ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের ৪০টি যাত্রীছাউনি জরাজীর্ণ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এক সময় পথচারী, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের বিশ্রামের জন্য যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে নির্মিত এসব যাত্রীছাউনির বেশির ভাগ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। অনেক যাত্রীছাউনি আবার দখল করে কেউ কেউ দোকান সাজিয়ে ব্যবসা করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়াই নামক স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে একটি জরাজীর্ণ যাত্রীছাউনি। এর ভেতর ও বাইরে স্যাঁতস্যাঁতে ভেজা। গোটা ভবনে গাছপালা জন্মেছে। যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। ঝিনাইদহ সদরের চুটলিয়া মোড়ের যাত্রীছাউনি দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর অযত্নে পড়ে আছে। যাত্রীছাউনিটি ভেঙে পড়েছে। মধুপুর চৌরাস্তা বাজারের যাত্রীছাউনিটি দখল করে মোটরসাইকেল রাখার জায়গা বানিয়েছেন এক ব্যক্তি। একইভাবে হাটগোপালপুর, কালা বাজার, ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রীছাউনিগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, যাত্রীসহ মানুষের বিশ্রামের জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে মহাসড়ক ও বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ৪০টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি যাত্রীছাউনির নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল গড়ে ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকলেও তা দেখভাল করা হয় না। ফলে এখানে বসা যায় না। যে যার মতো দখলে করে নিয়েছে। চুটলিয়া এলাকার আবুল কাশেম বলেন, এখানকার যাত্রীছাউনিটি এক যুগ হলে ভেঙে পড়ে আছে। যাত্রীরা গাড়ির জন্য আশপাশের দোকানগুলোতে বসে অপেক্ষা করে। বৃষ্টির সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

এধুপুর চৌরাস্তা এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর, বাজারের যাত্রীছাউনিটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। কয়েকদিন আগে এখানে মোটরসাইকেল রাখার পর ছাদের পলেস্তারা ভেঙে মোটরসাইকেলের ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশীদ বলেন, জরিপ করে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীছাউনি মেরামত করা হবে। আর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের ৪০টি যাত্রীছাউনি জরাজীর্ণ!

আপলোড টাইম : ১১:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এক সময় পথচারী, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের বিশ্রামের জন্য যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে নির্মিত এসব যাত্রীছাউনির বেশির ভাগ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। অনেক যাত্রীছাউনি আবার দখল করে কেউ কেউ দোকান সাজিয়ে ব্যবসা করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়াই নামক স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে একটি জরাজীর্ণ যাত্রীছাউনি। এর ভেতর ও বাইরে স্যাঁতস্যাঁতে ভেজা। গোটা ভবনে গাছপালা জন্মেছে। যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। ঝিনাইদহ সদরের চুটলিয়া মোড়ের যাত্রীছাউনি দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর অযত্নে পড়ে আছে। যাত্রীছাউনিটি ভেঙে পড়েছে। মধুপুর চৌরাস্তা বাজারের যাত্রীছাউনিটি দখল করে মোটরসাইকেল রাখার জায়গা বানিয়েছেন এক ব্যক্তি। একইভাবে হাটগোপালপুর, কালা বাজার, ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রীছাউনিগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, যাত্রীসহ মানুষের বিশ্রামের জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে মহাসড়ক ও বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ৪০টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি যাত্রীছাউনির নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল গড়ে ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকলেও তা দেখভাল করা হয় না। ফলে এখানে বসা যায় না। যে যার মতো দখলে করে নিয়েছে। চুটলিয়া এলাকার আবুল কাশেম বলেন, এখানকার যাত্রীছাউনিটি এক যুগ হলে ভেঙে পড়ে আছে। যাত্রীরা গাড়ির জন্য আশপাশের দোকানগুলোতে বসে অপেক্ষা করে। বৃষ্টির সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

এধুপুর চৌরাস্তা এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর, বাজারের যাত্রীছাউনিটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। কয়েকদিন আগে এখানে মোটরসাইকেল রাখার পর ছাদের পলেস্তারা ভেঙে মোটরসাইকেলের ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশীদ বলেন, জরিপ করে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীছাউনি মেরামত করা হবে। আর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।