দুই মাস আগে একই স্থানে ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকলে আবারও ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাসপাতালের মালিক ইকরামুল হোসেনের ছোট ভাই এনামুল হোসেন পুনরায় একই স্থানে অপারেশন করেন। এরপর চিকিৎসক আসলাম হোসেন আবারও অপারেশন করেন। কিন্তু সেখানে রোগী সুস্থ না হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে যান তার পরিবার। গত ১৪ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে মরিয়ম খাতুন।

ইব্রাহীম মন্ডল আরও অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ের একই স্থানে তিনবার অপারেশন করা হয়েছে। অপারেশন করলেও সেখানে কোনো সেলাই দেওয়া হয়নি। তার মেয়ের হিস্টো প্যাথলজি রিপোর্ট এখনো তাদের দেয়নি ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার মেয়ে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে। তারা খুবই গরীব। মেয়ের দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আসলাম হোসেন বলেন, অফিসের কাজে ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব। ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ইকরামুল হোসেন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারা যে অভিযোগ করছেন সব মিথ্যা।